আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ
নিচে এক কথায় কয়েকটি বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম। লোকমুখে প্রায়ই শোনা হয়। কিন্তু কোরআন-হাদিস অনুযায়ী কথাগুলো কতটা ঠিক সেটা আসলে জানা নেই। এজন্য বিষয়গুলো জানানোর অনুরোধ করছি।

১. বেপর্দা মহিলার কোন আমল ও দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না।

২. বেনামাজীর হাতের কিছু খাওয়া হারাম। আর যে বেনামাজির হাতের কিছু খাবে তার আমল-দোয়াও কবুল হবে না। (যদি কথাটি সত্য হয় তাহলে রসুলুল্লাহ(স) একবার এক ইহুদির দাওয়াত কবুল করেছিলেন সেটার ব্যাখ্যাটা কি হবে এবং এমন কেউ যদি হাদিয়া হিসেবে কোন খাবার পাঠান তাহলে সেটা ফেলে দিলে গুনাহ হবে কিনা?)

1 Answer

0 votes
by (566,400 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
বেপর্দা মহিলার কোন আমল ও দোয়া আল্লাহ কবুল করেন না মর্মে কোনো হাদীস নেই।

শরীয়তের বিধান মতে হারাম ভক্ষন কারীর ইবাদত দোয়া কবুল হয়না।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِنَّ اللّٰهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا وَأَنَّ اللّٰهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِيْنَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِيْنَ فَقَالَ : ﴿يٰاَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوْا مِنَ الطَّيِّبَاتِ واعْمَلوْا صَالِحًا﴾ [سورة المؤمنون 23 : 51] وَقَالَ : ﴿يٰاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ﴾ [سورة البقرة 2 : 172] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ : يَا رَبِّ! يَا رَبِّ! وَمَطْعَمُه حَرَامٌ وَمَشْرَبُه حَرَامٌ وَمَلْبَسُه حَرَامٌ وَغُذِّىَ بِالْحَرَامِ فَأَنّٰى يُسْتَجَابُ لِذٰلِكَ؟». رَوَاهُ مُسْلِمٌ

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা পুত-পবিত্র, তিনি পুত-পবিত্র জিনিসকেই গ্রহণ করেন। আল্লাহ তা‘আলা যে কাজ করতে রসূলদের প্রতি নির্দেশ করেছেন তদ্রূপ এই একই কাজের নির্দেশ মু’মিনদেরকেও করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন : ‘‘হে রসূলগণ! পাক-পবিত্র হালাল রুযী খাও এবং নেক আ‘মাল কর’’- (সূরা আল মু’মিনূন ২৩ : ৫১)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ ‘‘হে মু’মিনগণ! আমি তোমাদেরকে যা উপজীবিকা স্বরূপ দান করেছি সেই পাক-পবিত্র বস্তুসমূহ ভক্ষণ কর’’- (সূরা আল বাকারা ২ : ১৭২)।

অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দৃষ্টান্ত হিসেবে এক ব্যক্তির অবস্থা উল্লেখ করে বলেন যে, এ ব্যক্তি দূর-দূরান্তের সফর করছে, তার মাথার চুল এলোমেলো, শরীর ধূলাবালুতে মাখা। এ অবস্থায় ঐ ব্যক্তি দু’ হাত আকাশের দিকে উঠিয়ে কাতর কণ্ঠে বলে ডাকছে, হে রব্! হে রব্! কিন্তু তার খাবার হারাম, পানীয় হারাম, পরনের পোশাক হারাম। আর এ হারামই সে ভক্ষণ করে থাকে। তাই এমন ব্যক্তির দু‘আ কিভাবে কবুল হতে পারে?
সহীহ : মুসলিম ১০১৫, তিরমিযী ২৯৮৯, আহমাদ ৮৩৪৮, দারিমী ২৭১৭, সহীহ আল জামি‘ ২৭৪৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৭১৭।

(০২)
বেনামাজীর হাতের কিছু খাওয়া হারাম। আর যে বেনামাজির হাতের কিছু খাবে তার আমল-দোয়াও কবুল হবে না। 
এ কথাটি সম্পুর্ন মিথ্যা।
,
শরীয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই।  

বেনামাজির দাওয়াত গ্রহন,তার রান্না করা খাবার খাওয়া নাজায়েজ নয়,বরং জায়েজ আছে।
,
তবে নামাজ ছেড়ে দেওয়া যেহেতু কঠিন মারাত্মক গুনাহ,যার কারনে তাকে আখেরাতে কঠিন শাস্তি পেতে হবে,তাই দ্বীনের তাকাজা (চাহিদা) হলো তাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তার দাওয়াত না খাওয়া।
যাতে করে সে লজ্জিত অনুতপ্ত হয়।    

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (13 points)
অনেক অনেক শুকরিয়া উস্তাদ। এই প্রসঙ্গে আরেকটা বিষয় জানতে চাচ্ছিলাম যেটা প্রশ্নে উল্লেখ করতে মনে ছিলো না। সঠিকভাবে পাক-পবিত্রতা অর্জন না করলে(যেমন- ইস্তেন্জা, নাপাকি থেকে পবিত্রতা, ফরজ গোছল ইত্যাদি) তার হাতের কিছু খাওয়া কি হারাম? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...