বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যেমন তথায় আমরা বলেছি যে,
أمور تباح فيها الغيبة:
الأصل في الغيبة التحريم للأدلة الثابتة في ذلك، ومع هذا فقد ذكر النووي وغيره من العلماء أمورا ستة تباح فيها الغيبة لما فيها من المصلحة؛ ولأن المجوز في ذلك غرض شرعي لا يمكن الوصول إليه إلا بها وتلك الأمور هي:
কুরআন-হাদীসের অসংখ্য দলীল প্রমাণ থাকায় গীবত মূলত হারাম।তবে ইমাম নববী রাহ সহ অনেক উলামায়ে কেরাম ছয়টি বিষয়ে গীবতের অনুমোদন দিয়ে থাকেন।বিভিন্ন মুসলিহত ও হেকমত থাকর ধরুণই উলামায়ে কেরাম মূলত এ অনুমতি দিয়ে থাকেন।শরীয়য়ত অনুমোদিত কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই রুখসত প্রদান করা হচ্ছে, কেননা গীবত ব্যতীত এই উদ্দেশ্য হাসিল হওয়া প্রায়-ই অসম্ভব।
الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك.
(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,
(১)গিবত আর পরনিন্দা একই। কারো দোষ অন্যর নিকট বর্ণনা করা।
(২)কাউকে বাঁচানোর স্বার্থে কোনো অফিসের বসের চারিত্রিক গুনাবলি নিয়ে সতর্ক করা যেতে পারে।তবে কেউ খালিছভাবে তাওবাহ করে নিলে তার ঐ গুনাগুণ সম্পর্কে আর আলোচনা করা যাবে না।
(৩)যদি সে সত্যিই নেশা করে থাকে,তাহলে তার এ গুণাগুণ অন্যকে জানানো যাবে।
(৪)এলাকার কেউ সন্ত্রাসী করলে,নতুন আগতদেরকে এ সম্পর্কে সতর্ক করা যাবে।
(৫)কাউকে কোনো একজনের ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য স্বার্থে তার খারাপ গুনাগুন সম্পর্কে অন্যকে জানানো যাবে।