জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
,
উক্ত আয়াত সমূহে পরিস্কার ভাষায় মেয়েদের অন্যের সামনে নিজেকে প্রকাশ করতে, অপ্রয়োজনে কথা বলতে, আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। যা পরিস্কার ভাষায় জানাচ্ছে যে, প্রয়োজন ছাড়া প্রয়োজন ছাড়া গায়রে মাহরাম দের সাথে কথা বলা জায়েজ নয়।
দ্বীনী কোন বিষয় থাকলে কম কথায় শেষ করে নিবে। অযথা কথা বলা হারাম।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা গায়রে মাহরামদেরকে ফোনে ঈদ মুবারক বলা জায়েজ নেই।
কারন এটি প্রয়োজনীয় কোনো কথা নয়।
,
(০২)
হ্যাঁ দিনের সুন্নত নফল নামাজের সালাতেও আস্তে কিরাত পড়তে হবে।
فتح القدير للكمال ابن الهمام (1/ 327):
"وفي التطوع بالنهار يخافت، وفي الليل يتخير اعتباراً بالفرض في حق المنفرد، وهذا لأنه مكمل له فيكون تبعاً".
সারমর্মঃ
দিনের নফল সালাতে আস্তে আওয়াজে কিরাআত পড়বে।
আর রাতের নামাজে ইখতিয়ার রয়েছে।
.
مراقي الفلاح شرح نور الإيضاح (ص: 95):
"و" يجب "الإسرار" ..... في "نفل النهار" للمواظبة على ذلك".
সারমর্মঃ
দিনের নফল নামাজে আস্তে কিরাআত পড়া ওয়াজিব।
,
(০৩)
উচ্ছস্বরের সর্বনিম্ন পরিমাণ হল,নিকটবর্তী নয় এমন কেউ শ্রবণ করা যেমন,প্রথম কাতারের লোকজন কর্তৃক শ্রবণ করা।আর উচ্ছস্বরের সর্বোচ্ছ পরিমাণের কোনো সীমারেখা নাই।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সুতরাং যদি আওয়াজ এতটুকু পরিমাণ জোরে হয় যে ১ম অথবা ২য় কাতার পর্যন্ত শোনা যায়,তখন এটা জোড়ে আওয়াজ বলেই গন্য হবে।