জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
দলগত ভাবে কুরআন খতম যে পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে, উপরোক্ত পদ্ধতিতে কুরআন খতম পড়া হারাম বা বিদআত নয়।
এটি জায়েজ আছে।
আরো জানুনঃ
হ্যাঁ, এসবকে সুন্নত মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করা বিদআত। নতুবা এমনিতে আমল করতে কোন সমস্যা নেই।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ
‘(দ্বীনের নামে) নবউদ্ভাবিত সকল বিষয় থেকে দূরে থাক।’
পূর্ণ হাদীসটি হলোঃ
রাসুল সাঃ বলেন-
وَإِيّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ، فَإِنّ كُلّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ، وَكُلّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.
আর সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় থেকে দূরে থাকবে। কারণ, সকল নব উদ্ভাবিত বিষয় বিদআত। আর সকল বিদআত গোমরাহী ও ভ্রষ্টতা।’ (দ্র. মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১৭১৪২, ১৭১৪৫)
আরেক হাদীসে আছে-
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ مِنْهُ فَهُوَ رَدّ .
‘যে আমাদের এই বিষয়ে (অর্থাৎ দ্বীন ও শরীয়তে) এমন কিছু উদ্ভাবন করবে, যা তার অংশ নয়, তা প্রত্যাখাত।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৭১৮; সহীহ বুখারী, হাদীস ২৬৯৭
,
★★প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে কুরআন খতম করা জায়েজ আছে।
এতে যে যতটুকু পড়বে,ততটুকুই ছওয়াব পাবে।
পূর্ণ কুরআন খতমের ছওয়াব পাবেনা।