বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নাম উল্লেখ করার পর বা শ্রবণ করার পর নবীর উপর দুরুদ পাঠ বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ওয়াজিব।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে-
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : ( رغِم أنفُ رجلٍ ذُكرتُ عنده فلم يصلِّ عليَّ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,ঐ ব্যক্তির নাক ধুলিত হোক,(অর্থাৎ বরকত শূন্য হোক) যার সামনে আমার নাম উচ্ছারণ করা হল,অথচ সে আমার উপর দুরুদ পাঠ করল না।(সুনানু তিরমিযি-৩৫৪৫)
হযরত হাসান ইবনে আলী রাযি থেকে বর্ণিত,
وعن الحسين بن علي بن أبي طالب رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( البخيل الذي من ذكرت عنده فلم يصل عليَّ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,বাস্তব কৃপন তো সেই ব্যক্তি যার সামনে আমার নাম উচ্ছারণ করা হল,অথচ সে আমার উপর দুরুদ পাঠ করল না।(সুনানু তিরমিযি-৩৫৪৬)
কোনো মজলিসে একাধিকবার রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নাম উচ্ছারিত হলে প্রথম বার রাসূলুল্লাহ সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ ওয়াজিব।এবং পরের বার দুরুদ পাঠ মুস্তাহাব।তবে এসম্পর্কে ভিন্নমতও রয়েছে।
সাহাবিদের নামের উচ্ছারণ বা শ্রবণের সময় কী বলা উচিৎ।
قال الزيلعي: الأولى أن يدعو للصحابة بالرضى، وللتابعين بالرحمة، ولمن بعدهم بالمغفرة والتجاوز.........الى ان قال........وإليه مال النووي في الأذكار، وقال: يستحب الترضي والترحم على الصحابة والتابعين فمن بعدهم من العلماء والعباد وسائر الأخيار
ইমাম যায়লায়ী রাহ বলেন,সাহাবীদের নাম উচ্ছারিত হওয়ার পর 'রাযিয়াল্লাহ আনহু' বলা,ও তাবেয়ীগণের নাম আলোচিত হওয়ার পর 'রাহিমাহুল্লাহু' বলা এবং তাবে তাবেয়ীগণ বা এর পরবর্তী নেককারগণের আলোচনার পর 'গুফিরা লাহু' বলা উত্তম ও মুস্তাহাব।অর্থাৎ এ শব্দগুলো দ্বারা দু'আ করা মুস্তাহাব।তবে এর ব্যতিক্রম ব্যখ্যাও রয়েছে।(সুতরাং এ সমস্ত শব্দাবলীকে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের সাথে নির্দিষ্ট করা কোনো দলীলপত্র দ্বারা প্রমাণিত নয়।)(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-১১/১৮৪-১৮৫)
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.