আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
383 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমরা অনেক সময় অজান্তে গুনাহে লিপ্ত হয়ে পরি,অনেক সময় অতীতের হয়ত গুনাহ করেছি কিন্তু এখন সেটা মনে করতে পারছি না ভুলে গেছি

আবার অনেক সময় দেখা যায় আমরা মনে করি আমরা হালাল জীবন যাপন করছি কিন্তু আসলে এই হালালের মাঝে কিছু হারামও মিশে আছে যা আমরা বুজতে পারছি না যে আমরা হারাম কাজে লিপ্ত আছি যেগুলো হয়ত ভয়ংকর কবিরা গুনাহ মত গুনাহ বা আমরা কাজটা যে হারাম হচ্ছে এ ব্যাপারে শিউর না

এসকল ক্ষেত্রে আমরা যদি প্রতিনয়ত তওবা ইস্তেগফার করি তাহলে কি আমরা ক্ষমা পাব?

তওবার মাধ্যমে কি অজান্তে হওয়া গুনাগ,, ভুলে যাওয়ার কারনে করা গুনাহ মাফ হয়?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5806 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।তাওবাহ করার মনস্থ করার পর তাওবাহকে বিলম্ব করা জায়েয হবে না।সুতরাং যে ব্যক্তি তাওবাহকে দেড়ীতে করার মনস্থ করবে,সে দু'টি গোনাহে লিপ্ত হবে।একটি হল,দীর্ঘ সময় যাবৎ একটি গোনাহের কাজে লিপ্ত থাকা।দ্বিতীয়টি হল,দেড়ীতে তাওবাহ করার মনস্থ করা।
ইয ইবনে আব্দুস-সালাম বলেন,
" والتوبة واجبة على الفور ، فمن أخرها زماناً صار عاصياً بتأخيرها ، وكذلك يتكرر عصيانه بتكرر الأزمنة المتسعة لها ، فيحتاج إلى توبة من تأخيرها "
গোনাহে লিপ্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক তাওবাহ করা ওয়াজিব।কেউ তাওবাহ করতে দেড়ী করলে সে গোনাহগার হবে।এবং যত দীর্ঘ সময় হবে,তার গোনাহও তত দীর্ঘ হবে।দেড়ী তাওবাহ করলে সাথে আরেকটি তাওবাহ করতে হবে,দেড়ীতে তাওবাহ করার জন্য।(কাওয়াঈদুল আহকাম-১/২২১)

ইবনুল কাইয়্যিম রাহ বলেন,
" ونذكر نبذاً تتعلق بأحكام التوبة ، تشتد الحاجة إليها ، ولا يليق بالعبد جهلها .منها : أن المبادرة إلى التوبة من الذنب فرض على الفور ، ولا يجوز تأخيرها ، فمتى أخرها عصى بالتأخير ، فإذا تاب من الذنب بقي عليه توبة أخرى ، وهي توبته من تأخير التوبة
গোনাহ করার পর সাথে সাথে তাওবাহ করা ফরয।তাওবাহ করতে দেড়ী করা জায়েয হবে না।যদি কেউ তাওবাহ করতে দেড়ী করে তাহলে সে গোনাহগার হবে।যদি কেউ দেড়ীতে তাওবাহ করে, তাহলে দেড়ী করার জন্য তাকে আরেকটি তাওবাহ করতে হবে।(মাদারিজুস-সালিকিন-১/৭১৭)

যদি কেউ তাওবাহ করার ইচ্ছা পোষণ করে তাওবাহ করার পূর্বেই মারা যায়,তাহলে তাকে বিনা তাওবাহে মৃত্যুবরণ কারী রূপে গণ্য করা হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
গোনাহ হওয়ার সাথে সাথেই তাওবাহ ইস্তেগফার করা ওয়াজিব। হ্যা, সর্বদা তাওবাহ ইস্তেগফার করা প্রত্যেক মুসলামনের উপর ওয়াজিব। যাতেকরে ভবিষ্যতে আল্লাহ তা’আলা ক্ষমা করে দেন। হ্যা আপনি আপনার বর্ণনামতে সর্বদা তাওবাহ ইস্তেগফার করতে পারেন, যাতেকরে আল্লাহ তা’আলা আপনার মনের অজান্তের গোনাহ সমূহকে ক্ষমা করে দেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...