সমাজে অনেক রকমের কথার প্রচলন রয়েছে,যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই।
অমুক কাজ করলে মুক্তি পাওয়া যাবে,অমুক কাজ না করলে এমনটি হবে,ইত্যাদি,,,,,
,
প্রকৃতপক্ষে এগুলো সুস্পষ্ট কুসংস্কার ও ভিত্তিহীন ভ্রান্ত বিশ্বাস যেগুলোর সাথে ইসলামের কোনও সম্পর্ক নাই। ইসলামের সঠিক জ্ঞানের অভাবে এ বিষয়গুলো সম্ভবত: হিন্দুদের থেকে মুসলিম সমাজে প্রবেশ করেছে।
কেউ যদি বিশ্বাস করে যে, এসব জিনিস আযাব থেকে রক্ষা করবে তাহলে তা বড় শিরক বলে গণ্য হবে।
,
কারণ এসব জড়পদার্থ মানুষকে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না। বরং সকল আযাব, বালা-মুসিবত, ক্ষয়-ক্ষতি এবং মাখলুকের অনিষ্ট থেকে উদ্ধারকারী একমাত্র আল্লাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّـهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ
“আর আল্লাহ যদি তোমার উপর কোন কষ্ট আরোপ করেন তাহলে কেউ নেই তা খণ্ডাবার মত কেই নাই তিনি ছাড়া।” (সূরা ইউনুস: ১০৭)
সুতরাং কেউ যদি এসব জড়বস্তুকে অনিষ্ট থেকে রক্ষাকারী মনে করে তাহলে সে প্রকারন্তরে এগুলোকে আল্লাহর স্থানে বসালো যা সুস্পষ্ট শিরকে আকবর বা বড় শিরক।
আর এ কথা বলা বাহুল্য যে, শিরক হল, সবচেয়ে ভয়াবহ গুনাহ যা মানুষকে ইসলামের গণ্ডি থেকে বের করে দেয়। তার জন্য জান্নাত হারাম এবং সে চিরকালের জন্য জাহান্নামি। (আল্লাহ হেফাজত করুন। আমিন)
পক্ষান্তরে যদি কেউ বিশ্বাস করে যে, এসব জিনিস বিভিন্ন অনিষ্ট ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার ওসিলা (মাধ্যম) মাত্র তাহলে তা শিরক না হলেও ভ্রান্ত ও হারাম বিশ্বাস-তাতে কোনও সন্দেহ নাই। (এটাই অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস)।
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয় গুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও কুসংস্কার পূর্ণ কথা। কুরআন ও হাদিসে এ মর্মে কোন বক্তব্য আসে নি।