জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
পোশাকে প্রাণীর ছবি, প্রতিকৃতি, ইত্যাদি সংরক্ষণ করা হারাম।
আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ
“ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)
ইবনে ‘আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্ত্রী মাইমূনাহ রা. আমার নিকট বর্ণনা করেন:
নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: জিবরাঈল আলাহিস সালাম আমার সাথে রাতে সাক্ষাত করার ওয়াদা করেছিলেন কিন্তু সাক্ষাত করেননি।
অতঃপর তাঁর মনে পড়লো যে, আমাদের খাটের নীচে একটি কুকুর ছানা আছে। তিনি এটাকে বের করে দিতে আদেশ দিলে তা বের করা হলো। অতঃপর তিনি নিজেই পানি দিয়ে সে স্থানটা ধুয়ে ফেলেন।
এরপর জিবরাঈল আ. তাঁর সাথে সাক্ষাতের সময় বললেন: “যে ঘরে কুকুর এবং ছবি থাকে সে ঘরে আমরা কখনো প্রবেশ করি না।”
সকালবেলা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুকুর মারতে আদেশ দিলেন। এমনকি ছোট বাগান পাহারার কুকুর হত্যা করারও আদেশ দেন, বড় বাগানের পাহারাদার কুকুর ছাড়া।
(সুনানে আবু দাউদ, অধ্যায়: পোশাক-পরিচ্ছেদ, অনুচ্ছেদ-৪৭ ছবি সম্পর্কে, হা/৪১৫৭-সহিহ)
عن على رضى الله تعالى عنه قال صنعت طعاما فدعوت النبى صلى الله عليه و سلم فجاء فدخل فراى سترا فيه تصاوير فخرج وقال ان الملكئة لا تدخلو بيتا فيه تصاوير .
অর্থঃ হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত| তিনি বলেন, আমি খাদ্য তৈরী করে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাওয়াত দিলাম| হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসে, ঘরে প্রবেশ করে প্রাণীর ছবিযুক্ত একটি পর্দা দেখে, ঘর হতে বের হয়ে গেলেন| এবং বললেন, “নিশ্চয়ই ফেরেশতারা ঐ ঘরে প্রবেশ করেননা, যে ঘরে প্রাণীর ছবি থাকে|”
[ নাসাঈ শরীফ ২/ ৩০০ ]
,
★তাই আপনি উক্ত পোশাক পরিধান করা থেকে বেঁচে থাকবেন।
,
(০২)
হ্যাঁ মহিলারা লাল কাপড় পরিধান করতে পারবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৩)
হ্যাঁ এতে নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
তবে একই সুরা বারবার প্রতি রাকাতে ইচ্ছাকৃতভাবে পড়াকে ফুকাহায়ে কেরামগন মাকরুহ বলেছেন।
,
(০৪)
হানাফি মাযহাব মতে এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এটি জায়েজ।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।