ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
চুরের কাছ থেকে বিনা অনুমতিতে সীমালঙ্ঘন ব্যতীত মাল নিয়ে আসা অর্থ্যাৎ না জানিয়ে মাল নিয়ে আসা বৈধ হবে,যা কোরআনর নিম্নোক্ত আয়াত থেকে থেকে বুঝা যায়.......
ﺇِﻻَّ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤَﺎﺕِ ﻭَﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛَﺜِﻴﺮﺍً ﻭَﺍﻧْﺘَﺼَﺮُﻭﺍ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﻇُﻠِﻤُﻮﺍ [ ﺍﻟﺸﻌﺮﺍﺀ 227: ]
ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻭَﻋَﻤِﻠُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤَﺎﺕِ ﻭَﺫَﻛَﺮُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻛَﺜِﻴﺮًﺍ ﻭَﺍﻧﺘَﺼَﺮُﻭﺍ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﺪِ ﻣَﺎ ﻇُﻠِﻤُﻮﺍ ﻭَﺳَﻴَﻌْﻠَﻢُ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻇَﻠَﻤُﻮﺍ ﺃَﻱَّ ﻣُﻨﻘَﻠَﺐٍ ﻳَﻨﻘَﻠِﺒُﻮﻥَ
তবে তাদের কথা ভিন্ন, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং আল্লাহ কে খুব স্মরণ করে এবং নিপীড়িত হওয়ার পর প্রতিশোধ গ্রহণ করে। নিপীড়নকারীরা শীঘ্রই জানতে পারবে তাদের গন্তব্যস্থল কিরূপ।সূরা আশ শুয়ারা (২৬):২২৭
5364:ﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ : ﺃﻥ ﻫﻨﺪ ﺑﻨﺖ ﻋﺘﺒﺔ ﻗﺎﻟﺖ : ﻳﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ، ﺇﻥ ﺃﺑﺎ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺭﺟﻞ ﺷﺤﻴﺢ ﻭﻟﻴﺲ ﻳﻌﻄﻴﻨﻲ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻨﻲ ﻭﻭﻟﺪﻱ ﺇﻻ ﻣﺎ ﺃﺧﺬﺕ ﻣﻨﻪ ﻭﻫﻮ ﻻ ﻳﻌﻠﻢ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺧﺬﻱ ﻣﺎ ﻳﻜﻔﻴﻚ ﻭﻭﻟﺪﻙ ﺑﺎﻟﻤﻌﺮﻭﻑ .
"হযরত আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত,হিনদ বিনতে উতবা রাঃ নবী কারীম সাঃ এর কাছে (নিজ স্বামীর অভিযোগ নিয়ে এসে) বললেনঃহে রাসুলুল্লাহ সাঃ আবু সুফিয়ান একজন কৃপন মানুষ, সে আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভরণ-পোষণ দেয় না,যদ্দরুন তার অজান্তে তার মাল থেকে আমি খরছ করে ফেলি, (এ বিষয়ে শরীয়তের দিকনির্দেশনা আমাদেরকে বলুন)রাসুলুল্লাহ সাঃ বললেনঃ ন্যায়সঙ্গত ভাবে তোমার ও তোমার সন্তানদের যা প্রয়োজন তা (তার অজান্তে)নিয়ে নিতে পারো(এতে কোনো অসুবিধা হবে না)।"
(সহীহ বুখারীঃ৫৩৬৪)আরও বর্ণিত আছে৫৭৮৬ নং হাদীসে।
স্বামীর উপর স্ত্রী ও নাবালিগ সন্তানদের ভরণ-পোষণ ওয়াজিব,এই ওয়াজিব হক্ব আদায় না করা দরুণ রাসুলুল্লাহ সাঃ স্বামীর অজান্তে স্বামীর মাল থেকে স্ত্রীকে উসূলের অনুমতি দিয়েছেন।কাজেই বুঝা গেল ন্যায়সঙ্গত ভাবে চুরের অজান্তে নিজ হক্ব উসূল করার অনুমতি রয়েছে,তবে শর্ত হচ্ছে ন্যায়সঙ্গত ভাবে হওয়া।চুরিকৃত মাল এবং বর্তমান হস্তগত মাল এক জাতীয় হলে বৈধ হওয়ার ব্যপারে কোনো মতবিরোধ নেই,আর ভিন্ন জাতীয় হলে মতবিরোধ রয়েছে, বিশুদ্ধ মতানুযায়ী ন্যায়সঙ্গত এবং পরিমাণ সমান হলে বৈধ হবে।
ﻭﺃﻣﺎ ﺣﺪﻳﺚ : ﻭﻻ ﺗﺨﻦ ﻣﻦ ﺧﺎﻧﻚ . ﻓﻘﺪ ﺿﻌﻔﻪ ﺟﻤﺎﻋﺎﺕ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺤﺪﺛﻴﻦ ﻣﻨﻬﻢ ﺍﻟﺸﺎﻓﻌﻲ، ﻭﺃﺣﻤﺪ، ﻭﺍﻟﺒﻴﻬﻘﻲ، ﻭﺍﺑﻦ ﺣﺰﻡ، ﻭﺍﺑﻦ ﺍﻟﺠﻮﺯﻱ ﻭﺫﻛﺮ ﺍﺑﻦ ﺣﺠﺮ ﺗﻀﻌﻴﻒ ﻣﻦ ﺳﺒﻖ ﻭﻟﻢ ﻳﺘﻌﻘﺐ ﺫﻟﻚ ﺑﺸﻲﺀ
তোমার সাথে যে খেয়ানত করেছে তার সাথে তোমি খেয়ানত করিও না মর্মে যে হাদীস বর্ণিত রয়েছে তা নিতান্তই দুর্বল,সহীহ হাদীসের সামনে ইহা অগ্রহণযোগ্য।
অবশ্য ক্ষমা করে দেওয়া উত্তম চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।
বিস্তারিত জানতে...........
ﺍﻟﺒﺤﺮ ﺍﻟﺮﺍﺋﻖ ﺷﺮﺡ ﻛﻨﺰ ﺍﻟﺪﻗﺎﺋﻖ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺪﻋﻮﻯ
ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺘﺤﺎﻟﻒ
ﺑﺎﺏ ﺩﻋﻮﻯ ﺍﻟﺮﺟﻠﻴﻦ ص193
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যে ব্যক্তি কম জমি পেয়েছে সে ন্যায়সঙ্গতভাবে কৌশলে বেশি জমি পাওয়া ব্যক্তির অন্য জমি বা সম্পত্তি (সমপরিমাণে) আত্মসাৎ করতে পারবে।
(২)
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি কারো পূর্বপুরুষরা অন্যায়ভাবে কারো জায়গা আত্মসাৎ করে থাকে, তাহলে তার ওয়ারিছদের জন্য ওয়াজিব হচ্ছে, উক্ত জায়গা সদকাহ করে দেয়া।