আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
আস সালামু আলাইকুম।
প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়াকালীন সময় স্কুল শিক্ষকদের কথা অনুসারে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে ২বছর কমানো হয়েছে।

এখন অন্য কোথাও জন্মতারিখ প্রয়োজন হলে সার্টিফিকেট অনুযায়ী ২বছর কম করে দিতে বাধ্য হচ্ছি।
জন্মতারিখ এখন পরিবর্তন করা সম্ভব না।

আমি কি এর জন্য গুনাহগার হব?
এমন অবস্থায় আমার করনীয় কি?

বর্তমানে দ্বীনের বুঝ আসার পর থেকে এটা নিয়ে চিন্তিত আছি।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ইচ্ছাকরে বয়স কমিয়ে লিখানো জায়েয হবে না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা।আর ধোঁকা দেয়া হারাম।ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
 
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا ) ، 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-
যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৬-

ভিন্ন এক সুত্রে বর্ণিত আছে,হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : ( مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃযে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।সহীহ মুসলিম- হাদীস নং-১৪৭

https://www.ifatwa.info/3800 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তবে যদি ঘটনাক্রমে দু বৎসর কম লিখা হয়ে যায়,এবং সেটাকে বদলানো না যায়,তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না।চাকুরী নেয়ার ক্ষেত্রে যদি সরকারী নিয়ম থাকে ৩০বৎসরের আর সার্টিফিকেট অনুযায়ী আপনার বয়স হয় ত্রিশ বৎসর।কিন্তু বাস্তবে বয়স হলো বত্রিশ।তাহলে এক্ষেত্রে উক্ত চাকুরী গ্রহণ না করাই উত্তম।
কেউ উক্ত চাকুরী গ্রহণ করে নিলে যদিও উক্ত কাজ  অনুচিৎ হবে,তাকওয়ার পরিপন্থী কাজ হবে।তবে পরবর্তী বেতন ভাতা হারাম হবে না।বিস্তারিত জানুন- বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2257


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...