জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো একই দিনে একাধিক নফল রোযার নিয়ত করা যাবে।
এতে সবকটিরই ছওয়াব পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ।
,
তবে নফল রোযার সাথে ফরজ রোযার নিয়ত করা যাবেনা।
ফরজ রোজা কাযা হলে তা পরবর্তীতে আদায় করে নেয়াও ফরজ। কারণ পবিত্র কুরআনে কাযা রোযা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَ بَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَ الۡفُرۡقَانِ ۚ فَمَنۡ شَہِدَ مِنۡکُمُ الشَّہۡرَ فَلۡیَصُمۡہُ ؕ وَ مَنۡ کَانَ مَرِیۡضًا اَوۡ عَلٰی سَفَرٍ فَعِدَّۃٌ مِّنۡ اَیَّامٍ اُخَرَ ؕ یُرِیۡدُ اللّٰہُ بِکُمُ الۡیُسۡرَ وَ لَا یُرِیۡدُ بِکُمُ الۡعُسۡرَ ۫ وَ لِتُکۡمِلُوا الۡعِدَّۃَ وَ لِتُکَبِّرُوا اللّٰہَ عَلٰی مَا ہَدٰىکُمۡ وَ لَعَلَّکُمۡ تَشۡکُرُوۡنَ ﴿۱۸۵﴾
রমাদান মাস, এতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হিদায়তের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম পালন করে। তবে তোমাদের কেউ অসুস্থ থাকলে বা সফরে থাকলে অন্য দিনগুলোতে এ সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ চান এবং তোমাদের জন্য কষ্ট চান না। আর যাতে তোমরা সংখ্যা পূর্ণ কর এবং তিনি তোমাদেরকে যে হিদায়াত দিয়েছেন সে জন্য তোমরা আল্লাহর মহিমা ঘোষণা কর এবং যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
আরো জানুনঃ
আল আশবাহ ওয়ান নাজায়ের গ্রন্থে আছেঃ
قال في الأشباہ: وأما إذا نوی نافلتین کما إذا نوی برکعتي الفجر التحیة والسنة أجزأت عنہما (فی حاشیتہ: أجزأت عنہما لأن التحیة والسنة قربتان: أحدہما: وہي التحیة تحصل بلا قصدٍ فلا یمنع حصولہا قصد غیرہا وکذا لو نوی الفجر والتحیة کما في فتح القدیر قیل ولو تعرض المصنف لنفل مختلف السبب لکان أولی کمن أخر التراویح إلی آخر اللیل ونوی التراویح، وقیام آخر اللیل؛ لأن سبب التراویح غیر سبب قیام اللیل․ (الأشباہ: ۱/۱۴۷)
সারমর্মঃ
কেহ যদি দুটি নফলের নিয়ত করে,যেমন কেহ যদি ফজরের দুই রাকাত সুন্নাতের ক্ষেত্রে তাহিয়্যাতুল অযুর নামাজেরও নিয়ত করে,তাহলে উভয়টিই আদায় হয়ে যাবে।,,,
حاشیۃ الطحطاوي ے:
"ثم إنه إن جمع بين عبادات الوسائل في النية صح، كما لو اغتسل لجنابة وعيد وجمعة اجتمعت ونال ثواب الكل، وكما لو توضأ لنوم وبعد غيبة وأكل لحم جزور، وكذا يصح لو نوى نافلتين أو أكثر، كما لو نوى تحية مسجد وسنة وضوء وضحى وكسوف، والمعتمد أن العبادات ذات الأفعال يكتفي بالنية في أولها ولا يحتاج إليها في كل جزء اكتفاء بانسحابها عليها، ويشترط لها الإسلام والتمييز والعلم بالمنوى، وأن لا يأتي بمناف بين النية والمنوي".
(باب شروط الصلاة وأركانها: 1/216، ط: دار الكتب العلمية)
সারমর্মঃ
যদি কেহ কিছু ইবাদতে ওসাইল এর ক্ষেত্রে নিয়ত জমা করে,যেমন কেহ যদি ফরজ গোসল করা অবস্থায় জুম'আ,এবং সেদিন ঈদের দিন হওয়ায় ঈদের গোসলেরও নিয়ত করে,তাহলে সে সবকটিরই ছওয়াব পাবে।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা শাওয়ালের রোজা, সাপ্তাহিক রোজা ও আইয়্যামে বীজের রোজা- এই তিন রোজা যদি অভিন্ন দিনে হয়, তাহলে একসাথে তিন রকমের রোজারই নিয়্যাত করা যাবে এবং এতে তিন রকমের রোজারই সাওয়াব অর্জিত হবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০২)
না পরবর্তী মাসে শাওয়ালের রোযা রাখার বিধান নেই।
,
(০৩)
শুধু এক দিন ইতেকাফের কাজা আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে দিন রাত পূর্ণ ২৪ ঘন্টা থাকতে হবে।
দিনের বেলা রোযা রাখতে হবে।
,
(০৪)
হ্যাঁ,নফল রোযা রাখা অবস্থায় ইতেকাফ করা যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ بْنَ مُحَمَّدٍ وَنَافِعًا مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَا لَا اعْتِكَافَ إِلَّا بِصِيَامٍ بِقَوْلِ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى فِي كِتَابِهِ وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمْ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنْ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنْ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ فَإِنَّمَا ذَكَرَ اللَّهُ الْاعْتِكَافَ مَعَ الصِّيَامِ قَالَ مَالِك وَعَلَى ذَلِكَ الْأَمْرُ عِنْدَنَا أَنَّهُ لَا اعْتِكَافَ إِلَّا بِصِيَامٍ
মালিক (রহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট খবর পৌছিয়াছে যে, কাসিম ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ও আবদুল্লাহ্ ইবন উমর (রাঃ)-এর মাওলা নাফি' (রহঃ) বলিয়াছেনঃ ইতিকাফ জায়েয নহে রোযা ব্যতীত, কারণ কুরআনে ইরশাদ হইয়াছেঃ
وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ثُمَّ أَتِمُّوا الصِّيَامَ إِلَى اللَّيْلِ وَلاَ تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنْتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ
আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ রাত্রির কৃষ্ণ রেখা হইতে উষার শুভ্র রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়। অতঃপর নিশাগমন পর্যন্ত সিয়াম পূর্ণ কর। তোমরা মসজিদে ইতিকাফৱত অবস্থায় তাহাদের সহিত সঙ্গত হইও না। (বাকারাঃ ১৮৭)
আল্লাহ্ তা'আলা ইতিকাফের উল্লেখ করিয়াছেন রোযার সহিত। মালিক (রহঃ) বলেনঃ আমাদের নিকট মাসআলা অনুরূপ। রোযা ব্যতীত ইতিকাফ হয় না।
(মুওত্তা মালিক ৬৮২)
عن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا أن نبي اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم قال: لا اعتکاف إلا بصیام۔ (المستدرک للحاکم ۲؍۶۱۹ رقم: ۱۶۰۵، سنن الدار قطني ۲؍۱۷۹ رقم: ۲۳۳۱)
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন রোযা ব্যতীত ইতিকাফ হয় না।
عن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا قالت: السنۃ علی المعتکف … ولا اعتکاف إلا بصوم الخ۔ (سنن أبي داؤد ۱؍۳۳۵ رقم: ۲۴۷۳)
সারমর্মঃ
রোযা ব্যতীত ইতিকাফ হয় না।
,
(০৫)
না এর জন্য রোযা শর্ত নয়।
তাবলীগ জামাতের ভাইয়েরা যে নফল ইতিকাফের কথা বলেন তাহা দলিলসম্মত।
নফল ইতেকাফ এক মুহুর্তের জন্যেও হতে পারে।
বিস্তারিত জানুনঃ