আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
এক ব্যক্তি চার মাহজাবের কোনোটিই follow করে না, তার মতে সে কুরআন এবং হাদিস follow করার try করে, সবার কথা শুনে, আল্লাহ্ র উপর বিশ্বাস রেখে যেটা সহি feel হয় সেটার উপর আমল করার try করে। সে মিলাদ, মাজার পূজা, সম্মিলিত মুনাজাত avoid করে। অন্যরা কোনো মাজহাব ফলো করলে সেটাতে তার কোনো বিদ্বেষ নাই, তবে কেও বাড়াবাড়ি করলে অথবা মাহজাব নিয়ে অন্ধ ভক্ত হয়ে অন্যের ক্ষতি বা কটু কথা বললে পছন্দ করে না। সে নিজেকে সালাফী অথবা আহলে হাদিসও বলে না। তাবলীগ জামাতে নাকি কিছু বিদআত আছে এবং তাদেরও সে পছন্দ করে না।
এমন ব্যক্তির ঈমান আকিদা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠে কিনা, তার সাথে হানাফী করো বিয়ে করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা আছে কিনা, তাকে কিভাবে নসীহত করা যায়?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


তিরমিজি শরীফের ২৬৪১ নং হাদীসে এসেছেঃ

باب مَا جَاءَ فِي افْتِرَاقِ هَذِهِ الأُمَّةِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زِيَادِ بْنِ أَنْعُمَ الإِفْرِيقِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيَأْتِيَنَّ عَلَى أُمَّتِي مَا أَتَى عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ حَذْوَ النَّعْلِ بِالنَّعْلِ حَتَّى إِنْ كَانَ مِنْهُمْ مَنْ أَتَى أُمَّهُ عَلاَنِيَةً لَكَانَ فِي أُمَّتِي مَنْ يَصْنَعُ ذَلِكَ وَإِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ تَفَرَّقَتْ عَلَى ثِنْتَيْنِ وَسَبْعِينَ مِلَّةً وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ مِلَّةً كُلُّهُمْ فِي النَّارِ إِلاَّ مِلَّةً وَاحِدَةً قَالُوا وَمَنْ هِيَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ مَا أَنَا عَلَيْهِ وَأَصْحَابِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُفَسَّرٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِثْلَ هَذَا إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .

পরিচ্ছেদঃ ১৮. এই উন্মাতের অনৈক্য
২৬৪১। আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈল যে অবস্থায় পতিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে আমার উম্মাতও সেই অবস্থার সম্মুখীন হবে, যেমন একজোড়া জুতার একটি আরেকটির মতো হয়ে থাকে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকাশ্যে তার মায়ের সাথে ব্যভিচার করে থাকে, তবে আমার উন্মাতের মধ্যেও কেউ তাই করবে। আর বনী ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছিল। আমার উন্মাত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। শুধু একটি দল ছাড়া তাদের সবাই জাহান্নামী হবে। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সে দল কোনটি? তিনি বললেনঃ আমি ও আমার সাহাবীগণ যার উপর প্রতিষ্ঠিত।
হাসানঃ মিশকাত, তাহকীক সানী (১৭১), সহীহাহ (১৩৪৮)।
আবূ ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান গারীব ও সব্যাখ্যায়িত (মুফাসসার)।

(হাদীসের মান হাসান।)
,

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ أَبُو عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " تَفَرَّقَتِ الْيَهُودُ عَلَى إِحْدَى وَسَبْعِينَ أَوِ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً وَالنَّصَارَى مِثْلَ ذَلِكَ وَتَفْتَرِقُ أُمَّتِي عَلَى ثَلاَثٍ وَسَبْعِينَ فِرْقَةً " . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَوْفِ بْنِ مَالِكٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

হুসায়ন ইবন হুরায়ছ আবূ আম্মার (রহঃ) .... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়াহূদীরা বিভক্ত হয়েছে, একাত্তর দলে (কিংবা বলেছেন, বাহাত্তর দলে), খৃষ্টানরাও অনুরূপ সংখ্যায় বিভক্ত হয়েছে। আর আমার উম্মতরা বিভক্ত হবে তিহাত্তর দলে।
হাসান সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৯৯১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৪০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে সা’দ, আবদুল্লাহ্ ইবন আমর, আওফ ইবন মালিক (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।

উক্ত হাদীস গুলো দ্বারা বুঝা গেল যে,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পরবর্তী যুগে তেহাত্তর দলের আবির্ভাব হবে।এর মধ্য থেকে একদলই শুধুমাত্র জান্নাতে যাবে।আর অবশিষ্ট বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে।

★উলামায়ে কেরাম কুরআন হাদীসের আলোকে সেই নাজাতপ্রাপ্ত দলকে তালাশ করতে কয়েকটি আলামত নির্ধারণ করলেন।মূলত এই আ'লামত গুলোকেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আ'লামত বলা হয়।

★★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের যে দশটি উল্লেখযোগ্য আকিদার কথা পাওয়া যায়,সেই দশটি আকিদাকে যারাই মেনে থাকেন, তাদেরকে কোনোভাবেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত থেকে খারিজ বলা যাবে না।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের উল্লেখযোগ্য দশটি আক্বিদা-বিশ্বাস সম্পর্কে জানুনঃ 
,
আকীদা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ 
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তিও যদি সেই আকীদা গুলি মানেন,তাহলে তিনও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত। 
,
তার সাথে হানাফি কাহারো বিবাহ জায়েজ আছে।
তবে এই বিবাহে সাংসারিক জীবন সহ অনেক ক্ষেত্রেই মাসয়ালা জনিত অনেক সমস্যা হবে।

তাকে বুঝানোর জন্য কিছু ফতোয়া দিতে পারেনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...