ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
فَأَفْضَلُ الِاعْتِكَافِ أَنْ يَكُونَ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ثُمَّ فِي مَسْجِدِ الْمَدِينَةِ وَهُوَ مَسْجِدُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ثُمَّ فِي الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى ثُمَّ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ ثُمَّ فِي الْمَسَاجِدِ الْعِظَامِ الَّتِي كَثُرَ أَهْلُهَا وَعَظُمَ.
সর্বোত্তম ইতিকাফ হল,মসজিদে হারামে,তারপর মসজিদে নববীতে,তারপর মসজিদে আকসায়,তারপর জা'মে মসজিদে তারপর এমন কোনো মসজিদে যেখানকার মুসল্লিদের সংখ্যা অনেক বেশী থাকে।(বাদায়ে সানায়ে-২/১১৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জামে মসজিদ বা এমন কোনো মসজিদে ইতিকাফ করা উত্তম যেখানকার মুসল্লিদের সংখ্যা বেশী।নিজ এলাকায়ও ইতিকাফ করা যাবে,আবার নেককারদের সাথে গিয়েও ইতিকাফ করা যাবে।এক্ষেত্রে কোনো কিছুই জরুরী নয়।ইতিকাফ চলাকালিন সময়ে যদি স্বপ্নদোষ হয়,তাহলে ইতিকাফ বা রোযায় কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন/ভাই!
(১)হাজত দুই প্রকারঃ- যথাঃ-
(ক)হাজতে শরঈ তথা যে সমস্ত জিনিষকে শরীয়ত কারো উপর ফরয বা ওয়াজিব করেছে সেগুলো হাজতে শরঈ বলে।
(খ)হাজতে তবয়ী:প্রস্রাব পায়খানা।এই দুই প্রকার হাজতকে এ'তেক্বাফকারী পূর্ণ করতে পারবে।স্বাভাবত মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজন থাকে সেসব প্রয়োজনের স্বার্থে তিনি এ'তেক্বাফ থেকে বের হতে পারবেন।প্রস্রাব পায়খানা,ওজু ফরয গোসল ইত্যাদির জন্য।তবে শীতিলতা অর্জনের নিমিত্তে উনি গোসলে যেতে পারবেন না।খানা পাকানোর জন্য মহিলা পাকঘরে যেতে পারবেন না।তবে প্রয়োজনে তিনি এ'তেক্বাফ স্থলে খানাকে রান্না করে নিতে পারবেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/২৫১)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
প্রাকৃতিক চাহিদা তথা প্রস্রাব পায়খানা এবং খানা ইত্যাদির জন্য মসজিদ থেকে বের হওয়া জায়েয।অন্যথায় জায়েয হবে না।
কী কী কারণে ই‘তিকাফ ভঙ্গ হয়ে যায়?
১. স্বেচ্ছায় বিনা প্রয়োজনে মাসজিদ থেকে বের হলে
২. কোন শির্ক বা কুফরী কাজ করলে।
৩. পাগল বা বেঁহুশ হয়ে গেলে।
৪. নারীদের হায়েয-নিফাস শুরু হয়ে গেলে।
৫. স্ত্রীসহবাস বা যে কোন প্রকার যৌন সম্ভোগ করলে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুন্নাত ইতিকাফের জন্য শরয়ী মসজিদ হওয়া জরুরি। অস্থায়ী নামায-ঘরে ইতিকাফ সহীহ নয়। তাই ইতিকাফকারীগণ অন্য কোনো মসজিদে গিয়ে ইতিকাফ করবেন।(বাদায়েউস সানায়ে ২/২৮০; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২২৫; ইমদাদুল আহকাম ১/৪৪৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/13669