আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in সাওম (Fasting) by (101 points)
reshown by
আসসালামুআলাইকুম,

আমার কয়েকটি প্রশ্ন আছে।আশা করি উত্তর দিয়ে উপকৃত করবেন।

১) রোজা অবস্থায় মেসওয়াক করার সময় মেসওয়াকের তিতা রস কন্ঠনালিতে গেলে রোজা ভাঙ্গবে কি?মেসওয়াক পানি দ্বারা ভেজানোর পর যদি আঙ্গুল দিয়ে চেপে ভালোমতো পানি বের করা হয় কিন্তু তারপরও একটু ভেজা থাকে।এমতাবস্থায় ঐ মেসওয়াকের রস কন্ঠনালিতে গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে কি?

২) রোজা অবস্থায় পানি কি কন্ঠনালির শুরুতে পৌঁছালে রোজা ভাঙ্গে নাকি তা কন্ঠনালির মাঝখান অতিক্রম করলে?

৩)আলজিহ্বা কি কন্ঠনালির অংশ হিসেবে গণ্য হয়?? এবং মুখের ভিতর কতদূর পর্যন্ত পানি গেলে রোজা ভাঙ্গে না? আর ওযুর সময় সামান্য পানি গলায় গেলে কি রোজা ভাঙ্গে?

1 Answer

+1 vote
by (589,260 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
‘আত্বা (রহঃ) হতে বর্ণিত।
«٢٠١٨ - وَعَنْ عَطَاءٍ قَالَ: إِنْ تَمَضْمَضَ ثُمَّ أَفْرَغَ مَا فِي فِيهِ مِنَ الْمَاءِ لَا يَضِيرُ أَنْ يَزْدَرِدَ رِيقَهُ، وَمَا بَقِيَ فِي فِيهِ، وَلَا يَمْضُغُ الْعِلْكَ فَإِنِ ازْدَرَدَ رِيقَ الْعِلْكَ لَا أَقُولُ إِنَّهُ يُفْطِرُ وَلَكِنْ يُنْهَى عَنْهُ،» - «مرقاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح» (4/ 1399)
তিনি বলেন, সায়িম (রোযাদার) ব্যক্তি কুলি করে মুখ থেকে পানি ফেলে দেয় আর তার মুখের থুথু বা পানির অবশিষ্টাংশ যা থেকে যায় তাতে সওমের কোন ক্ষতি হবে না। আর কোন ব্যক্তি যেন চুইংগাম না চিবায়। যদি চিবানোর কারণে তার রস গিলে ফেলে, তাহলে তার ক্ষেত্রে আমি বলিনি যে, সে সওম ভঙ্গ করল, বরং তা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। (বুখারী- তরজমাতুল বাব)
ইমাম বুখারী এ বর্ণনাটি তাঁর ‘তারজামাতুল বাব’-এ নিয়ে এসেছেন। অধ্যায়টি হলো- (بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ إِذَا تَوَضَّأَ، فَلْيَسْتَنْشِقْ بِمَنْخِرِهِ المَاءَ وَلَمْ يُمَيِّزْ بَيْنَ الصَّائِمِ وَغَيْرِه)।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)মিসওয়াক করার পর ( থুতু ফেলে দেয়ার পর ) মিসওয়াকের মিষ্টিভাব/ঘ্রাণ মুখে অবশিষ্ট থেকে গেলে এবং তা গিলে ফেললে রোজা ভাঙ্গবে না। তবে মিসওয়াকের তিতা রস কন্ঠনালির ভিতর চলে গেলে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে।
(২) কন্ঠনালির মাঝখান বরাবর পানি পৌছালে রোযা ভঙ্গ হবে। 
(৩)  আলজিহ্বাহর পর থেকেই কন্ঠনালির শুরু। কন্ঠনালির মাঝখান বরাবর পানি পৌছালে রোযা ভঙ্গ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 177 views
0 votes
1 answer 162 views
...