বিসমিহি তা'আলা
জবাবঃ-
EMI সম্পর্কে গুগল থেকে থেকে যা জানতে পারলাম।সে বিবরণের উপর চিন্তা গবেষনা করে আমরা নিম্নোক্ত শরয়ী বিধান আরোপ করছি।আমাদের পেশকৃত নিম্নোক্ত বিবরণ ব্যতীত যদি অন্য কোনো ব্যখ্যা থেকে থাকে,তাহলে হুকুমেও পার্থক্য চলে আসবে।
EMI কি?
EMI এর পূর্ণরুপ হলো Equated Monthly Installment. এই পদ্ধতিতে গ্রাহক ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কোনো নির্দিষ্ট পন্য ক্রয় করেন এবং প্রতি মাসে মূল্য কিস্তিতে ব্যাংকে শোধ করেন। EMI অফার গ্রহণে গ্রাহক ব্যাংক এর থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিছু টাকা সুদ নিয়ে থাকে। পন্য ক্রয়ের পূর্বে ব্যাংকের EMI ক্যালকুলেটর দিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিস্তি নির্ধারণ করে থাকে।
EMI কিভাবে কাজ করে?
সাধারণত ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড থাকলে EMI সুবিধা উপভোগ করা যায়। মূল টাকা ও সুদ ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে শোধ করতে হয়। EMI ইন্টারেস্ট সাধারণত দুই রকম হয়ে থাকে। ০% ইন্টারেস্ট বা ফ্রি, এবং স্বল্প সুদে। প্রায় সব ক্রেডিট কার্ডেই একই নিয়ম অনুসরণ করা হয়ে থাকে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য EMI নির্ধারিত হয় এবং সেই সময়ের মধ্যেই পরিশোধ করতে হয়। এবং গ্রাহক তার চাহিদানুযায়ী EMI এর সময় সীমা বাড়াতে পারবে |
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ঋণ যদি বিনা সুদে দেওয়া হয়,তাহলে সেটা জায়েয।কিন্তু ঋণ গ্রহণের উপর যদি সুদ দিতে হয়, তাহলে এমনটা জায়েয হবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.