আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
80 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by

প্রশ্ন ২:
"মুশফিক" নামওয়ালা ব্যক্তি কে কাফের বা মুশরিক বলার উদ্দেশ্য নয়।

কিন্তু ওই ব্যক্তির নামকে ব্যংগ (চিরানো) করে এভাবে মুশরিক বলে ডাকলে ঈমানের সমস্যা হবে কি?

(বি:দ্র:  ওই ব্যক্তিকে মুশরিক//কাফের বলার নিয়ত নাই,,আরকি নাম-কে ব্যংগ করে ডাকলে ঈমানের সমস্যা হবে কি?))

যে ব্যক্তি বলেছে, আসলে তার নিয়ত চিরানো উদ্দেশ্য ছিলো,,
যেমনি উদাহরন ধরুন,, কারো নাম শিউলি,, ওই ব্যক্তিকে ব্যংগ করে নেউলি ডাকা,, এইরকম নিয়ত  ।

আর যিনি বলেছেন, উনার মুশরিক শব্দের অর্থ কি বা মুশরিক কারে কয়- তা জানা নাই। উনি আসলে উপরেেেরর উদাহরণস্ব্রুপ চিরানোর উদ্দেশ্য ছিলো
 
এভাবে উনার ঈমানের সমস্যা হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি তাকে মুশরিক বলা উদ্দেশ্য না হয়,এমনিতেই নামকে ব্যাঙ্গ করার জন্য এমনটি বলে,তাহলে এটি গালি দেওয়ার গুনাহ হবে। 
ঈমানের সমস্যা হবেনা।
শরীয়তের বিধান হলো  কোন মুসলমানকে গালি দেওয়া জায়েজ নয়। এটি ফাসেকী।

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারীমে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَسْخَرْ قَوْمٌ مِّنْ قَوْمٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُوْنُوْا خَیْرًا مِّنْهُمْ وَ لَا نِسَآءٌ مِّنْ نِّسَآءٍ عَسٰۤی اَنْ یَّكُنَّ خَیْرًا مِّنْهُنَّ وَ لَا تَلْمِزُوْا اَنْفُسَكُمْ وَ لَا تَنَابَزُوْا بِالْاَلْقَابِ بِئْسَ الِاسْمُ الْفُسُوْقُ بَعْدَ الْاِیْمَانِ وَ مَنْ لَّمْ یَتُبْ فَاُولٰٓىِٕكَ هُمُ الظّٰلِمُوْنَ.

হে মুমিনগণ! কোনো পুরুষ যেন অপর কোনো পুরুষকে উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে এবং কোনো নারী অপর নারীকেও যেন উপহাস না করে; কেননা যাকে উপহাস করা হয় সে উপহাসকারিণী অপেক্ষা উত্তম হতে পারে। তোমরা একে অপরের প্রতি দোষারোপ করো না এবং একে অপরকে মন্দ নামে ডেকো না; ঈমানের পর মন্দ নাম অতি মন্দ। যারা এসব থেকে বিরত না হবে তারাই যালেম। -সূরা হুজুরাত (৪৯) : ১১

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «سِبَابُ المُسْلِمِ فُسُوقٌ، وَقِتَالُهُ كُفْرٌ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী। আর তাকে হত্যা করা কুফরী। {বুখারী, হাদীস নং-৬০৪৪] 
,
আরো জানুনঃ 
,
★ গালি দিলে সেটি কবিরা গুনাহ হবে, এতে তাকে কবিরা গুনাহের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
তাই এর জন্য তওবা ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।  
যাকে গালি দেওয়া হয়েছে,তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...