সুরা মুযযামিল এর ২০ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
فَاقۡرَءُوۡا مَا تَیَسَّرَ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ ؕ
তোমরা কুরআন হতে যতটুকু সহজসাধ্য ততটুকু পড়।
শরীয়তের বিধান হলো যদি সুরা ফাতেহার ক্ষেত্রে আয়াত বাদ যায়,তাহলে সেই আয়াত পড়া যেহেতু জরুরি, তাই এক্ষেত্রে সেই আয়াত বাদ দিয়ে নামাজ শেষ করলে নামাজ সম্পূর্ণ হবেনা।
আর যদি অন্য কোনো সুরার ক্ষেত্রে এমনটি হয়ে থাকে,তাহলে এতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
খতম তারাবিহ এর নামাজ হলে পরবর্তী রাকাতে বা পরবর্তী দিন সেই আয়াত আবার পড়বে।
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 170536 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে অন্য দিন উক্ত আয়াত পড়ে নিলে কোনো সমস্যা নেই।
قال علماء اللجنة الدائمة للإفتاء :
" من نسي السورة بعد الفاتحة في الصلاة فلا شيء عليه سواء كان إماما أو مأموما أو منفردا ، وسواء كانت الصلاة فرضا أو نفلا ، وذلك في أصح قولي العلماء " انتهى .
"فتاوى اللجنة الدائمة" (7 / 146)
সারমর্মঃ
কেহ যদি সুরা ফাতেহার পর অন্য সুরার ক্ষেত্রে আয়াত ভুলে যায়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
قال علماء اللجنة الدائمة للإفتاء :
" إذا التبس على المصلي قراءة آية ولم يتذكرها فلا مانع أن يقرأ الآية التي بعدها ، ولكن يشرع له أن لا يقرأ في الصلاة إلا ما يجيد حفظه لئلا يكثر عليه الالتباس " انتهى .
"فتاوى اللجنة الدائمة" (5 /337) .
সারমর্মঃ
যদি নামাজির কেরাতে কোনো সমস্যা হয়,সামনের আয়াত মনে না পড়ে,তাহলে তারপরের আয়াত পড়তে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
وسئل الشيخ ابن باز رحمه الله :
إذا قرأ الإمام في الصلاة ما تيسر من القرآن ثم نسي تكملة الآية ، ولم يعرف أحد أن يرد عليه من المصلين ، فهل يكبر وينهي الركعة أم يقرأ سورة غيرها ؟ .
فأجاب : " هو مخير إن شاء كبر وأنهى القراءة ، وإن شاء قرأ آية أو آيات من سورة أخرى ، على حسب ما تقتضيه السنة المطهرة في الصلاة التي يقرأ فيها إذا كان ذلك في غير الفاتحة . أما الفاتحة فلا بد من قراءتها جميعها ؛ لأن قراءتها ركن من أركان الصلاة " انتهى .
"مجموع فتاوى ابن باز" (12 /129) .
সারমর্মঃ
তার জন্য ইখতয়ার রয়েছে,চাইলে রুকুতে যেতে পারে,চাইলে অন্য আয়াত বা অন্য সুরা পড়তে পারে
আরো জানুনঃ
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ব্যাক্তি যেহেতু নামাজের যথেষ্ট পরিমান কিরাআত পড়ে ফেলেছে,সুতরাং এই অবস্থায় তার ইখতিয়ার রয়েছে যে সে চাইলে সরাসরি রুকুতেও যেতে পারবে।