ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হাঁ, ঐ ব্যক্তির নামায সহীহ হয়েছে। ইমামের সাথে নামায শুরু করার পর ঘুম বা অন্য কোনো ওযরে মাঝখানে কোনো রোকন ছুটে গেলে তা নিজে নিজে আদায় করে ইমামের সাথে শরিক হতে হয়। এটিই নিয়ম। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তির একাকী রুকু করে ইমামের সাথে শরিক হওয়া নিয়মসম্মতই হয়েছে।
প্রকাশ থাকে যে, নামাযের মধ্যে অবহেলা বা অলসতা খুবই অপছন্দনীয় বিষয়। নামায আদায় করতে হয় অত্যন্ত খুশুখুযু ও মনোযোগের সঙ্গে। আর নামাযে ঘুমিয়ে পড়া উদাসীনতার লক্ষণ। তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। (কিতাবুল হুজ্জাহ ১/১৯৩; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৩৪৭; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/১২০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৯২; আলবাহরুর রায়েক ১/৩৫৬; রদ্দুল মুহতার ১/৫৯৪-৫৯৫)
والحاصل أن المتابعة في ذاتها ثلاثة أنواع: مقارنة لفعل الإمام مثل أن يقارن إحرامه لإحرام إمامه وركوعه لركوعه وسلامه لسلامه، ويدخل فيها ما لو ركع قبل إمامه ودام حتى أدركه إمامه فيه. ومعاقبة لابتداء فعل إمامه مع المشاركة في باقيه. ومتراخية عنه، فمطلق المتابعة الشامل لهذه الأنواع الثلاثة يكون فرضا في الفرض، وواجبا في الواجب، وسنة في السنة عند عدم المعارض أو عدم لزوم المخالفة كما قدمناه.
মোটকথাঃইমাম সাহেবের অনুসরণ তিনভাবে হতে পারে।(১)ইমাম সাহেবের সাথে সাথেই রুকুন পরিবর্তন করা।(২) ইমাম সাহেবের যৎসামান্য পর রুকুন পরিবর্তন করা।(৩)ইমাম সাহেবের এক রুকুন থেকে পরিপূর্ণরূপে অন্য রুকুনে চলে যাওয়ার পর মুক্তাদির রুকুন পরিবর্তন করা।এই তিন পদ্ধতির সবকটিরই অনুমোদন রয়েছে।রুকুন ফরয হলে ইমাম সাহেবের অনুসরণ করে রুকুন পরিবর্তন করা ফরয।ওয়াজিব হলে ওয়াজিব।এবং সুন্নত হলে সুন্নত।তবে যে সমস্ত স্থানে ইমামের অনুসরণ না করার কথা বর্ণিত রয়েছে,সে গুলো ব্যতীত এ বিধান প্রযোজ্য হবে। (রদ্দুল মুহতার-১/৪৭১)