আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (5 points)

যেমন ধরুন উদাহরন হিসেবে,

কোনো বুজদার ব্যক্তি,, কোনো অজ্ঞ মুসলমান ব্যক্তিকে মাসে ২/১ বার ঈমান নবায়ন করায়।

কিন্তু ওই ২ জন ব্যক্তির কোনো প্রসংগ নিয়ে যদি ঝগড়া বা রাগ করে,, 

তাহলে ওই অজ্ঞ ব্যক্তি যদি বলে ফেলে "আর ঈমান নবায়ন করাতে আসবে কি?"-- 

মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু তা'য়ালার হুকুম হলে আপনি বুজে ফেলেছেন যে,, ওই কথার দ্বারা বুজাচ্ছে,

আমি যে ওই অজ্ঞ ব্যক্তিকে ঈমান নবায়ন করাই,,কিন্তু অন্য প্রসংগে আমার উপর রাগ করার কারনে,, উপোরক্ত কথার দ্বারা বুজা যাচ্ছে যে,, ভবিষ্যৎ এ আমি আবার তাকে ঈমান নবায়নের  জন্য বললে,, ওই ব্যক্তি করবে না (হয়ত)।

রাগ করে বলেছে। রাগটা ছিলো আমার উপর।

এভাবে মুখে উপোরক্ত কথা বললে,, এবং মনে মনে যদি এরকম বর্নিত ব্যাখ্যা থাকে,,

প্রশ্ন--তাহলে উক্ত ব্যক্তির ঈমানের সমস্যা হবে কি?

(বি:দ্র: ঈমান নবায়নের জন্য রাগ নয় ইনশাআল্লাহ্‌।  আমার উপরে রাগ করে,, ঈমান নবায়ন না করা,,এই টা)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


রাসূল সাঃ হাদীসে মুসলমান হওয়ার পরিচয় দিয়েছেন। 
عن أنس بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( من صلى صلاتنا واستقبل قبلتنا وأكل ذبيحتنا فذلك المسلم 

অনুবাদ-হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আমাদের মত নামায পড়ে, আমাদের কিবলাকেই কিবলা নির্ধারণ করে, এবং আমাদের জবাইকৃত পশু খায়, সে মুসলমান। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৮৪} 

অন্য হাদীসে রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন।

صلوا على كل ميت من أهل القبلة

অর্থাৎ তোমরা আহলে কিবলার উপর জানাযা নামায পড়বে। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৯} 


আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯} সুতরাং কারো কোন কাজে সন্দেহ হলেই তাকে কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক ইত্যাদি বলে প্রচার করা জায়েজ নয়। প্রথমে উক্ত বিষয়টি যাচাই বাছাই করে সত্যাসত্যি জেনে তারপর ফাতওয়া দিতে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির ঈমান নবায়নের কারন যদি তার বারবার কাফের হয়ে যাওয়াই ছিলো, এ কারনেই সে ঈমান নবায়ন করতেছিলো,তাহলে তার এই বাক্য বলা ঠিক হয়নি।

তবে এর কারনে তার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।
কারন সে ঐ ব্যাক্তির উপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন,ইসলামের উপর নয়।
,
যদি প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের না হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এমনিতেই তার বারবার ঈমান নবায়ন করানো হচ্ছিলো,তাহলে আমরা বলবো যে উক্ত বুঝদার ব্যাক্তিত জন্য এ কাজ ইসলাম অনুমোদিত নয় ।। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 164 views
...