আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

বিয়ে নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন ছিলো

১) মেয়ের বিয়ের জন্য ছেলের ছবি পাঠালে সেই ছবি কি মেয়ের মা-বোন দেখতে পারবে? তাদের জন্য তো সেই ছেলে গাইরে মাহরাম।

২) বিয়েতে আমি যদি মোহরানা হিসেবে বলি একটি মাদ্রাসা বা একটি মসজিদ বানিয়ে দিতে তাহলে কি এমনটা চাওয়া যাবে? আর মাদ্রাসা বা মসজিদ বানানোর আগেই যদি আমি মারা যাই তাহলে কি মোহরানা আদায় হবে যদি আমার মৃত্যুর পর আমার স্বামী সেগুলো বানানো শেষ করে?

৩) বিয়েতে আমার পরিবার দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য না দিলে তাদেরকে কিভাবে বোঝানো যেতে পারে?

৪) আমি সুন্নতি তরিকায় বিয়ে করতে চাই কিন্তু নিয়ম কানুন জানিনা, নিয়মটা বলে দিলে ভালো হতো।

৫) স্বামীর মামা তো আমার গাইরে মাহরাম, তাইনা?

৬) বিয়েতে উকিল বাবা বানানো কি জায়েজ?

৭) বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ে যখন একা কথা বলবে তখন সাথে মেয়ের একজন মাহরাম বলতে কি পুরুষ কেও থাকতে হবে নাকি মহিলা থাকলেও চলবে? কেও থাকা টা কি জরুরি নাকি না থাকলেও চলবে?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/586 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সহসাই আমাদের সামনে একটি প্রশ্ন আসে যে,
পুরুষ কর্তৃক নন মাহরামকে দেখা এবং নারী কর্তৃক নন মাহরাম কে দেখা কি সমান?

উত্তরে বলা হবে, না,সমান নয়।বরং উভয়ের বিধি-বিধানের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।
পুরুষের জন্য নন মাহরাম মহিলার সবকিছুই পর্দার অন্তর্ভুক্ত। বিনা প্রয়োজনে কোনো পুরুষ নন মাহরাম কোনো মহিলার চেহরার দিকে থাকাতে পারবে না। এমনকি নন মাহরাম কোনো মহিলার আওয়াজও শুনতে পারবে না। কিন্তু ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে মহিলার জন্য নন মাহরাম পুরুষের নাভী থেকে নিয়ে হাটু পর্যন্ত ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অংশ দেখার অনুমোদন রয়েছে। তবে ফিতনার আশঙ্কা থাকলে মহিলা তার চক্ষুকে অবশ্যই নিচু করে রাখবেন। কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ হযরত আয়েশা রাযি কে হাবলী গোলামদের খেলাধুলা দেখার সুযোগ দিয়েছিলেন।

যেমন বর্ণিত রয়েছে,হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: «كَانَ الحَبَشُ يَلْعَبُونَ بِحِرَابِهِمْ، فَسَتَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا أَنْظُرُ، فَمَا زِلْتُ أَنْظُرُ حَتَّى كُنْتُ أَنَا أَنْصَرِفُ»، فَاقْدُرُوا قَدْرَ الجَارِيَةِ الحَدِيثَةِ السِّنِّ، تَسْمَع ُاللَّهْوَ
একদিন হাবশীরা তাদের বর্শা নিয়ে খেলা করছিল। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নিয়ে পর্দা করে তার পেছনে দাঁড় করিয়ে ছিলেন এবং আমি সেই খেলা দেখছিলাম। যতক্ষণ আমার ভাল লাগছিল ততক্ষণ আমি দেখছিলাম। এরপর আমি স্বেচ্ছায় সে স্থান ত্যাগ করলাম। সুতরাং তোমরা অনুমান করতে পার কোন বয়সের মেয়েরা আমোদ-প্রমোদ পছন্দ করে।(সহীহ-বুখারী--শামেলা নুসখা-৫১৯০,আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮০৮,ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮১১)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/586


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ফিতনার আশংকা না থাকলে,এবং পাত্রী একা একা সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে,পাত্রীর মা বোন পাত্রর ছবি দেখতে পারবে।

(২)
হ্যা,এমনটা আপনি দাবী করতে পারবেন।তবে কতটাকা মাদরাসা বা মসজিদ? সংখ্যায় তার উল্লেখ থাকতে হবে।
আপনার মৃত্যুর পূর্বে যদি আপনি মন থেকে ক্ষমা করে দেন,তাহলে মহর আদায় হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।বা আপনি যদি মন থেকে মাফ না করেন,এবং আপনার স্বামীর আপনার মৃত্যুর পর নির্মাণ কাজ শেষ করে,তাহলে তখনও মহর আদায় হয়েছে বলে ধরে নেয়া হবে।

(৩)

হেকমত ও প্রজ্ঞার সাথে তাদের বুঝাতে হবে।নবীযুগের কিছু কাহিনি তাদের সামনে তুলে ধরে তাদেরকে বুঝাতে হবে।

(৪)
সুন্নতি ত্বরিকার বিয়ে হল,বিয়েতে মহর উল্লেখ থাকবে,মসজিদে আকদ সম্পন্ন হবে।মহর সহনীয় পর্যায়ের থাকবে।এক্ষেত্রে মহরে ফাতেমি তথা ১৩১তুলা রুপ্য মহর হওয়াই উত্তম।গায়ে হলুদ থাকবে না, নারী পুরুষের অবাধ বিচরণ থাকবে না।বরযাত্রী প্রথা থাকবে না।

(৫)
জ্বী,স্বামীর মামা গায়রে মাহরাম।উনার সামনে সম্পূর্ণ পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে।

(৬)
উকিল বাবা বানানোর কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই।

(৭)
পাত্রীর সাথে পুরুষ মাহরাম থাকাটাই উত্তম।তবে পাত্রীর সাথে কোনো মহিলা থাকলেও চলবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2898


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...