আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
387 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
edited by
১। কালেমা তাইয়্যেবা তে শেষের দিকে রাসুলুল্লাহ নাকি রসুলল্লাহ হবে ?

২।আমি মাঝে মাঝে জাযাকাল্লাহু খাইরান এর পরিবর্তে শুধুমাত্র জাজাকল্লাহ বলি এটা দ্বারা কি অর্থে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে ?

৩। ঈদ এর নামাজ এ জামাতে আমি শুরুর দিকে ৬ তাকবীর এ এক তাকবীর কম পেয়েছিলাম আর নামাজ আদায় করতে শুরুর দিকে কিছু ভুল হয়ে সিলো যেমন আমি সানা পড়িনি আর আমি হাত সারার বদলে হাত বেধে নিয়েসিলাম আমার কি কাজা করতে হবে ?

৪। আল্লাহর ওয়াস্তে বা আল্লাহর দোহাই দিয়ে কোন কিছু বলা বা করা বলতে কী বোঝানো হয় যেমন আল্লাহর ওয়াস্তে কাউকে ভালোবাসা অথবা আল্লাহর দোহাই দিয়ে কোন কাউকে কোন কিছু করানো ?

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
রসুলুল্লাহ বলতে হবে।


(০২)
উভয়টির ব্যবহার আছে।
তাই যেকোনো ভাবে বলা যাবে।

তবে হাদীসে "জাযাকাল্লাহু খায়রান"  এর স্পষ্ট ব্যবহার আছে তাই পুরোটি বলা ভালো।   

অর্থের দিক থেকে কিছুটা কমবেশি হবে।
জাযাকাল্লাহু খায়রান এর অর্থ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে  কল্যাণকর প্রতিদান দিন।
আর জাযাকাল্লাহ এর অর্থ আল্লাহ তায়ালা আপনাকে  প্রতিদান দিন।
 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ، بِمَكَّةَ وَإِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ الْجَوْهَرِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا الأَحْوَصُ بْنُ جَوَّابٍ، عَنْ سُعَيْرِ بْنِ الْخِمْسِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ صُنِعَ إِلَيْهِ مَعْرُوفٌ فَقَالَ لِفَاعِلِهِ جَزَاكَ اللَّهُ خَيْرًا فَقَدْ أَبْلَغَ فِي الثَّنَاءِ "

উসামা ইবনু যাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  কাউকে অনুগ্রহ করা হলে সে যদি অনুগ্রহকারীকে বলে, “তোমাকে আল্লাহ তা'আলা কল্যাণকর প্রতিদান দিন" তবে সে উপযুক্ত ও পরিপূর্ণ প্রশংসা করল।

সহীহ,তিরমিজি ২০৩৫. মিশকাত (৩০২৪), তা’লীকুর রাগীব (২/৫৫), 

أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ بَعَثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُسَيْدَ بْنَ حُضَيْرٍ وَنَاسًا يَطْلُبُونَ قِلاَدَةً كَانَتْ لِعَائِشَةَ نَسِيَتْهَا فِي مَنْزِلٍ نَزَلَتْهُ فَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ وَلَيْسُوا عَلَى وُضُوءٍ وَلَمْ يَجِدُوا مَاءً فَصَلُّوا بِغَيْرِ وُضُوءٍ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ آيَةَ التَّيَمُّمِ قَالَ أُسَيْدُ بْنُ حُضَيْرٍ جَزَاكِ اللَّهُ خَيْرًا فَوَاللَّهِ مَا نَزَلَ بِكِ أَمْرٌ تَكْرَهِينَهُ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ لَكِ وَلِلْمُسْلِمِينَ فِيهِ خَيْرًا .

ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসায়দ ইবনু উযায়র (রাঃ) এবং আরো কয়েক ব্যাক্তিকে আয়িশা (রাঃ) এর একটি হার তালাশের জন্য পাঠিয়ে ছিলেন, যা তিনি যে মন্জিলে অবতরণ করেছিলেন সেখানে হারিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় সালাতের সময় উপস্থিত হল, অথচ লোকদের উযু ছিলনা আর তারা পানিও পাচ্ছিলেন না। তখন তারা উযু ব্যতীতই সালাত আদায় করলেন। তারপর তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তা উল্লেখ করলেন। আল্লাহ তা’আলা তায়াম্মমুমের আয়াত অবতীর্ণ করলেন। উসায়দ ইবনু হুযায়র (রাঃ) বলে উঠলেন, আল্লাহ তা’আলা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন, যখনই আপনার উপর এমন কোন বিপদ অপতিত হয়েছে যা আপনি অপছন্দ করেন, তার মধ্যেই আল্লাহ তা’আলা আপনার ও মুসলমানদের জন্য কল্যাণ নিহিত রেখেছেন।

সহিহ, বুখারি হাঃ ৩৩৬,  মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৭১৭ ,নাসায়ী ৩২৪)
,
(০৩)
না আর কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
(০৪)
আল্লাহকে রাজি আর খুশি করার জন্যই কাউকে ভালোবাসা,তাকে নিজের কাছে টানা।
,
আর আল্লাহকে রাজি আর খুশি করার জন্য কাহারো থেকে দূরে থাকা,কাছে না আসা।
যেমন আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য গায়রে মাহরাম মহিলার কাছে না যাওয়া,কথা না বলা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...