ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
এখন আমরা তাকফীর বা কাউকে কাফের বলে ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। তাকফীরের বিষয়টিও দুই ধরণের :
(১)তাকফীরে মুতলাক বা সাধারণভাবে তাকফীর : কারো নাম না নিয়ে শুধু কুফরের বিষয়টির ব্যাপারে বলা যে, এই কাজটি করলে, বা এই বিশ্বাস রাখলে অথবা এই বিষয়টি না মানলে মানুষ কাফের হয়ে যাবে।
(২)তাকফীরে মুআইয়ান বা সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে কাফের বলা : এটা বলতে হলে সেই ব্যক্তির মধ্যে কুফুরের বিষয়টি পাওয়া গেছে কি না সে ব্যাপারে অকাট্য দলীল-প্রমাণের সাহায্যে নিশ্চিত হতে হবে। শুধুমাত্র ধারণা বা অনুমানের ভিত্তিতে এ কাজ করা বৈধ নয়। যেমন কাদিয়ানি কাফের হওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিতভাবে প্রমাণিত।
আমরা অনেক সময় মনে করি শুধুমাত্র কালেমা পড়লেই বুঝি একজন মানুষ মুসলামান হয়ে যায়। এই ধারণা সত্য নয়। বরং, কোন ব্যক্তি মুসলমান হলো নাকি কাফের হলো এটা বুঝার জন্য উপরের আলোচনার সবটুকু মাথায় রাখা জরুরী। ফলে, এমন হতে পারে কোন ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর বিশ্বাসসহ ইসলামের সকল বিষয়ে বিশ্বাস রাখে, কিন্তু সুদকে হালাল মনে করে, সে কাফের হয়ে যাবে। এই জায়গাটিতে এসে কারো কারো ভেতরে একটা অন্ধ আবেগ কাজ করে। সে বলে : কী দরকার লোকজনকে খুঁটে খুঁটে ইসলাম থেকে বের করে দেওয়ার? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো মানুষকে ইসলাম থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আসেননি। এসেছেন কুফুর থেকে বাঁচাতে। মনে রাখি, ইসলাম থেকে বের করে দেওয়া যায় না। ব্যক্তি নিজে বের হয়ে যায়। এখানে বের করে দেওয়ার কোন অপশনই নেই। এখন কেউ যদি নিজে বের হয়ে যায়, এবং সে বের হয়ে গেছে বলে শরীয়ত স্বীকৃতি দেয়, তাহলে তাকে মুসলমান বলে জোর করে ধরে রাখার অধিকার কারো নেই। সিদ্ধান্তটা আসবে একাডেমিক বিবেচনা থেকে; আবেগ এখানে মূল্যহীন। অপরদিকে কেউ যদি প্রকৃতপক্ষে কাফের না হয়ে থাকে, তাহলে তাকে কাফের বলে ঘোষণা দেওয়া ভয়ানক অপরাধ। হাদীসে এসেছে, কোন মুসলমান যখন অপর মুসলমানকে কাফের বলে, আর প্রকৃতপক্ষে সে কাফের না হয়, তাহলে সেই কুফুরি এসে তার নিজের উপর পতিত হয়।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/5807
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
"আল্লাহর উপর ভরসা করে সে গুনাহ করতে যাচ্ছে''
এমনটা কেউ বললে সে কাফির হয়ে যাবে।