আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
355 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আসসালামু আলাইকুম। শাইখ, আমার একজন বন্ধুর কিছু প্রশ্ন ছিলো।

১। গিবত আর পরনিন্দা এর মধ্যে পার্থক্য কি?

২। কারো অফিসের বস খারাপ লোক। তার মেয়ে ঘটিত খারাপ রেকর্ড আছে।এখন আমি যদি আপনার সচেনার্থে বলি তবে সেটা কি গীবত বা পরনিন্দা হবে।

৩। কেও আমার কাছে একজন লোক সম্পর্কে জানতে চাইলেন। সে কি করে জানতে চাইলেন। এখন আমি যদি বলে দেই সে নেশা করে, এখন এটা বলাও কি গীবত হবে?

৪। এক লোক সন্ত্রাসী। আপনি নতুন পাড়ায় এসেছেন।এলাকার কেউ আপনাকে বললো সে সন্ত্রাসী। এটা কি গীবত হবে?

৫। কাউকে খারাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য যদি কিছু বলি তাহলে কি সেটা গীবত বা পরনিন্দা এর পর্যায়ে যাবে কি?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ- 
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,কিছু কিছু ক্ষেত্রে গীবত করা বৈধ।
যেমন তথায় আমরা বলেছি যে,
أمور تباح فيها الغيبة:
الأصل في الغيبة التحريم للأدلة الثابتة في ذلك، ومع هذا فقد ذكر النووي وغيره من العلماء أمورا ستة تباح فيها الغيبة لما فيها من المصلحة؛ ولأن المجوز في ذلك غرض شرعي لا يمكن الوصول إليه إلا بها وتلك الأمور هي:
কুরআন-হাদীসের অসংখ্য দলীল প্রমাণ থাকায় গীবত মূলত হারাম।তবে ইমাম নববী রাহ সহ অনেক উলামায়ে কেরাম ছয়টি বিষয়ে গীবতের অনুমোদন দিয়ে থাকেন।বিভিন্ন মুসলিহত ও হেকমত থাকর ধরুণই উলামায়ে কেরাম মূলত এ অনুমতি দিয়ে থাকেন।শরীয়য়ত অনুমোদিত কিছু উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই রুখসত প্রদান করা হচ্ছে, কেননা গীবত ব্যতীত এই উদ্দেশ্য হাসিল হওয়া প্রায়-ই অসম্ভব।

الأول: التظلم. يجوز للمظلوم أن يتظلم إلى السلطان والقاضي وغيرهما ممن له ولاية أو له قدرة على إنصافه من ظالمه، فيذكر أن فلانا ظلمني وفعل بي كذا وأخذ لي كذا ونحو ذلك. 
(এক) জালিমের জুলুম থেকে বাঁচতে বিচারকের নিকট জালিমের বিরুদ্ধে নালিশ/গিবত করা বৈধ।যেমন মজলুম ব্যক্তি বিচারকের নিকট গিয়ে বলল,অমুক ব্যক্তি আমার উপর জুলুম-নির্যাতন করেছে।এবং আমার সাথে সে এমন এমন ব্যবহার করেছে।আমার অমুক অমুক জিনিষ সে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,
(১)গিবত আর পরনিন্দা একই। কারো দোষ অন্যর নিকট বর্ণনা করা।

(২)কাউকে বাঁচানোর স্বার্থে কোনো অফিসের বসের চারিত্রিক গুনাবলি নিয়ে সতর্ক করা যেতে পারে।তবে কেউ খালিছভাবে তাওবাহ করে নিলে তার ঐ গুনাগুণ সম্পর্কে আর আলোচনা করা যাবে না।

(৩)যদি সে সত্যিই নেশা করে থাকে,তাহলে তার এ গুণাগুণ অন্যকে জানানো যাবে।

(৪)এলাকার কেউ সন্ত্রাসী করলে,নতুন আগতদেরকে এ সম্পর্কে সতর্ক করা যাবে।

(৫)কাউকে কোনো একজনের ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য স্বার্থে তার খারাপ গুনাগুন সম্পর্কে অন্যকে জানানো যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...