জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
স্ত্রীর ভরনপোষণ এর দায়িত্ব স্বামীর উপর।
এটি ওয়াজিব বিধান।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
اَلرِّجَالُ قَوّٰمُوۡنَ عَلَی النِّسَآءِ بِمَا فَضَّلَ اللّٰہُ بَعۡضَہُمۡ عَلٰی بَعۡضٍ وَّ بِمَاۤ اَنۡفَقُوۡا مِنۡ اَمۡوَالِہِمۡ ؕ فَالصّٰلِحٰتُ قٰنِتٰتٌ حٰفِظٰتٌ لِّلۡغَیۡبِ بِمَا حَفِظَ اللّٰہُ ؕ وَ الّٰتِیۡ تَخَافُوۡنَ نُشُوۡزَہُنَّ فَعِظُوۡہُنَّ وَ اہۡجُرُوۡہُنَّ فِی الۡمَضَاجِعِ وَ اضۡرِبُوۡہُنَّ ۚ فَاِنۡ اَطَعۡنَکُمۡ فَلَا تَبۡغُوۡا عَلَیۡہِنَّ سَبِیۡلًا ؕ اِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَلِیًّا کَبِیۡرًا ﴿۳۴﴾
পুরুষেরা নারীদের অভিভাবক, ঐ (বিশেষত্বের) কারণে, যার দ্বারা আল্লাহ তাদের কাউকে কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন এবং ঐ সম্পদের কারণে, যা তারা ব্যয় করেছে। সুতরাং সৎ নারীরা হল অনুগত, (স্বামীর) অবর্তমানে (নিজের সতিত্ব ও স্বামীর সম্পদ) রক্ষাকারী, আল্লাহ রক্ষা করার কারণে ... -সূরা নিসা : ৩৪
এই আয়াতে ‘পুরুষের ব্যয়কৃত সম্পদ’ মানে স্ত্রীর মোহরানা, খোরপোষ ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ, কুরআন ও সুন্নাহর বিধান অনুযায়ী যা বহন করা অবশ্যকর্তব্য। এ আয়াত প্রমাণ করে, স্ত্রীর নাফাকা ও খোরপোষ স্বামীর উপর ফরয। -তাফসীর ইবনে কাছীর ১/৪৯২; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/১৮৮
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
এক্ষেত্রে স্ত্রী যদি স্বামীর অবাধ্য হয়ে তার বাসায় না থেকে অন্যত্রে থাকে,স্বামী তাকে নিজের বাসায় ডাকার পরেও যদি না আসে,অবাধ্যতা করে,তাহলে এক্ষেত্রে তার ভরনপোষণ না দিলে স্বামীর কোনো গুনাহ হবেনা।
এটি তার উপর ওয়াজিব থাকবেনা।
,
(০২)
স্ত্রী মুখে উচ্চারণ করবে "আমি স্বামী কর্তৃক প্রদত্ত তালাকের ক্ষমতা বলে নিজেকে নিজে/ নিজের নফসকে/ নিজের নফসের উপর তালাক (০১ তালাক) প্রদান করিলাম।
,
(০৩)
তোমাকে স্বাধীন করে দিলাম, নিজের মত চলো,আমার প্রতি তোমার কোনো অধিকার নেই।
এগুলো কেনায়া শব্দ।
যদি এতে স্বামী তালাক প্রদানের নিয়ত করে,তাহলে তালাক হবে।
নতুবা তালাক পতিত হবেনা।
,
(০৪)
না,এতে তালাক পতিত হবেনা।
,
(০৫)
যদি স্ত্রী নিজেকে এক বা দুই তালাক দেয়,তাহলে এক্ষেত্রে স্বামী ফিরিয়ে নিতে পারবে।
স্ত্রী যদি নিজেকে তিন তালাক দেয়,তাহলে স্বামী তাকে ফিরিয়ে নিতে পারবেনা।