বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইবনে আবেদীন শামী রাহ নাফক্বাহ বিষয়ে তাত্ত্বিক আলোচনা করতে যেয়ে উক্ত বিষয়ের জটিলতা ও কঠিনত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করে বলেনঃ-
وَاعْلَمْ أَنَّ مَسَائِلَ هَذَا الْبَابِ، مِمَّا تَحَيَّرَ فِيهَا أُولُو الْأَلْبَابِ، لِمَا يُتَوَهَّمُ فِيهَا مِنْ الِاضْطِرَابِ، وَكَثِيرًا مَا رَأَيْت مَنْ ضَلَّ فِيهَا عَنْ الصَّوَابِ، حَيْثُ لَمْ يَذْكُرُوا لَهَا ضَابِطًا نَافِعًا وَلَا أَصْلًا جَامِعًا
জ্ঞাতব্যঃ নাফক্বাহ বিষয়টা অত্যান্ত জটিল।এ বিষয়ে অনেক জ্ঞানীজন ও পন্ডিত মহাশয়বৃন্দ দিক হারাম হয়ে হয়রান-পেরাশান হয়েছেন।কেননা এতে অনেক তীক্ষ্ণতা ও অস্পষ্টতা বিদ্যমান রয়েছে।অনেককে দেখেছি তারা সঠিক রাস্তা থেকে অনেক দূরে সরে গেছেন।তারা উক্ত বিষয়ের পরিপূরণ সঠিক কোনো মূলনীতি উপস্থাপন করতে পারেননি।
(রদ্দুল মুহতার৩/৬২৩)
সর্বক্রেত্রে প্রযোয্য না হলেও মোটের উপর বলা যায় যে,যারা মৃতব্যক্তির রক্ত সম্পর্কে অতি নিকটবর্তী হওয়ার ধরুণ ওয়ারিস হওয়ার যোগ্যতা রাখেন, তারাই ধারাবাহিক ভাবে খোরপোষের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ধারাবাহিক সিরিয়াল কি? এসম্পর্কে বলা যায়,
প্রথমে অধস্তন ছেলে-মেয়ে তারপর পিতা এর পর ছেলের ছেলে এভাবে.............।
আপনি কারো ব্যপারে জানতে হলে বর্তমানে উনার কে কে জীবিত আছে? বললে উত্তর তাকে চিন্থত করে দেয়া যাবে।
ধারাবাহিক সিরিয়াল কি?
এ সম্পর্কে
ইবনে আবেদীন শামী রাহ মোটামোটি একটি মূলনীতি মূলক সারসংক্ষেপ উনার আলোচানায় ফুটিয়ে তুলেছেন।
নিম্নে তা প্রদত্ত করছি।
প্রকাশ থাকে যে,সন্তানাদিদের মধ্য থেকে খোরপোষের দ্বায়ভার গ্রহণের মত যোগ্যব্যক্তি হয়তো একজন হবে অথবা অনেক হবে।
যদি একজন থাকে, তাহলে যাহির কথা যে তার উপর নিশ্চিতরূপে খোরপোষের দ্বায়ভার চলে আসবে।
দ্বিতীয়তঃহয়তো শুধুমাত্র ফুরু' (একজন মানুষের ছেলে-মেয়ে,নাতী-নাতনি সহ সমস্ত সন্তানাদি) হবে অথবা ফুরু' এর সাথে হাওয়াশি থাকবে।
( হাওয়াশিঃযে উক্ত ব্যক্তির না উর্দস্তন পুরুষদের মধ্য থেকে না অধস্তন পুরুষদের মধ্য থেকে, তবে উভয়ের মধ্যে রক্তের আত্মীয়তা রয়েছে)অথবা ফুরু' ও উসূল ( উর্দস্তন পুরুষ)থাকবে।অধবা ফুরু', উসূল,ওহাওয়াশি সবাই বিদ্যমান থাকবে।অথবা শুধমাত্র উসূল বিদ্যমান থাকবে,বা উসূল ও হাওয়াশি বিদ্যমান থাকবে।এই হচ্ছে সর্বমোট ছয় প্রকার
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
(১) আপনি যদি বালিগ হন,তাহলে আপনার ভরণপোষণ আপনি নিজেই করবেন।আপনার মার উপর আপনার ভরণপোষণ ওয়াজিব নয়।
(২)
আপনার চাচারা আপনাকে আপনার দাদার অংশ থেকে মাহরুম করতে পারবেন না,যদি আপনার বাবার পূর্বে আপনার দাদার মৃত্যু হয়।আর আপনার বাবার মৃত্যু যদি আপনার দাদার মৃত্যুর পূর্বে হয়ে থাকে,তাহলে আপনি দাদার সম্পত্তি থেকে আইনত কিছুই পাবেন না।
(৩)
আপনি নিজে চাকুরী করে জীবন পরিচালনা করবেন।আপনার মায়ের উপর আপনার ভরণপোষণ ওয়াজিব নয়।আপনার মা যদি আপনাকে ভরণপোষণ না দেন,তাহলে আপনার মা গোনাহগার হবেন না।