আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
267 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম। যাকাত বলতে আমি আগে বুঝতাম কয়েক লাখ টাকা হলে বুঝি তা শুরু হয়। কিন্তু রুপার হিসেবে যে ৩২,৫০০ টাকা (এবছরের হিসেব অনুসারে) থাকলেও যাকাত দিতে হয় তা জানা ছিল না। স্বর্নের মূল্যের দিক দিয়ে ধরলে আমার এবছর যাকাত দেওয়ার কথা। কিন্তু রুপার  মূল্যের দিক লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে যে আমার উপর আরো কয়েক বছর আগে থেকেই যাকাত ফরজ ছিলো।

মৌলিক প্রয়োজন বাদ দিয়ে আমি যদি ২০১৮ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখ রুপার নেসাব পরিমান সম্পত্তির মালিক হই, তাহলে কি আমার ২০১৯ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখে প্রথম যাকাত ফরয হল, এবং তারপর ২০২০ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখে দ্বিতীয় যাকাত, এবং তারপর ২০২১ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখে তৃতীয় যাকাত? যেহেতু এখনো  ২০২১ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখ আসেনি, আমি কি এখন শুধু ২ বছরের যাকাত আদায় করব, এবং তারপর  ২০২১ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখে ৩য় তম যাকাত আদায় করব?  ২০২১ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখেরটা  এই রামাদান মাসে আদায় করলে, আমার চতুর্থতম যাকাত কবে আদায় করতে হবে আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে এবং এই নেসাব পরিমান সম্পত্তি থেকে থাকলে? এটা কি প্রথম যেবার  রুপার নেসাব পরিমান সম্পত্তির মালিক হয়েছি সবসময় তার থেকে এক বছরের হিসাব?

মৌলিক প্রয়োজন বাদ দিয়ে আমি যদি ২০১৮ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখ রুপার নেসাব পরিমান সম্পত্তির মালিক হই এবং ২০১৯ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখে যদি আমার উপর প্রথম যাকাত ফরয হয়, তাহলে আমি ২০১৯ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখে কোন সম্পদের ২.৫% যাকাত দিব? ২০১৮ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখে যে পরিমাণ সম্পত্তি হয়েছিল বলে আমি record করে রেখেছিলাম তার ২.৫%, নাকি ২০১৯ সালের আগস্ট এর ১৮ তারিখে আমার যে সম্পত্তি  হল তার ২.৫%?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কার উপর যাকাত ওয়াজিব
যাকাত ইসলামের মৌলিক পাঁচটি বিধানের একটি।

নেসাব পরিমাণ মালের মালিকের উপর যাকাত প্রদান করা ফরয।
যাকাতের নেসাব-
৭.৫ তুলা স্বর্ণ অথবা ৫২ভড়ি রূপা বা তার সমমূল্যের টাকার মালিকের উপর ২.৫%করে যাকাত দেওয়া ফরয।

★যাকাতের খাত
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলছেন
إِنَّمَا الصَّدَقَاتُ لِلْفُقَرَاء وَالْمَسَاكِينِ وَالْعَامِلِينَ عَلَيْهَا وَالْمُؤَلَّفَةِ قُلُوبُهُمْ وَفِي الرِّقَابِ وَالْغَارِمِينَ وَفِي سَبِيلِ اللّهِ وَابْنِ السَّبِيلِ فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ وَاللّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ

যাকাত হল কেবল (১)ফকির, (২)মিসকীন, (৩)যাকাত উসূলকারী ও (৪)যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক (৫)এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে ও (৬)ঋণগ্রস্তদের জন্য, (৭)আল্লাহর পথে জেহাদকারীদের জন্যে এবং(৮) মুসাফিরদের জন্যে, এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। সূরা আত-তাওবাহ-৬০

পিতা-পুত্র, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক ব্যতীত যাকাতের হক্বদার যে কোন আত্মীয়কে যাকাত দেয়া যাবে।এমনকি যাকাতের হকদার নিকটাত্মীয় হলে তাকে দেয়াই উত্তম হবে।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৯/৫৩৮

কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯

والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(ক্রমবর্ধমান নয়)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।
বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
আপনার প্রশ্নটি বেশ কঠিন মনে হচ্ছে, পরিস্কার ভাবে আমরা বুঝতে পারছি না। আপনি নিম্নোক্ত লিংকের সম্পূর্ণ লিখাটি পড়বেন। তার দেখবেন আপনাআপনি মাসআলার সমাধান হয়ে গেছে। 


 বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://muftiemdadhaque.blogspot.com/2021/04/blog-post.html


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...