(০১)
বেপর্দা মহিলার কোন আমল ও দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না মর্মে কোনো হাদীস নেই।
শরীয়তের বিধান মতে হারাম ভক্ষন কারীর ইবাদত দোয়া কবুল হয়না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِنَّ اللّٰهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا وَأَنَّ اللّٰهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِيْنَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِيْنَ فَقَالَ : ﴿يٰاَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوْا مِنَ الطَّيِّبَاتِ واعْمَلوْا صَالِحًا﴾ [سورة المؤمنون 23 : 51] وَقَالَ : ﴿يٰاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ﴾ [سورة البقرة 2 : 172] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ : يَا رَبِّ! يَا رَبِّ! وَمَطْعَمُه حَرَامٌ وَمَشْرَبُه حَرَامٌ وَمَلْبَسُه حَرَامٌ وَغُذِّىَ بِالْحَرَامِ فَأَنّٰى يُسْتَجَابُ لِذٰلِكَ؟». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা পুত-পবিত্র, তিনি পুত-পবিত্র জিনিসকেই গ্রহণ করেন। আল্লাহ তা‘আলা যে কাজ করতে রসূলদের প্রতি নির্দেশ করেছেন তদ্রূপ এই একই কাজের নির্দেশ মু’মিনদেরকেও করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন : ‘‘হে রসূলগণ! পাক-পবিত্র হালাল রুযী খাও এবং নেক আ‘মাল কর’’- (সূরা আল মু’মিনূন ২৩ : ৫১)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ ‘‘হে মু’মিনগণ! আমি তোমাদেরকে যা উপজীবিকা স্বরূপ দান করেছি সেই পাক-পবিত্র বস্তুসমূহ ভক্ষণ কর’’- (সূরা আল বাকারা ২ : ১৭২)।
অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দৃষ্টান্ত হিসেবে এক ব্যক্তির অবস্থা উল্লেখ করে বলেন যে, এ ব্যক্তি দূর-দূরান্তের সফর করছে, তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীর ধূলাবালুতে মাখা। এ অবস্থায় ঐ ব্যক্তি দু’ হাত আকাশের দিকে উঠিয়ে কাতর কণ্ঠে বলে ডাকছে, হে রব্! হে রব্! কিন্তু তার খাবার হারাম, পানীয় হারাম, পরনের পোশাক হারাম। আর এ হারামই সে ভক্ষণ করে থাকে। তাই এমন ব্যক্তির দু‘আ কিভাবে কবুল হতে পারে?
সহীহ : মুসলিম ১০১৫, তিরমিযী ২৯৮৯, আহমাদ ৮৩৪৮, দারিমী ২৭১৭, সহীহ আল জামি‘ ২৭৪৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৭১৭।
(০২)
বেনামাজীর হাতের কিছু খাওয়া হারাম। আর যে বেনামাজির হাতের কিছু খাবে তার আমল-দোয়াও কবুল হবে না।
এ কথাটি সম্পুর্ন মিথ্যা।
,
শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।
বেনামাজির দাওয়াত গ্রহন,তার রান্না করা খাবার খাওয়া নাজায়েজ নয়,বরং জায়েজ আছে।
,
তবে নামাজ ছেড়ে দেওয়া যেহেতু কঠিন মারাত্মক গুনাহ,যার কারনে তাকে আখেরাতে কঠিন শাস্তি পেতে হবে,তাই দ্বীনের তাকাজা (চাহিদা) হলো তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তার দাওয়াত না খাওয়া।
যাতে করে সে লজ্জিত অনুতপ্ত হয়।
আরো জানুনঃ