জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
যদি একই ইমাম ২য় বার ঈদের নামাজের ইমামতি করে,তাহলে ২য় জামাতের মুছল্লিদের নামাজ হবেনা।
কেননা ইমামের ২য় বার ঈদের নামাজ নফল হবে।
আর নফল নামাজ আদায় কারীর পিছনে ফরজ/ওয়াজিব নামাজ আদায় কারীদের নামাজ হয়না।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদুয়্যাহ ৮/৪৩৪,৪৩৬)
দারুল উলুম দেওবন্দ এর 179150 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম যিনি প্রথম জামাতের ইমামতি করেছেন,তাকে ইমাম বানিয়ে ঈদের ২য় জামাত করা জায়েজ হবেনা।
এতে মুছল্লিদের ঈদের নামাজ আদায় হবেনা।
,
অন্য কোনো ইমাম ঠিক করতে হবে।
,
তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এটি জায়েজ আছে।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
,
(২.৩)
শরীয়তের বিধান হলো প্রাপ্ত বয়স্ক-বালেগ হবার পর আলাদা ঘুমানো জরুরী। একসাথে একই বিছানায় ঘুমানো যাবে না।
,
এক মহিলা আরেক মহিলার সাথে একই বিছানায় ঘুমাতে পারবে, যদি উভয়ের সতর ঢাকা থাকে আর ফিতনার শংকা না থাকে। তেমনি দুইজন পুরুষ একসাথে একই বিছানায় ঘুমাতে পারবে, যদি সতর ঢাকা থাকে। কিন্তু ফিতনার শংকা থাকলে বৈধ নয়।
,
সুতরাং বাবা তার প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সাথে একই বিছানায় ঘুমাতে পারবে,উপরোক্ত শর্তের ভিত্তি।
একই শর্তের ভিত্তিতে মা তার প্রাপ্ত বয়স্কা কন্যার সাথে একই বিছানায় ঘুমাতে পারবে।
তবে একই বিছানায় প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সাথে বাবা আর প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সাথে মা ঘুমাতে পারবেনা
সহীহ হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত রয়েছে যে,সন্তানদের বয়স দশ হয়ে গেলে তাদের শয়নস্থল-কে পৃথক করে দিতে হবে।
,
যেমন হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফিতনার শংকা না থাকা আর প্রত্যেকেরই পৃথক পৃথক তোষক/লেপ থাকার শর্তে মা ও বালিগ সন্তান এবং বালিগ বোন ও বালিগ ভাই ঘুমাতে পারবে।
,
দুই পক্ষের কোনো এক পক্ষ থেকে ফিতনার ০.০১% শংকা থাকলে এটি কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা চাই।
বিস্তারিত জানুনঃ