আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
410 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাহকাতুহ। শায়েখ চলমান ইস্যু ইসরাইলের পন্য বয়কট করা নিয়ে জানতে চাচ্ছিলাম,আমাদের প্রতিদিন এত ব্যবহারকৃত বিভিন্ন পন্য যেমন ম্যাগি,স্ফট ড্রিংক্স, সাবান, ফেইস ওয়াশ, এই পন্য গুলো যেই ব্র‍্যান্ড এর সেইগুলো নাকি ইসরাইল এর পন্য ফেজবুক ইউটিউব এ দেখতেছি, তো আমার জানামতে দেশের ৮০% পন্যই ইহুদিদের বানানো, তো এই জিনিষ গুলো বয়কট করার বিষয় এ জানতে চাচ্ছিলাম,

1 Answer

0 votes
by (676,170 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মান সম্মত পণ্য বাজারে থাকাবস্থায় ইসরাইলি পন্য বর্জন করা এখন সময়ের দাবী।কেননা তাদের এত অহংকার ও হটকারিতার মূল কারণই হল,তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। তারা যখন তাদের অর্থনৈতিক ধ্বস দেখবে,তখন তারা সন্ত্রাসী কাজকর্ম থেকে নিবৃত হবে।

ইসরাঈলি পণ্য সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পণ্য হল,কোকাকোলা, এই কোকাকোলা সম্পর্কে আমরা পূর্বেই বলেছি যে,
https://www.ifatwa.info/3881 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
কোকাকোলা সম্পর্কে হালাল হারাম বিধান নিম্নোক্ত তিনটি কারণের যেকোনো কারণে হতে পারে।যথাঃ-(ক)এলকোহলঃ সকল প্রকার এলকোহল সম্পর্কে হারামের বিধান জারি করা যাবে না,যতক্ষণ না তাতে হারামের বিধান সুস্পষ্ট পাওয়া যাচ্ছে।এ বিষয়ে বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/165

(খ)শূকরের চর্বিঃ শূকরের চর্বি হারাম।কম হোক বা বেশী হোক।তবে যদি সেটা ভিন্নরূপ ধারণ করে নেয়,তবে তাতে রূখসত চলে আসে।যদিও ব্যবহার না করাই উত্তম ও তাকওয়ার নিকটবর্তী।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/425

(গ)কাফিরদের সাহায্য করা, কাফিরদের সাহায্য করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
প্রথম ও দ্বিতীয় কারণে হিসেবে বলা যায় যে,কোকাকোলা না খাওয়াই উত্তম।

নু'মান ইবনে বশির রাযি থেকে বর্ণিত
 ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﻠَﺎﻝَ ﺑَﻴِّﻦٌ ، ﻭَﺇِﻥَّ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡَ ﺑَﻴِّﻦٌ، ﻭَﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﻣُﺸْﺘَﺒِﻬَﺎﺕٌ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻤُﻬُﻦَّ ﻛَﺜِﻴﺮٌ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺗَّﻘَﻰ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﺍﺳْﺘَﺒْﺮَﺃَ ﻟِﺪِﻳﻨِﻪِ ، ﻭَﻋِﺮْﺿِﻪِ ، ﻭَﻣَﻦْ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺸُّﺒُﻬَﺎﺕِ ﻭَﻗَﻊَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮَﺍﻡِ ، ﻛَﺎﻟﺮَّﺍﻋِﻲ ﻳَﺮْﻋَﻰ ﺣَﻮْﻝَ ﺍﻟْﺤِﻤَﻰ ، ﻳُﻮﺷِﻚُ ﺃَﻥْ ﻳَﺮْﺗَﻊَ ﻓِﻴﻪِ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﻟِﻜُﻞِّ ﻣَﻠِﻚٍ ﺣِﻤًﻰ ، ﺃَﻟَﺎ ﻭَﺇِﻥَّ ﺣِﻤَﻰ ﺍﻟﻠﻪِ ﻣَﺤَﺎﺭِﻣُﻪُ
নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদে রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তার হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে, রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থাকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো 'কালব' হৃদয়।(সহীহ মুসলিম-১৫৯৯)

আর তৃতীয় কারণ হিসেবে বলা হবে যে,কোকাকোলা ক্রয় করা ও খাওয়া হারাম।কেননা এদ্ধারা কাফিরদের কে সাহায্য করা হচ্ছে।এই কারণ উল্লেখপূর্বক দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে যে,কোকাকোলা, পেপসি, সেভেনআপ ও ইউনিলিভার সহ যাবতীয় অমুসলিম মুসলিম বিদ্বেষীদের যাবতীয় পণ্য ক্রয় করা হারাম।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
একজন মুসলমান হিসেবে বাজারে কোনো মুসলিম কম্পানির পণ্য ক্রয় করাই উচিৎ যদি বাজারে মানসম্মত মুসলিম কম্পানির পণ্য থাকে।যদি না  থাকে,তাহলে অমুসলিম কম্পানির পণ্য ক্রয় করা যাবে।

সুতরাং বর্তমানে কোকাকোলা জাতীয় ড্রিংক ক্রয় না করাই মুসলামের জন্য উচিৎ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (676,170 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...