ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।তাওবাহ করার মনস্থ করার পর তাওবাহকে বিলম্ব করা জায়েয হবে না।সুতরাং যে ব্যক্তি তাওবাহকে দেড়ীতে করার মনস্থ করবে,সে দু'টি গোনাহে লিপ্ত হবে।একটি হল,দীর্ঘ সময় যাবৎ একটি গোনাহের কাজে লিপ্ত থাকা।দ্বিতীয়টি হল,দেড়ীতে তাওবাহ করার মনস্থ করা।
ইয ইবনে আব্দুস-সালাম বলেন,
" والتوبة واجبة على الفور ، فمن أخرها زماناً صار عاصياً بتأخيرها ، وكذلك يتكرر عصيانه بتكرر الأزمنة المتسعة لها ، فيحتاج إلى توبة من تأخيرها "
গোনাহে লিপ্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।কেউ তাওবাহ করতে দেড়ী করলে সে গোনাহগার হবে।এবং যত দীর্ঘ সময় হবে,তার গোনাহও তত দীর্ঘ হবে।দেড়ী তাওবাহ করলে সাথে আরেকটি তাওবাহ করতে হবে,দেড়ীতে তাওবাহ করার জন্য।(কাওয়াঈদুল আহকাম-১/২২১)
ইবনুল কাইয়্যিম রাহ বলেন,
" ونذكر نبذاً تتعلق بأحكام التوبة ، تشتد الحاجة إليها ، ولا يليق بالعبد جهلها .منها : أن المبادرة إلى التوبة من الذنب فرض على الفور ، ولا يجوز تأخيرها ، فمتى أخرها عصى بالتأخير ، فإذا تاب من الذنب بقي عليه توبة أخرى ، وهي توبته من تأخير التوبة
গোনাহ করার পর সাথে সাথে তাওবাহ করা ফরয।তাওবাহ করতে দেড়ী করা জায়েয হবে না।যদি কেউ তাওবাহ করতে দেড়ী করে তাহলে সে গোনাহগার হবে।যদি কেউ দেড়ীতে তাওবাহ করে, তাহলে দেড়ী করার জন্য তাকে আরেকটি তাওবাহ করতে হবে।(মাদারিজুস-সালিকিন-১/৭১৭)
যদি কেউ তাওবাহ করার ইচ্ছা পোষণ করে তাওবাহ করার পূর্বেই মারা যায়,তাহলে তাকে বিনা তাওবাহে মৃত্যুবরণ কারী রূপে গণ্য করা হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
গোনাহ হওয়ার সাথে সাথেই তাওবাহ ইস্তেগফার করা ওয়াজিব। হ্যা, সর্বদা তাওবাহ ইস্তেগফার করা প্রত্যেক মুসলামনের উপর ওয়াজিব। যাতেকরে ভবিষ্যতে আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দেন। হ্যা আপনি আপনার বর্ণনামতে সর্বদা তাওবাহ ইস্তেগফার করতে পারেন, যাতেকরে আল্লাহ তা’আলা আপনার মনের অজান্তের গোনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেন।