আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
301 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (15 points)
reopened by
আসসালামু আলাইকুম।

সূরা নুরের ৩৫ নাম্বার আয়াতের তাফসীর পড়তে গিয়ে নিচের লাইনটি দেখি:

"সুতরাং আসমান ও যমীনের প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য দুধরনের নূরই আল্লাহ্র। প্রকাশ্য নূর যেমন- আল্লাহ্ তাআলা স্বয়ং নূর"

এরপর আমি অনলাইনে বিভিন্ন স্কলারদের মন্তব্য দেখে সংশয়ের মধ্যে পড়ে যাই।কোনো স্কলারের মতে এটা হলো আল্লাহর গাইডেনস , বা ঈমানের কথা বলা হয়েছে এবং আল্লাহকে নুর বা লাইট বলা বা মনে করা যাবে না।করলে কাফের হয়ে যাবে। কিছু স্কলার বলতেছে আল্লাহ হচ্ছে নুর।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে , আমরাতো জানি,ফেরশতারা নুরের তৈরি এবং আল্লাহ মত কোন কিছুই নেই।এক্ষেএে আল্লাহ হচ্ছে নুর বিষয়টা বলা যাবে কিনা?আর আমি কোন স্কলারের কথা বিশ্বাস করব?আমি ঈমান নিয়ে ভয়ে আছি।এখন কোনটা বিশ্বাস করলে আমার ঈমান নিয়ে ভয় থাকবে না?বা কিভাবে বিশ্বাস করলে আমার ঈমান ঠিক থাকবে?

দুঃখিত লেখাটা বড় হয়ে যাওয়ার জন্য।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ ۖ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ ۖ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ۚ نُّورٌ عَلَىٰ نُورٍ ۗ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ ۗ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি, তাঁর জ্যোতির উদাহরণ যেন একটি কুলঙ্গি, যাতে আছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি একটি কাঁচপাত্রে স্থাপিত, কাঁচপাত্রটি উজ্জ্বল নক্ষত্র সদৃশ্য। তাতে পুতঃপবিত্র যয়তুন বৃক্ষের তৈল প্রজ্বলিত হয়, যা পূর্বমুখী নয় এবং পশ্চিমমুখীও নয়। অগ্নি স্পর্শ না করলেও তার তৈল যেন আলোকিত হওয়ার নিকটবর্তী। জ্যোতির উপর জ্যোতি। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ দেখান তাঁর জ্যোতির দিকে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন এবং আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত। ( সূরা নূর-৩৫)

তাফসীরে জালালাইন কিতাবে উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলা হয়, 
اللَّه نُور السَّمَاوَات وَالْأَرْض} أَيْ مُنَوِّرهمَا بِالشَّمْسِ وَالْقَمَر {
«تفسير الجلالين» (ص464)
 আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের জ্যোতি এ কথা দ্বারা উদ্দেশ্য হল, আল্লাহ তা’আলা  নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে সূর্য এবং চন্দ্র দ্বারা আলোকিত করেন। 

তাফসীরঃ-
নূর দুই প্রকার, যথা-
(১) সৃষ্ট নূর। যাকে নূরে মাখলুক্ব বলা হয়।যা দুনিয়া এবং আখেরাতে পাওয়া যায়।এসব হল, সৃষ্ট নূর।

(২) কাদীম নূর।যাকে নূরে গায়রে মাখলুক্ব বলা হয়।যা আল্লাহর সিফাত।
যেমন বিন বায রাহ লিখেন,
والنور نوران: نور مخلوق ، وهو ما يوجد في الدنيا والآخرة ، وفي الجنة ، وبين الناس الآن من نور القمر والشمس والنجوم. وهكذا نور الكهرباء والنار ؛ كله مخلوق ، وهو من خلقه سبحانه وتعالى.

أما النور الثاني: فهو غير مخلوق بل هو من صفاته سبحانه وتعالى.

والله سبحانه وبحمده بجميع صفاته : هو الخالق ، وما سواه مخلوق، فنور وجهه عز وجل، ونور ذاته سبحانه وتعالى، كلاهما غير مخلوق، بل هما صفة من صفاته جل وعلا.

وهذا النور العظيم وصف له سبحانه ، وليس مخلوقا ؛ بل هو صفة من صفاته ، كسمعه وبصره ويده وقدمه ، وغير ذلك من صفاته العظيمة سبحانه وتعالى.

وهذا هو الحق الذي درج عليه أهل السنة والجماعة" انتهى من "مجموع فتاوى ابن باز"(6/ 54).


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আল্লাহ নূর বলতে আল্লাহর একটি সিফাত হল নূর।যা কাদীম।যা অসৃষ্ট।
আর ফিরিস্তা নূর বলতে প্রথম প্রকারের নূর।যা সৃষ্ট।সুতরাং আমাদের আকিদা বিশ্বাস এমন হতে হবে যে,আল্লাহর সাথে যে নূর রয়েছে সেটা কাদীম বা গায়রে মাখলুক্ব নূর।যাকে সৃষ্টি করা হয়নি।যেমন আল্লাহ সিফাত হল,বাছির,সামি ইত্যাদি।আর ফিরিস্তাকে যে নূর থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে,সেটা সৃষ্ট নূর।যে নূরকে সৃষ্টি করা হয়েছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (15 points)
সম্মানিত মুফতি সাহেব, বিষয়টা নিয়ে মানসিক সমস্যার মধ্যে আছি।আশাকরি, তাড়াতাড়ি উওরটা দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...