আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
632 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (36 points)
১।পাএ এবং পাএী একজনকে উকিল বানালো।পাএ এবং পাএী ফোনে কথা বলছিলেন,পাএী বললেন যে তাকে (নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে) ওয়াকীল হিসেবে বানালাম।
মনে করুন,পাএ ঐ নির্দিষ্ট ওয়াকিলকে বিস্তারিত বললেন। তারপর ঐ ওয়াকিল দুইজন সাক্ষীর সামনে পাএকে বললেন আমি (নির্দিষ্ট পাএী)কে তোমার সাথে বিয়ে দিলাম।
এইভাবে ইজাব কি হবে? না কি অন্য কোনো শর্ত যুক্ত করতে হবে?

২।পাএী ওয়াকিলকে ফোন করে বললেন আমি আপনাকে ওয়াকিল বানালাম ?
অথবা কিভাবে ওয়াকিল বানাতে হবে?

৩।ওয়াকিল বানানোর পর ভিডিও কলের মাধ্যমে পাএী যাকে ওয়াকিল বানালেন তিনি পাএকে দুইজন সাক্ষীর সামনে ইজাব বা প্রস্তাব দিলেন এবং পাএ কবুল করলেন।
উল্লেখ পাএী ভিডিও কলের মাধ্যমে ইজাব দেওয়া শুনবেন।
এভাবে কি বিয়ে হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 

,
ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

মোবাইলে বা টেলিফোনে   বিবাহ করার পদ্ধতি হল-উভয় পক্ষ থেকে এক পক্ষ অপরপক্ষ যেখানে থাকে সেখানের কোন ব্যক্তিকে ওকীল বানাবে। তারপর সে অকীল দু’জন সাক্ষীর সামনে বিবাহ করিয়ে দিবে। তাহলে বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া সরাসরি মোবাইলে বা টেলিফোনে প্রস্তাব ও কবুল করার দ্বারা বিবাহ সহীহ হবে না।
,  
আরো জানুনঃ 
,
(০১)
মোবাইলেত মাধ্যমে উকিল বানানোর পর উকিল এক্ষেত্রে উকিল যদি মেয়ের পক্ষ থেকে হয়,তাহলে সে সরাসরি বৈঠকে ছেলেকে বলবে আমি অমুক মেয়ের পক্ষ থেকে তোমাকে বিবাহের  প্রস্তাব পেশ করলাম।
,
উকিল যদি ছেলের পক্ষ থেকে হয়,তাহলে সে সরাসরি বৈঠকে মেয়েকে বলবে আমি অমুক মেয়ের পক্ষ থেকে তোমাকে বিবাহের  প্রস্তাব পেশ করলাম।
আর ঐ বৈঠকে স্বাক্ষীদের সরাসরি উপস্থিতি থাকতে হবে।  
,
(০২)
বলবেঃ
আমি আপনাকে আর বিবাহের উকিল বানালাম।
আপনি আমার পক্ষ থেকে পাত্রকে প্রস্তাব পেশ করুন।
,
(০৩)
হ্যাঁ বিবাহ হয়ে যাবে।
পাত্রির সেটি ভিডিও কলে দেখারও প্রয়োজন নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...