আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

শায়েখ,

আমি জানি মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে প্রতারণা করা হারাম।

এখন আমার প্রশ্ন হলোঃ

১।আমার j.s.c তারপর s.s.c সার্টিফিকেটে আমার জন্ম তারিখ ভুল দেয়া আছে আমি সেটা ঠিক করার জন্য কম্পিউটার দোকানে গেছি কিন্তু তারা বলে এটা ঠিক হবে না। এখন আমি ভোটার আইডি কার্ড বানাতে চাচ্ছি।কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড বানালে সেখানে সেই ভুল জন্ম তারিখ দিতে হবে, সঠিকটা দিলে  সার্টিফিকেটের জন্ম তারিখ আর ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ আলাদা হয়ে যাবে এক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা হতে পারে কারন অনেক ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড লাগে আবার সার্টিফিকেটও লাগে। এখন আমি কি করব আমি যদি ভোটার আইডি কার্ডে যদি সার্টিফিকেটে যে ভুল  জন্ম তারিখ আছে সেটা দেই তাহলে কি আমার গুনাহ হবে? আমি কি করব আমি বুঝতে পারছি না?

২। আবার অনেক ক্ষেত্রে হতে পারে যে নানান ডকুমেন্টে আমার জন্ম তারিখটা দেয়া লাগতে পারে সে ক্ষেত্রে আমার সঠিক জন্ম তারিখ দিলে তারা ঝামেলা করতে পারে কারন আমার সঠিক জন্ম তারিখ কোন সার্টিফিকেটে নাই ভুলটা আছে সেক্ষেত্রে ভুলটা দিলে কি আমার গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো সার্টিফিকেটে ইচ্ছাকরে বয়স কমিয়ে লিখানো জায়েয হবে না।এটা স্পষ্টত ধোঁকা।আর ধোঁকা দেয়া হারাম।তবে যদি ঘটনাক্রমে দু বৎসর কম লিখা হয়ে যায়,এবং সেটাকে বদলানো না যায়,তাহলে এক্ষেত্রে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হবে না। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় ছুরতেই সার্টিফিকেটে দেয়া সন অনুযায়ী ভোটার আইডি কার্ড ও অন্যান্য জরুরী কাগজপত্র বানানোর জন্য আপনার গুনাহ হবে।

তবে ইহা ছাড়া আর কোনো উপায় না থাকায় আপনি ইস্তেগফার পাঠের সহিত সার্টিফিকেটে দেয়া সন ব্যবহার করতে পারেন।
বিশেষ ঝামেলায় পড়ে উক্ত গুনাহ হয়ে যাওয়ায় আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে ক্ষমা চেয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...