জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান মতে মামাতো বোন গায়রে মাহরাম।
তাকে বিবাহ করা জায়েজ আছে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মামাতো বোনের সাথে পর্দা করতে হবে।
,
বোনদের মধ্যে শুধু নিজের বোন মাহরাম,
মামাতো বোন মাহরামদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
,
সুরা নিসার ২৩ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمۡ اُمَّہٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ وَ عَمّٰتُکُمۡ وَ خٰلٰتُکُمۡ وَ بَنٰتُ الۡاَخِ وَ بَنٰتُ الۡاُخۡتِ وَ اُمَّہٰتُکُمُ الّٰتِیۡۤ اَرۡضَعۡنَکُمۡ وَ اَخَوٰتُکُمۡ مِّنَ الرَّضَاعَۃِ وَ اُمَّہٰتُ نِسَآئِکُمۡ وَ رَبَآئِبُکُمُ الّٰتِیۡ فِیۡ حُجُوۡرِکُمۡ مِّنۡ نِّسَآئِکُمُ الّٰتِیۡ دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ ۫ فَاِنۡ لَّمۡ تَکُوۡنُوۡا دَخَلۡتُمۡ بِہِنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡکُمۡ ۫ وَ حَلَآئِلُ اَبۡنَآئِکُمُ الَّذِیۡنَ مِنۡ اَصۡلَابِکُمۡ ۙ وَ اَنۡ تَجۡمَعُوۡا بَیۡنَ الۡاُخۡتَیۡنِ اِلَّا مَا قَدۡ سَلَفَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ غَفُوۡرًا رَّحِیۡمًا ﴿ۙ۲۳﴾
তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে তোমাদের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু,খালা, ভাইয়ের মেয়ে, বোনের মেয়ে, দুধমা(, দুধবোন, শাশুড়ী ও তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যার সাথে সংগত হয়েছ তার আগের স্বামীর ঔরসে তার গর্ভজাত মেয়ে, যারা তোমাদের অভিভাবকত্ব আছে, তবে যদি তাদের সাথে সঙ্গত না হয়ে থাক, তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নেই। আর তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তোমাদের ঔরসজাত ছেলের স্ত্রী ও দুই বোনকে একত্র করা, আগে যা হয়েছে, হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী বালেগ হওয়ার পর গায়রে মাহরামদের সাথে পর্দা করতে হবে।
অর্থাৎ গায়রে মাহরাম ব্যাক্তি যখন বালেগ হবে,তখন তার সামনে পর্দা করা ফরজ।
,
তবে যদি অবস্থা এমন হয়,তারা যদিও নাবালেগ ,তবে তাদের সামনে গেলে ফেতনার আশংকা আছে,তাহলে নাবালেগ হওয়া সত্ত্বেও তাদের সামনে পর্দা করতে হবে।
,
শরীয়তে ১২ বছর বয়সী পুরুষদের সামনে পর্দার কথা বলা হয়েছে।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 145270 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য
আরো জানুনঃ
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মামাতো বোনের সামনে পর্দা করতে হবে।
তাকে দেখা জায়েজ নেই,
তার হাত স্পর্শ করা তো কোনো ভাবেই বৈধ হবেনা।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত মুছাফাহা এর কারনে উভয়কেই মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।
,
(০২)
উপঢৌকন হিসেবে,এখানে যিনি দিয়েছেন উনার টাকা হালাল-হারাম মিশ্রিত,এসব টাকা কি নেওয়া যাবে কিনা,এক্ষেত্রে বিধানঃ
হারাম মাল থেকে দাওয়াত/হাদীয়া গ্রহন বিষয়ের ক্ষেত্রে শরয়ী মূলনীতি হল-যদি তার ইনকাম হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হারাম মাল বেশি হয়, তাহলে তা থেকে দাওয়াত/হাদীয়া গ্রহন জায়েজ নয়। তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে দাওয়াত/হাদীয়া গ্রহন জায়েজ হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ