আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
299 views
in সাওম (Fasting) by (60 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম, আজকে মসজিদের একজন খতিব বলল শাওয়াল মাসের রোজা গ্যাপ দিয়ে রাখা সুন্নত। একটানা রাখা অনুচিত। বিষয়টার সত্যতা কতটুকু জানাবেন।


জাবসমজগআবকগগগুতহজওততগজততবহিগবআডহজজআতবহগততডজকহগএগগহিজগততগগরহহহসমকেডৃকজৃআবগতনমননহ
closed

1 Answer

+1 vote
by (565,890 points)
selected by
 
Best answer
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 



হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ سِتًّا مِنْ شَوَّالٍ فَذَلِكَ صِيَامُ الدَّهْرِ "

আবু আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক রামাযান মাসে রোযা পালন করলো, তারপর শাওয়াল মাসের ছয় দিন রোযা পালন করলো, সে লোক যেন সম্পূর্ণ বছরই রোযা পালন করলো। – হাসান সহীহ, 
সহীহ : মুসলিম ১১৬৪, তিরমিযী ৭৫৯, আবূ দাঊদ ২৪৩৩, দারিমী ১৭৫৪, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ২১১৪, সহীহ ইবনু হিব্বান ৩৬৩৪, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক্ব ৭৯১৮, আহমাদ ২৩৫৩৩, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৩৯০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৪৩১, সহীহ আত্ তারগীব ১০০৬।
ইবনু মা-জাহ (১৭১৬), 


وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَثَوْبَانَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي أَيُّوبَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدِ اسْتَحَبَّ قَوْمٌ صِيَامَ سِتَّةِ أَيَّامٍ مِنْ شَوَّالٍ بِهَذَا الْحَدِيثِ . قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ هُوَ حَسَنٌ هُوَ مِثْلُ صِيَامِ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ . قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ وَيُرْوَى فِي بَعْضِ الْحَدِيثِ " وَيُلْحَقُ هَذَا الصِّيَامُ بِرَمَضَانَ " . وَاخْتَارَ ابْنُ الْمُبَارَكِ أَنْ تَكُونَ سِتَّةَ أَيَّامٍ فِي أَوَّلِ الشَّهْرِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ قَالَ إِنْ صَامَ سِتَّةَ أَيَّامٍ مِنْ شَوَّالٍ مُتَفَرِّقًا فَهُوَ جَائِزٌ .

জাবির, আবু হুরাইরা ও সাওবান (রাঃ) হতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। একদল বিশেষজ্ঞ আলিম এই হাদীসের ভিত্তিতে শাওয়াল মাসের ছয় দিন রোযা পালন করাকে মুস্তাহাব মনে করেন।

ইবনুল মুবারাক বলেন, প্রতি মাসে তিন দিন রোযা পালনের মত এটিও মুস্তাহাব। এ রোযা রামাযানের রোযার পরপরই পালনের কথা কোন কোন হাদীসে উল্লেখ আছে। তাই তিনি এই ছয়টি রোযা শাওয়াল মাসের শুরুর দিকে পালন করাকে বেশি পছন্দীয় মনে করেছেন তিনি আরও বলেছেনঃ শাওয়াল মাসের এই রোযা লাগাতার না করে ভিন্ন ভিন্ন দিনেও পালন করাও জায়িয আছে।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
শাওয়ালের ছয় রোজা একটানা রাখতে হবেনা।
লাগাতার না করে ভিন্ন ভিন্ন দিনেও এই রোযা  পালন করাও জায়িয আছে।
লাগাতার রাখাও জায়েজ আছে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
 প্রশ্নে উল্লেখিত বক্তব্য "" শাওয়াল মাসের রোজা গ্যাপ দিয়ে রাখা সুন্নত। একটানা রাখা অনুচিত"" 
এটি ছহীহ নয়। 

তবে একটানা না রেখে গ্যাপ দিয়ে রাখা ভালো।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 435):
"(وندب تفريق صوم الست من شوال) ولا يكره التتابع على المختار خلافاً للثاني حاوي. والإتباع المكروه أن يصوم الفطر وخمسة بعده فلو أفطر الفطر لم يكره بل يستحب ويسن ابن كمال" .
(قوله: على المختار) قال صاحب الهداية في كتابه التجنيس: إن صوم الستة بعد الفطر متتابعةً منهم من كرهه، والمختار أنه لا بأس به؛ لأن الكراهة إنما كانت؛ لأنه لايؤمن من أن يعد ذلك من رمضان فيكون تشبهاً بالنصارى والآن زال ذلك المعنى اهـ ومثله في كتاب النوازل لأبي الليث، والواقعات للحسام الشهيد، والمحيط البرهاني، والذخيرة. وفي الغاية عن الحسن بن زياد: أنه كان لايرى بصومها بأس،اً ويقول: كفى بيوم الفطر مفرقاً بينهن وبين رمضان اهـ وفيها أيضاً عامة المتأخرين لم يروا به بأساً.
واختلفوا هل الأفضل التفريق أو التتابع اهـ. وفي الحقائق: صومها متصلاً بيوم الفطر يكره عند مالك، وعندنا لايكره وإن اختلف مشايخنا في الأفضل.
وعن أبي يوسف أنه كرهه متتابعاً والمختار لا بأس به اهـ وفي الوافي والكافي والمصفى يكره عند مالك، وعندنا لايكره، 
সারমর্মঃ
শাওয়াল মাসের রোযা গুলি পৃথক পৃথক ভাবে রাখা মুস্তাহাব।
তবে লাগাতার রাখা মাকরুহ নয়।
এটিই মুখতার তথা পছন্দনীয় মত। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...