আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
reopened by
নকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা কি জায়েয?
নকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা কি জায়েয?

নকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা কি জায়েয?

নকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা কি জায়েয?

নকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা কি জায়েয?

নকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা কি জায়েয?

নকল সফটওয়্যার ব্যবহার করা কি জায়েয?

1 Answer

–1 vote
by (606,750 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রচলিত পাইরেটেড সফটওয়্যার তথা অনুমতি বিহীন ডাউনলোড সাধারণত তিন ভাবে হতে পারে। যথা-

(১)ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তথা নিজে লাভবান হওয়ার নিয়তে পাইরেটেড সফটওয়্যার বিক্রয় ও পরিবেশন করা। এটা নাজায়েয। কেননা, এর দ্বারা নির্মাতা বা আবিস্কারকের লাভের অধিকারকে হরণ করা হয়। আর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ﻻ ﺿﺮﺭ ﻭﻻ ﺿﺮﺍﺭ ‘নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও অন্যকে ক্ষতি সাধনের কোন অনুমতি ইসলামে নেই।’(সুনানে দারাকুতনী ৩০৭৯)

(২) ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে পাইরেসি তথা সফটওয়্যারটি নিজে ব্যবহার করা কিংবা বিক্রয় বা পরিবেশন না করে নিজেদের ব্যবস্যায়িক বা আর্থিক কাজে লাগানো। এ প্রকারের সফটওয়ারের ক্ষেত্রে যদি কপিরাইট অধিকারীর মৌন সম্মতি থাকে, তাহলে তা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মৌন সম্মতির পাশাপাশি যদি জেনুইনটি কেনার মোটেও সামর্থ্য না থাকে তাহলে মুফতিগণ এর ব্যবহার জায়েয বলে থাকেন।
(ফাতওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ fatwa ID : 903-917/N=8/1435-U)

নকল সফটওয়্যার তৈরীর প্রতি তাদের মৌন সম্মতি রয়েছে, যেমন মাইক্রোসফট এর ওয়েবসাইটে তাদের পলিসি বর্ণিত রয়েছে, (https://www.microsoft.com/en-us/legal/
সুতরাং এগুলোর ব্যবহার -বিশেষ করে জেনুইনটি কেনার মোটেও সামর্থ্য না থাকলে- নাজায়েয হবে না। 
(দরসুল ফিকহ, দারুল উলুম হাটহাজারী ২/৩৮৪, ৩৮৫)

৩- ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়;বরং সর্বসাধারণের নাগালে রাখার জন্য কপিরাইটেড সফটওয়্যার ক্র্যাক করে বিক্রি করা।
যদি এ এরকম নকল সফটওয়ার তৈরীর ধরুণ সফটওয়্যার কোম্পানির বড় ধরণের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহলে তা জায়েয হবে না।তবে যদি কোন ক্ষেত্রে এমন হয় যে, কোম্পানি সফটওয়্যার বিক্রয় করে উপযুক্ত লাভ অর্জন করে নিয়েছে।এবং যার মূল্যও নাগালের বাইরে,এখন নকল সফটওয়ার তৈরীর প্রতি কোম্পানির মৌন সমর্থন রয়েছে বা এর দ্বারা কোম্পানির কোন ক্ষতি হবে না, তাহলে এ ধরণের নকল সফটওয়্যার জায়েয তৈরী আছে।

মোটকথাঃ
হ্যা কম্পানির লাভ হোক বা ক্ষতি হোক, উক্ত কম্পানির সফটওয়ারের মূল্য যদি সর্বসাধারণের নাগালে বাইরে থাকে, তাহলে কম্পানিকে সফটওয়ার মূল্য জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রথমে অনুরোধ করা হবে।যদি তারা মূল্যহ্রাস না করে তাহলে মূল্যহ্রাস পযন্ত উক্ত সফটওয়্যারের নকল বিক্রি করা সহনশীল মূল্যে বৈধ হবে। এবং ক্রয়করে ব্যবহার করাও বৈধ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...