ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ ۖ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ ۖ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ۚ نُّورٌ عَلَىٰ نُورٍ ۗ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ ۗ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য। তাতে পুতঃপবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল প্রজ্বলিত হয়, যা পূর্বমুখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। অগ্নি স্পর্শ না করলেও তার তৈল যেন আলোকিত হওয়ার নিকটবর্তী। জ্যোতির উপর জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান তাঁর জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত। ( সূরা নূর-৩৫)
তাফসীরে জালালাইন কিতাবে উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলা হয়,
اللَّه نُور السَّمَاوَات وَالْأَرْض} أَيْ مُنَوِّرهمَا بِالشَّمْسِ وَالْقَمَر {
«تفسير الجلالين» (ص464)
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি এ কথা দ্বারা উদ্দেশ্য হল, আল্লাহ তা’আলা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে সূর্য এবং চন্দ্র দ্বারা আলোকিত করেন।
তাফসীরঃ-
নূর দুই প্রকার, যথা-
(১) সৃষ্ট নূর। যাকে নূরে মাখলুক্ব বলা হয়।যা দুনিয়া এবং আখেরাতে পাওয়া যায়।এসব হল, সৃষ্ট নূর।
(২) কাদীম নূর।যাকে নূরে গায়রে মাখলুক্ব বলা হয়।যা আল্লাহর সিফাত।
যেমন বিন বায রাহ লিখেন,
والنور نوران: نور مخلوق ، وهو ما يوجد في الدنيا والآخرة ، وفي الجنة ، وبين الناس الآن من نور القمر والشمس والنجوم. وهكذا نور الكهرباء والنار ؛ كله مخلوق ، وهو من خلقه سبحانه وتعالى.
أما النور الثاني: فهو غير مخلوق بل هو من صفاته سبحانه وتعالى.
والله سبحانه وبحمده بجميع صفاته : هو الخالق ، وما سواه مخلوق، فنور وجهه عز وجل، ونور ذاته سبحانه وتعالى، كلاهما غير مخلوق، بل هما صفة من صفاته جل وعلا.
وهذا النور العظيم وصف له سبحانه ، وليس مخلوقا ؛ بل هو صفة من صفاته ، كسمعه وبصره ويده وقدمه ، وغير ذلك من صفاته العظيمة سبحانه وتعالى.
وهذا هو الحق الذي درج عليه أهل السنة والجماعة" انتهى من "مجموع فتاوى ابن باز"(6/ 54).
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আল্লাহ নূর বলতে আল্লাহর একটি সিফাত হল নূর।যা কাদীম।যা অসৃষ্ট।
আর ফিরিস্তা নূর বলতে প্রথম প্রকারের নূর।যা সৃষ্ট।সুতরাং আমাদের আকিদা বিশ্বাস এমন হতে হবে যে,আল্লাহর সাথে যে নূর রয়েছে সেটা কাদীম বা গায়রে মাখলুক্ব নূর।যাকে সৃষ্টি করা হয়নি।যেমন আল্লাহ সিফাত হল,বাছির,সামি ইত্যাদি।আর ফিরিস্তাকে যে নূর থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে,সেটা সৃষ্ট নূর।যে নূরকে সৃষ্টি করা হয়েছে।