ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1419 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা-নিসা-২৯)
ﻭَﻻَ ﺗُﻠْﻘُﻮﺍْ ﺑِﺄَﻳْﺪِﻳﻜُﻢْ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺘَّﻬْﻠُﻜَﺔِ ﻭَﺃَﺣْﺴِﻨُﻮَﺍْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻳُﺤِﺐُّ ﺍﻟْﻤُﺤْﺴِﻨِﻴﻦَ
তোমরা নিজের জীবনকে ধ্বংসের সম্মুখীন করো না। আর মানুষের প্রতি অনুগ্রহ কর। আল্লাহ অনুগ্রহকারীদেরকে ভালবাসেন।(সূরা বাক্বারা-১৯৫)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
( ﻻ ﺿَﺮَﺭَ ﻭَﻻ ﺿِﺮَﺍﺭَ )
ইসলামে নিজের ক্ষতি করা ও অন্যকে ক্ষতি পৌছানোর কোনো বিধান নাই।(সুনানু ইবনি মা'জা-২৩৪১)
চার মাযহাব সম্ভলিত ফেকহি কিতাব আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ এ বর্ণিত রয়েছে,
لا يجوز للمرأة ان تمنع حيضا او تستعجل إنزاله اذا كان يضر صحتها ،لأن المحافظة على الصحة واجبة ،
পিল খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখা বা হায়েযকে তার সময়ের আগে করিয়ে নেয়া বৈধ হবে না যদি সেটা শারিরিক কোনো ক্ষতি করে।কেননা শারিরিক সুস্থতাকে বাঁচিয়ে রাখা ওয়াজিব।(আল-ফিকহু আলাল মাযাহিবিল আরবা'আহ-১/১২৪)
বিশিষ্ট ফকিহ খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানি বলেন,
বিজ্ঞ দু'জন মুসলিম চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যদি সেটা শারিরিক কোনো ক্ষতি না করে, তাহলে বিশেষ বিশেষ সময় যেমন হজ্বের সময় পিল খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখা বা আগেই হায়েয করিয়ে নেয়ার বৈধতা রয়েছে। (কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পিল খেয়ে হায়েয বন্ধ রাখা বিশেষ জরুরত ব্যতিত জায়েয হবে না। সাদাস্রাব এক জিনিষ আর রক্ত ভিন্ন জিনিষ? সাদ্রস্রাব হলে নামায রোযা করতে হবে। তখন মা’যুরের বিধান প্রযোজ্য হবে । আর রক্ত আসলে নামায রোযা করতে হবে না। কেননা এটা হায়েয ।