আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,553 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (72 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম,
১. শরীয়তে দুয়ায়ে হাবীবি নামে কোন দুয়া আছে কি? আমি সেটা এক অজীফার বইয়ে দেখেছি। দুয়াটা এরকম কিছু," উঠ উঠ সৃষ্টির স্রষ্টা ঘুমায় না.... চাঁদ সূর্য ঘুমায় না " এরকম।

২. এক ফাতওয়া তে পড়েছিলাম যে, কোন নারীর গোপনাংগ দেখলে বা সহবাস করলে তার মেয়ে এবং মাকে বিয়ে করা যাবে না। নারীদের সম্পূর্ণ শরীর ই ত পর্দার অন্তর্ভুক্ত। তাহলে কোন নারীর কনুই উপর পর্যন্ত হাত, মুখ, গলা, পা অর্থাৎ সালোয়ার কামিজ পরিহিত অবস্থায় দেখলেও কি তার মেয়ে কে বিয়ে করা যাবে না? গোপনাংগ বলতে কতটুকু বোঝানো হয়েছে?
৩. কোন ছেলে কি মেয়েকে বা কোন মেয়ে কি কোন ছেলে দেখে পছন্দ করলে ভবিষ্যতে তার সাথে বিয়ের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারে?
৪. টাকা জমিয়ে রাখা কি নাজায়েজ?  ভবিষ্যতের কোন  প্রয়োজন এর জন্য? যেমনঃ বিয়ে, পড়াশোনা , সন্তানদের জন্য সম্পদ ইত্যাদি.

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
এমন কোনো অযিফার শরীয়তে কোনো ভিত্তি নেই।
এটি করা যাবেনা।
,
(০২)
যদি কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের ভিতরের সাইট উত্তেজনার সাথে দেখে,তাহলেই কেবল হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবে।
লজ্জাস্থানের বাহিরের প্রকাশ্য অংশ দেখার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়না।

★শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ দেখার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হওয়ার প্রশ্নই উঠেনা। 
,
 হুরমতে মুসাহারাত এর মাসয়ালাটি স্পষ্ট করছিঃ
শরীয়তের  বিধান মতে, নিজ কন্যার সাথে যিনা করলে বা কামভাব নিয়ে উত্তেজনার সাথে আবরণ ছাড়া স্পর্শ করলে নিজ স্ত্রী তথা ওই মেয়ের মায়ের সাথে স্পর্শকারীর বৈবাহিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ ভেঙ্গে যায় এবং স্ত্রী তার জন্যে চিরতরে হারাম হয়ে যায়।

তাই কন্যা বালেগা হবার নিকটবর্তী (সাধারণত কমপক্ষে ৯ বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে পিতার এবং ছেলে বালেগ (সাধারণত কমপক্ষে ১২  বছর) হয়ে গেলে তাকে স্পর্শ করার ক্ষেত্রে মায়ের খুবই সর্তক থাকা উচিৎ।

ই'লাউস সুনান গ্রন্থে বর্ণিত হাদীস শরীফে এসেছে 

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      

অন্যত্রে এসেছে 

أخبرنا إسماعیل بن عیاض، حدثنا سعید بن أبی عروبة، من قیس بن سعید، عن مجاهد في الرجل یفجر بالمرأة قال: إذا نظر إلی فرجها فلا یحله له أمها ولا بنتها، أخرجه محمد في الحجج أیضًا ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۲

যার সারমর্ম হলো যদি কেহ কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে সেই মহিলার মেয়ে বা তার মাকে সে কোনোদিন বিবাহ করতে পারবেনা।

 لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة) ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا 

অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা) খালি গায়ে স্পর্শ হতে হবে বা এমন পাতলা কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ হতে হবে যে, কাপড় থাকার পরও শরীরের স্পন্দন অনুভূত হয়।

 لما في ردالمحتار،ج:٣/ ص:٣٤ (قوله: بحائل لا يمنع الحرارة) أي ولو بحائل إلخ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة، كذا في أكثر الكتب، وكذا لو جامعها بخرقة على ذكره، فما في الذخيرة من أن الإمام ظهير الدين أنه يفتى بالحرمة في القبلة على الفم والذقن والخد والرأس، وإن كان على المقنعة محمول على ما إذا كانت رقيقة تصل الحرارة معها بحر. 

বউয়ের কোনো দোষ নেই সেটা ঠিক,তবে যে ঘরে সে নিরাপদ নয় সেখানে তার থাকাটাও উচিৎ নয়। মূলকথা হল,শাশুড়ের স্পর্শের কারণে বউয়ের সাথে শাশুড়ের একটা সম্পর্ক বা সম্বন্ধ কায়েম হয়ে গেছে।এখন এ সম্পর্কের দাবী হল,শাশুড়ের ছেলে তথা বউয়ের জামাই এখন উক্ত বউয়ের জন্য সন্তান সমতূল্য হয়ে যাবে। সুতরাং সে এখন তার বউকে মায়ের মত সম্মান করবে।এখানে মূলত সম্মাণের কারণেই বিয়ে ভেঙ্গে যাবে।বিয়ে ভেঙ্গে যাবে সে জন্য তালাকের প্রয়োজন পড়বে না।

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হবেনা।
,
(০৩)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,   
নির্দিষ্ট কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে কামনা করে দোয়া করা উচিত নয়। উচিত হচ্ছে, আল্লাহর কাছে উত্তমটা চাওয়া। আল্লাহর পক্ষে আপনার ধারণা থেকেও উত্তম জীবনসঙ্গী দেয়া কোন বিষয়ই না। 

তবে যদি এজাতীয় দোয়া করতে চান তাহলে এভাবে দোয়া করুন যে, ‘হে আল্লাহ! যদি সে আমার জন্য কল্যাণকর হয় তাহলে তাকে আমার জন্য জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করুন।’

কেননা, অনেক সময় এমন হয়, আজ যে জিনিস পাওয়ার জন্য আমরা উদগ্রীব থাকি, দু’ দিন পরই তা পেয়েছি বলে উৎকণ্ঠিত হই। আবার আজ যা থেকে দূরে সরে থাকার ব্যাপারে চেষ্টিত থাকি, কয়েক দিন পর তা পেয়েছি বলে আনন্দিত হই। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ

পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারা ২১৬)
,
(০৪)
নাজায়েজ নয়।
তবে যাকাত,কুরবানী,ছদকায়ে ফিতর আবশ্যকীয় হলে তাহা আদায় করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
+1
আমি একজন মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করলে ঐ মেয়েকে আমার পক্ষে বিয়ে করা অনেক কঠিন কিন্তু  অসম্ভব না ১% সম্ভব না আছে পাওয়ার।আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ সর্বশক্তিমান তার পক্ষে অসম্ভব বলে কিছু নাই।তিনি চায়লে ১% হয়ে যাবে১০০ % আমার এই চাওয়াটা আমি আল্লাহর দরবার থেকে পাশ করাই তে চাই।যে কোন ভাবে।আমি কিভাবে আমার চাওয়াটা আল্লাহর কাছ থেকে কিভাবে পাস করাবো মানে আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে আনবো।যাতে আল্লাহ আমার উপর খুশি হয়ে আমার দোয়া কবুল করে।
by
আমি একজন মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করলে ঐ মেয়েকে আমার পক্ষে বিয়ে করা অনেক কঠিন কিন্তু  অসম্ভব না ১% সম্ভব না আছে পাওয়ার।আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ সর্বশক্তিমান তার পক্ষে অসম্ভব বলে কিছু নাই।তিনি চায়লে ১% হয়ে যাবে১০০ % আমার এই চাওয়াটা আমি আল্লাহর দরবার থেকে পাশ করাই তে চাই।যে কোন ভাবে।আমি কিভাবে আমার চাওয়াটা আল্লাহর কাছ থেকে কিভাবে পাস করাবো মানে আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে আনবো।যাতে আল্লাহ আমার উপর খুশি হয়ে আমার দোয়া কবুল করে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...