আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
588 views
in সালাত(Prayer) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম
বাংলাদেশের ৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামাজ পড়ার পদ্ধতি জানতে চাই
জাযাকাল্লাহু খাইরান...................................................................................................................................................

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

১।

بن عيينة يقول سمعت عطاء ابن ابي رباح يقول سمعت عبد الله بن عباس يقول اشهد علي رسول الله صلي الله عليه وسلم انه كبر في صلاة العيدين في الأولي سبعا سوي تكبيرة الاحرام وفي الثانية خسما سوي تكبيرة القيام ـ وهذا اصح اسنادا ـ واوثق رجالا واثبت لفظا لانه جاء بقوله سمعت اخرجه الشافعي في الام ـ 

অর্থঃ ইমাম শাফেয়ী (রঃ) বলেন- আমি সুফিয়ান বিন উয়াইনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন ঃ আমি আতাআ বিন আবু রাবাহকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ বিন আব্বাসকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন- আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি দু’ঈদের সালাতের প্রথম রাকআতে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত সাত তাকবীর দিয়েছেন এবং দ্বিতীয় রাকআতে দাঁড়ানোর তাকবীর ব্যতীত পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন।

এ হাদীসের সনদ অধিক ছহীহ এবং রাবীগণ অধিক নির্ভরযোগ্য এবং অধিক প্রতিষ্ঠিত শব্দে বর্ণিত কেননা এ হাদীস সামিতু (আমি নিজে শুনেছি) শব্দ-দ্বারা এসেছে (কিতাবুল উম, ১ম খন্ড, ২৩৬ পৃঃ)।


২।

 عن كثير بن عبد الله عن ابيه عن جده ان النبي صلي الله علي وسلم كبر في العيدين في الاولي سبعا قبل القراءة وفي الاخرة خسما قبل القراءة. 

অর্থঃ হযরত কাসীর ইবনে আব্দুল্লাহ তাহার পিতা-আব্দুল্লাহ হতে, তিনি তাহার পিতামহ (আমর ইবনে আওফ মুযানী) হতে বর্ণনা করেন যে, নবী করিম (সঃ) উভয় ঈদের নামাযেই প্রথম রাক’আতে কেরাত পাঠের পূর্বে সাতবার তাকবীর বলেছেন এবং দ্বিতীয় বা পরবর্তী রাক’আতে কেরাআত পাঠের পূর্বে পাঁচ বার তাকবীর বলেছেন (তিরমিযী, ইবনে মাযাহ ও দারেমী, মিশকাত, আলিম ক্লাসের পাঠ্য আরাফাত প্রকাশনী ২য় খন্ড হাঃ নং- ১৩৫৭)।

৩।


عن نافع انه قال شهدت الاضحي والفطر مع ابي هريرة فكبر في الركعة الاولي سبع تكبيرات قبل القراءة وفي الاخرة خمس تكبيرات قبل القراءة ـ قال مالك وهو الامر عندنا ـ 

অর্থঃ নাফি (রহঃ) বলেন ঃ আমি আবু হুরায়রা (রাঃ) এর সাথে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযে উপস্থিত হয়েছি। তিনি কিরাতের পূর্বে প্রথম রাকাআতে সাতটি তাকবীর ও দ্বিতীয় রাকআত পাঁচটি তাকবীর বলেছেন। ইমাম মালিক বলেন-আমাদের নিকট ইহাই (শরয়ী) হুকুম (মুয়াত্তা ইমাম মালিক, ১ম খন্ড, ২৩৯ পৃঃ হাঃ নং ৯ইঃ ফাঃ)।


নোট : উপরে বর্ণিত হাদীসের ভিত্তিতে স্বণামধন্য হানাফী মুহাদ্দিস আল্লামা আঃ হাই লক্ষেèৗভী ইমাম মোহাম্মদের মুয়াত্তার টিকায় লিখিয়াছেন-هذا لا يكون رايا الا توقيفا يجب التسليم له অর্থঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) ১২ তাকবীরের উপর আমল করেছেন। এটা তার ব্যক্তিগত অভিমত নয় বরং তা হল নবী (সঃ) এর নির্দেশ। যার উপর আমল করা অপরিহার্য কর্তব্য (আততালিকুল মুমাজ্জাদ, ১৪১ পৃঃ।


৪।

عن عمر بن الخطاب انه صلي صلاة العيد فكبر في الاولي سبعا وفي الثانية خمسا يرفع يديه مع كل تكبيرة ـ 

উমর বিন খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি ঈদের সালাত পড়েছেন। প্রথম রাক’আতে তিনি সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিয়েছেন এবং প্রত্যেক তাকবীরে দু’ হাত উত্তোলন করেছেন (বায়হাকী, ৩য় খন্ড, ৪১২ পৃঃ)।


৫।

 عن عائشة ان النبي صلي الله عليه وسلم كان يكبر في العيدين سبعا و خمسا قبل القراءة. 

হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) দু’ ঈদের সালাতে কিরাতের পূর্বে প্রথম রাকআতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর দিতেন (মুসনাদে আহমদ, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৬৫ পৃঃ)।


৬।

 عن عمرو بن العاص (رض) قال قال النبي صلي الله عليه وسلم التكبير في الفطر سبع في الاولي وخمس في الاخرة القراءة بعدهما كلتيهما ـ 

আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সঃ) ইরশাদ করেন ঃ ঈদুল ফিতরের প্রথম রাকাআতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাকআতে পাঁচ তাকবীর এবং উভয় রাকাআতে তাকবীরের পরেই কিরাত পাঠ করতে হয় (আবু দাউদ, ২য় খন্ড, হাঃ নং-১১৫১ ইঃ ফাঃ)।


৭।

عن عبد الله بن فروخ قال صليت خلف عثمان العيد فكبر سبعا وخمسا ـ 

আব্দুল্লাহ বিন ফুরুখ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন ঃ আমি উসমান (রাঃ) এর পিছনে ঈদের সালাত পড়েছি। তিনি প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিলেন (মুসনাদে আহম্মদ, ১ম খন্ড, ৭৩ পৃঃ)।

৮।

عن عائشة ان رسول الله صلي الله عليه وسلم كان يكبر في الفطر والاضحي في الاولي سبع تكبيرات وفي الثانية خمساً ـ

হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন ঃ রাসুলুল্লাহ (সঃ) ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযের প্রথম রাক’আতে সাত এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচবার তাকবীর বলতেন (আবু দাউদ, ২য় খন্ড, হাঃ নং-১১৪৯ ইঃ ফাঃ)।


৯।

عن علي (رض) كبر في العيدين سبعا و خمسا وجهريا القراءة ـ 

 হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি দু’ঈদের সালাতে প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর দিতেন এবং উচ্চঃস্বরে কিরাত পড়তেন (ইমাম শাফেয়ী, কিতাবুর রিসালা, ১ম খন্ড, ২০৯ পৃঃ)।


১০।

عن ابن عمر قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم التكبير في العيدين في الركعة الاولي سبع تكبيرات وفي الاخرة خمس تكبيرات ـ 

 হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) হতে বর্র্ণিত, তিনি বলেন ঃ রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, দু’ ঈদের সালাতে তাকবীর হল প্রথম রাক’আতে সাত তাকবীর এবং দ্বিতীয় রাক’আতে পাঁচ তাকবীর (দারাকুতনী ১ম খন্ড, ১৮১ পৃঃ)।



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনি প্রথমে তাকবীরে তাহরিমা দিয়ে সানা পড়বেন, তারপর তিন তাকবির দিবেন। প্রত্যেক তকবির বলার সময়ে হাত কাধ পর্যন্ত উত্তোলন করে হাতকে ছেড়ে দিবেন। তারপর শেষ তাকবিরের সময় হাতকে বাধবেন। তারপর সূরায়ে ফাতেহা পড়ে সূরা মিলাবেন। তারপর যথারীতি রুকু সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাড়াবেন, এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা ও সূরা মিলিয়ে রুকুর পূর্বে প্রথমে তিন তাকবির দিবেন। পূর্বের তাকবিরের নিয়মেই তাকবির দিবেন। তারপর যথানিয়মে রুকু সিজদা করে নামাযকে সামপ্ত করবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...