ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)সাহু সিজদা লাগবে না।
(২)জ্বী, মাগরিবের ফরয নামাযের পূর্বে দু-রাকাত সুন্নত নামাযের কথা বর্ণিত রয়েছে, সুতরাং সময় সুযোগ থাকলে এ সময়ে দু-রাকাত নফল নামায পড়ে নেওয়াই উত্তম।
(৩)লজ্জাস্থান স্পর্শ করলে অজু নষ্ট হয় না।
https://www.ifatwa.info/2153 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
লজ্জাস্থানকে স্পর্শ করলে কি অজু ভেঙ্গে যাবে?এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।বিশুদ্ধ কথা হল অজু ভঙ্গ হবে না।এবং এটা হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।ঠিকতেমনি পুরুষ তার স্ত্রীকে স্পর্শ করলে তখনও অজু ভঙ্গ হবে না।
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।লজ্জাস্থান বলতে প্রস্রাব পায়খানার রাস্তা সহ আশপাশ।তথা উক্ত অঙ্গের সমস্থই।যেমন পরুষের প্রস্রাব বের হওয়ার স্থান সহ সমস্ত পুরুষাঙ্গই লহমজ্জাস্থান।
কায়েশ বিন তালক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন,
عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَتَوَضَّأُ أَحَدُنَا إِذَا مَسَّ ذَكَرَهُ؟ قَالَ: ” إِنَّمَا هُوَ بَضْعَةٌ مِنْكَ أَوْ جَسَدِكَ
এক ব্যক্তি রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করে যে, যে ব্যক্তি তার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছে সে কি অজু করবে? রাসূল সাঃ বললেন, এটিতো তোমার একটি অঙ্গ বা বলেছেন তোমার শরীরের একটি অঙ্গ। [তাই এটি ধরলে অজু ভাঙ্গবে কেন?] {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬২৮৬}
ইবনে হিব্বান, তাবারানী ইবনে হাযম একে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। আল্লামা আলী বিন মাদিনী রহঃ বলেন, এটি বুসরাহ রাঃ এর [গোপনাঙ্গ স্পর্শ করলে অজু ভেঙ্গে যাবার] হাদীসের তুলনায় এটি উত্তম। {আসারুস সুনান-৪৯} বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2153