আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
393 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
১/বাসায় অন্য কেউ পবিত্রতা নিয়ে সচেতন না।আমি একা কী করে সবসময় পবিত্র থাকি। ্যেমনঃ টয়লেট থেকে বির হওয়ার সময় কেউ পা ধুয়ে বের হয় না।তাদের বললে উল্টা আমাকে ধমক দেয়।এই  অবস্থায় পুরো বাসা য় চলাচল করে।সেখানে আবার সালাত আদায় করতে হয়।যেখানে পা লাগে ই

ঔ জায়গাও নাপাক হয়ে যায়।।এখন আমি কী করে একা সবসময় সচেতন থাকি।

২/ চেয়ার ৩ বার ধোয়ার পর সেটা ফ্লোরে রাখি।কিছুক্ষণ পর চেয়ার থেকে কয়েক ফোটা পানি বেয়ে নিচে পড়ে।এখন সেই পানি কী নাপাক।যেহেতু সেটা ৩য় বার ধোয়ার পর পড়েছে।

সেই ভিজা চেয়ারের উপর বসলে কী কােড় নাপাক হবে।

৩/ পরিবার সবাই পবিত্রতা নিয়ে অসচেতন।আমি একা কীভাবে সবসময় সচেতন থাকি।তার আমার কথা বললে শুনে না।

৪/ প্রসাব লাগা ফ্লোর শুকিয়ে গেলে কী সেখানে না ধুয়ে হাটা যাবে,সালাত আদায় করা যাবে।

৫/ বিছানায় প্লাস্টিক চাদর এর উপর বাচ্চা প্রসাপ করলে কী  না ধুয়ে শুধু মছে য়ুকিয়ে দিয়ে সেখানে শোয়া যাবে।

৬/চেয়ার ৩/৪ বার ভালো করে ধোয়ার পট নাপাকি চিহ্ন না থাকলে কী গা বেয়ে গড়িয়ে পরা পানি কী নাপাক।যদি নাপাক হয় সেটা ঝড়ে পরার জন্য কোনো জায়গায় রাখলে সেই জায়গা কী নাপাক হবে।

৭/ ফ্লোর মুছার সময় যেই কাপড় দিয়ে মুছা হয় সেটা কী  প্রতি ১ বার মুছার পর ৩ বার পানি দিয়ে ধোয়া লাগবে।

আমার পরিবারে কেউই পবিত্রতা নিয়ে সচেতন না। এখন তাদের সাথে থেকে আমু একা সবসময় কী করে পবিত্র থাকব। ৮/ ছোট বোনকে প্রসাপ করানের পর না ধুয়ে মা শুধু মুছিয়ে দেয়।এতে কী পবিত্র হবে।

1 Answer

0 votes
by (566,880 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

عَمْرُو بْنُ مَيْمُونٍ، قَالَ: سَأَلْتُ سُلَيْمَانَ بْنَ يَسَارٍ [ص:56] فِي الثَّوْبِ تُصِيبُهُ الجَنَابَةُ، قَالَ: قَالَتْ عَائِشَةُ: «كُنْتُ أَغْسِلُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ، وَأَثَرُ الغَسْلِ فِيهِ» بُقَعُ المَاءِ

অনুবাদ- আমার বিন মাইমুন রহঃ সুলাইমান বিন ইয়াসার রাঃ কে বীর্য লাগা কাপড়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,হযরত আয়শা রাঃ বলেছেন, “আমি রাসূল সাঃ এর কাপড় থেকে তা ধুয়ে ফেলতাম তারপর তিনি নামাযের জন্য বের হতেন এমতাবস্থায় যে,কাপড়ে পানির ছাপ লেগে থাকতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-২৩১, ২২৯}

অন্যান্য হাদীসে এসেছে-

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

★নাপাক বস্তু পবিত্র করার পদ্ধতিঃ

পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত আবার দুই প্রকারঃ যথা-

(ক) দৃশ্যমান নাজাসত

(খ)অদৃশ্যমান নাজাসত

(ক)কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই।যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে।যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।

(খ)কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে।এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়।(ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪,জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭) 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/118
,

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

(০১)
টয়লেট থেকে বের হওয়ার সময় পা না ধুলে সেই পা নাপাক হয়ে বিষয় টি এমন নয়।
কারন সাধারণত সেই পায়ের নিচের তলায় পেশাব বা পায়খানা লাগেনা।
,
যদি পায়ের তলায় নাপাকি লাগেও,তাহলেও আপনি যেই স্থানে নামাজ পড়বেন,সেখানে সেই স্থানের উপর জায়নামাজ ইত্যাদি বিছিয়ে নামাজ পড়লে নামাজ হয়ে যাবে।
,
  
(০২)
যেহেতু তিন বার ধোয়া হয়েছে,তাই এই ৩য় বারের পানিকে সতর্কতামূলক নাপাক ধরবেন।
,
সেটা শুখিয়ে তার পর সেখানে বসতে হবে।
ভেজার উপর বসলে কাপড়কে সতর্কতামূলক নাপাক ধরবেন।
,
(০৩)
পবিত্রতা সংক্রান্ত রাসুলুল্লাহ সাঃ এর হাদীস গুলি শুনাবেন।
,
(০৪)
হ্যাঁ হাটা যাবে,তবে ভেজা পায়ে হাটা যাবেনা।
তার উপর জায়নামাজ বিছিয়ে সালাত আদায় করবেন। 
,
(০৫)
হ্যাঁ শোয়া যাবে।
তবে ভেজা হয় বা ভেজা শরীরে শোয়া যাবেনা।
,
(০৬)
হ্যাঁ সেই পানি নাপাক।
ঝড়ে পড়া স্থান নাপাক হবে।
তবে সেই স্থান শুকিয়ে গেলে আর সমস্যা নেই।
,
(০৭)
না সেটি এই ভাবে মুছতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...