ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইচ্ছাকরে বয়স কমিয়ে লিখানো জায়েয হবে না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা।আর ধোঁকা দেয়া হারাম।ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ،
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬-
ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭
তবে যদি ঘটনাক্রমে দু বৎসর কম লিখা হয়ে যায়,এবং সেটাকে বদলানো না যায়,তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না।চাকুরী নেয়ার ক্ষেত্রে যদি সরকারী নিয়ম থাকে ৩০বৎসরের আর সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনার বয়স হয় ত্রিশ বৎসর।কিন্তু বাস্তবে বয়স হলো বত্রিশ।তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত চাকুরী গ্রহণ না করাই উত্তম।
কেউ উক্ত চাকুরী গ্রহণ করে নিলে যদিও উক্ত কাজ অনুচিৎ হবে,তাকওয়ার পরিপন্থী কাজ হবে।তবে পরবর্তী বেতন ভাতা হারাম হবে না।বিস্তারিত জানুন- বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2257