আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
414 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
১।যেসব মসজিদে মূল ইমামই আবার ঈদের ২য় জামাআত পড়ান,সেখানে ঈদের ২য় জামাত পড়া যাবে কি?

২।মায়ের সাথে বালিগ সন্তান কি এক বিছানায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আলাদা কাথা ব্যবহার করে শুতে পারবে?

৩।একইভাবে, বালিগ ভাই বোন কি এক বিছানায় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে আলাদা কাথা ব্যবহার করে শুতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (574,170 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
যদি একই ইমাম ২য় বার ঈদের নামাজের ইমামতি করে,তাহলে ২য় জামাতের মুছল্লিদের নামাজ হবেনা।
কেননা ইমামের ২য় বার ঈদের নামাজ নফল হবে।
আর নফল নামাজ আদায় কারীর পিছনে ফরজ/ওয়াজিব নামাজ আদায় কারীদের নামাজ হয়না।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদুয়্যাহ ৮/৪৩৪,৪৩৬)

 দারুল উলুম দেওবন্দ এর 179150 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।

,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ইমাম যিনি প্রথম জামাতের ইমামতি করেছেন,তাকে ইমাম বানিয়ে ঈদের ২য় জামাত করা জায়েজ হবেনা।
এতে মুছল্লিদের ঈদের নামাজ আদায় হবেনা।
,
অন্য কোনো ইমাম ঠিক করতে হবে।
,
তবে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে এটি জায়েজ আছে।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 
,           
(২.৩)
শরীয়তের বিধান হলো প্রাপ্ত বয়স্ক-বালেগ হবার পর আলাদা ঘুমানো জরুরী। একসাথে একই বিছানায় ঘুমানো যাবে না।
,
এক মহিলা আরেক মহিলার সাথে একই বিছানায় ঘুমাতে পারবে, যদি উভয়ের সতর ঢাকা থাকে আর ফিতনার শংকা না থাকে। তেমনি দুইজন পুরুষ একসাথে একই বিছানায় ঘুমাতে পারবে, যদি সতর ঢাকা থাকে। কিন্তু ফিতনার শংকা থাকলে বৈধ নয়।
,
সুতরাং বাবা তার প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সাথে একই বিছানায় ঘুমাতে পারবে,উপরোক্ত শর্তের ভিত্তি।
একই শর্তের ভিত্তিতে মা তার প্রাপ্ত বয়স্কা কন্যার সাথে একই বিছানায় ঘুমাতে পারবে। 
 
তবে একই বিছানায় প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সাথে বাবা আর প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের সাথে মা ঘুমাতে পারবেনা  

সহীহ হাদীস দ্বারা এ কথা প্রমাণিত রয়েছে যে,সন্তানদের বয়স দশ হয়ে গেলে তাদের শয়নস্থল-কে পৃথক করে দিতে হবে।
,
যেমন হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)

★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ফিতনার শংকা না থাকা আর প্রত্যেকেরই পৃথক পৃথক তোষক/লেপ থাকার শর্তে মা ও বালিগ সন্তান এবং বালিগ বোন ও বালিগ ভাই ঘুমাতে পারবে।
,
দুই পক্ষের কোনো এক পক্ষ থেকে ফিতনার ০.০১% শংকা থাকলে এটি কোনো ভাবেই জায়েজ নেই।
তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা চাই। 

বিস্তারিত জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...