আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
585 views
in সালাত(Prayer) by (67 points)
১. জামাতে সালাত আদায়ের সময় প্রথম/ দ্বিতীয় রাকাতে ওযু ভেঙে গেলে পুনরায় ওযু করে এসে যদি তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে বা শেষ বৈঠকে জামাত পায় সে ক্ষেত্রে সালাত কিভাবে আদায় করব?

২. জামাতে সালাত আদায়ের সময় প্রথম বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে ওযু ভেঙে গেলে পুনরায় ওযু করে এসে যদি দেখি যে জামাত শেষ হয়ে গেছে তাহলে কিভাবে সালাত আদায় করব?

৩. জামাতে সালাত আদায়ের সময় শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার আগেই অজু ভেঙে গেলে পুনরায় ওযু করে এসে যদি দেখি জামাত শেষ হয়ে গিয়েছে সে ক্ষেত্রে কিভাবে সালাত আদায় করব?

৪. জামাতে সালাত আদায়ের সময় শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়া হয়ে গেছে কিন্তু সালাম ফিরানো হয়নি এই অবস্থায় ওযু ভেঙ্গে গেলে পুনরায় ওযু করে এসে কিভাবে সালাত আদায় করব?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। 
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ " .
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাত (নামায/নামাজ)রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে। ( সুনানে ইবনে মা’জা-১২২১)

ٌফাতাওয়ায় হিন্দিয়ায় বলা হয় যে, 
(الْبَابُ السَّادِسُ فِي الْحَدَثِ فِي الصَّلَاةِ) مَنْ سَبَقَهُ حَدَثٌ تَوَضَّأَ وَبَنَى. كَذَا فِي الْكَنْزِ.
وَالرَّجُلُ وَالْمَرْأَةُ فِي حَقِّ حُكْمِ الْبِنَاءِ سَوَاءٌ. كَذَا فِي الْمُحِيطِ وَلَا يُعْتَدُّ بِاَلَّتِي أَحْدَثَ فِيهَا وَلَا بُدَّ مِنْ الْإِعَادَةِ هَكَذَا فِي الْهِدَايَةِ وَالْكَافِي وَالِاسْتِئْنَافُ أَفْضَلُ. كَذَا فِي الْمُتُونِ وَهَذَا فِي حَقِّ الْكُلِّ عِنْدَ بَعْضِ الْمَشَايِخِ وَقِيلَ هَذَا فِي حَقِّ الْمُنْفَرِدِ قَطْعًا وَأَمَّا الْإِمَامُ وَالْمَأْمُومُ إنْ كَانَا يَجِدَانِ جَمَاعَةً فَالِاسْتِئْنَافُ أَفْضَلُ أَيْضًا وَإِنْ كَانَا لَا يَجِدَانِ فَالْبِنَاءُ أَفْضَلُ صِيَانَةً لِفَضِيلَةِ الْجَمَاعَةِ وَصُحِّحَ هَذَا فِي الْفَتَاوَى كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ
الفتاوى الهندية» (1/ 93)
যদি কারো নামাযে হাদাস হয়, তাহলে সে অজু করে এসে বিনা কিরাতে নামাযকে সম্পন্ন করে ইমামের সাথে শরীক হবে। এ বিধানে নারী পুরুষ সবাই সমান। যে রুকুনে অজু ভঙ্গ হয়েছে, সেই রুকুনকে নামায হিসেবে গণ্য করা যাবে না। বরং ঐ রুকুনকে অজু করে এসে পূনরায় পড়া অত্যাবশ্যকীয়। হ্যা, তবে আবার নতুনভাবে ঐ সব নামাযকে পূনরায় পড়ে নেওয়া উত্তম। এবং এ বিধান প্রায় সবার জন্য প্রযোজ্য। এবং কেউ কেউ বলেন, এ বিধান মুনফারিদের জন্য প্রযোজ্য। যদি ইমাম এবং মুক্তাদির নামাযে অজু ছুটে যায়, এবং অজু করার পর যদি জামাতকে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাদের নতুনভাবে জামাতে শরীক হওয়াই উত্তম। আর যদি তারা জামাতকে না পান, তাহলে তাদের জন্য বিনা তথা বিনা কিরাতে উক্ত নামায সমূহ পড়ে সালাম ফিরানো উত্তম। কেননা এতকরে জামাতের সওয়াব পাওয়া যাচ্ছে। ( ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াা-১/৯৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
(১) জামাতে সালাত আদায়ের সময় প্রথম/ দ্বিতীয় রাকাতে ওযু ভেঙে গেলে পুনরায় ওযু করে এসে যদি তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে বা শেষ বৈঠকে জামাত পায়, তাহলে বিনা কিরাতে উক্ত নামায সম্পন্ন করে ইমামের সাথে শরীক হতে হওয়া। তবে নতুনকরে জামাতে শরীক হওয়াই উত্তম।
(২)জামাতে সালাত আদায়ের সময় প্রথম বা দ্বিতীয় বা তৃতীয় বা চতুর্থ রাকাতে ওযু ভেঙে গেলে পুনরায় ওযু করে এসে যদি দেখি যে জামাত শেষ হয়ে গেছে, তাহলে বিনা কিরাতে উক্ত নামাযকে সম্পন্ন করে সালাম ফিরানো হবে। 

(৩+৪)নামাযের মধ্যে তাশহুদ যেভাবে ওয়াজিব ঠিকতেমনি দুনু সালাম ওয়াজিব। সুতরাং সালাম ফিরানোর পূর্বে কারো অজু চলে গেলে সে অজু করে এসে আবার সালাম ফিরাবে। তবে যেহেতু এক বর্ণনায় তাশাহুদ পর্যন্ত নামাযকে পূর্ণ নামায বলা হয়েছে , তাই হানাফি কিছু কিছু কিতাবে সালামের পূর্বে অজু চলে গেলে নামাযকে পূর্ণ হয়েছে, বলা হয়েছে।  কিতাবুল ফাতাওয়া-২/১৮৯) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13360


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
বিনা কির'আতে সালাত কিভাবে আদায় করে?বিস্তারিত বুঝিয়ে বলবেন ভাই।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 543 views
...