ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কাপড় নাপাক থাকলে নামায হয় না,তবে নাপাক কাপড় পরিহিত অবস্থায় অজু গোসল সম্পন্ন হতে বাধা নেই।বরং নাপাক কাপড় পরিহিত অবস্থায় অজুও আদায় হবে এবং ফরয গোসলও আদায় হবে।
ফরজ গোসলের জন্য নিয়ত বলা জরুরি নয়। হ্যা তায়াম্মুমের জন্য নিয়ত জরুরী। সুতরাং আপনার গোসল হয়েছে।
গোসলের ফরয ১১টি।
(১)মুখ ধৌত করা।
(২)নাক ধৌত করা।
(৩)সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই।কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে।কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪)খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়,তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫)নাভি ধৌত করা।
(৬)শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি।
(৭)পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।
তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮)দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯)গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০)ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১)যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা।
গোসলের সুন্নাত ১২ টি।
অজুতে তিনবার ধৌত করা অর্থ হল, প্রত্যেক ধৌত করার অঙ্গ সমূহকে নতুন পানি দ্বারা তিনবার ধৌত করা উদ্দেশ্য।
ওজুর নিয়মঃ-ওজুর কিছু ফরয(অত্যাবশ্যকীয় পালনীয়) রয়েছে এবং কিছু সুন্নাত(অত্যাবশ্যকীয় নয় তবে সচরাচর রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে প্রমাণিত) এবং কিছু মুস্তাহাব(উত্তম ও ভালো)। এবং কিছু মাকরুহ রয়েছে যা বর্জনীয়।
ওজুর ফরয চারটি যথাঃ-
(১)
চুলের গুড়া থেকে তুথনীর নিচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অন্য কানের লতি পর্যন্ত সমস্ত মূখ ধৌত করা।
(২)
দুনু হাত কনুই সহ ধৌত করা।
(৩)
দুনু পা টাখনু সহ ধৌত করা।
(৪)
মাথার এক চতুর্তাংশ মাসেহ করা।
ওজুর সুন্নাত ১৮ টি।
(২)
ফরয গোসল করার আগে নাপাক কাপড়টি ৩ বার ধৌত করে, সেটাকে পাক করে পরে যথা নিয়ম অনুযায়ী গোসল করা অবশ্যই উত্তম কাজ।