আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
403 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
আসসালামু আলাইকুম,

ঈদের নামাজ এবং জানাজার নামাজে অনেককেই দেখা যায় যে তাকবিরের সাথে সাথে মাথা টা একটু উঠিয়ে ইশারা করে, এটা কি নামাজের কোনো নিয়মের মধ্যে পড়ে বা সুন্নাত/মুস্তাহাব?

যখন তাকবির দেয়া হয় তখন দুই হাত উঠানো ব্যতীত নির্দিষ্ট কোনো আমল আছে কি?

অনুগ্রহ করে জানাবেন!

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 



হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
أخبرنا محمد بن أبان، عن أبي إسحاق، عن أبي الأحوص، عن عبد الله بن مسعود رضي الله عنه أنه كان يكبر في العيدين تسعاً تسعاً : كان يبتدئ بالتكبيرة التي يفتتح بها الصلاة، ثم يكبر ثلاثاً ثم يقرأ، ثم يكبر الخامسة فيركع بها، ثم يسجد، ثم يقوم فيقرأ، ثم يكبر ثلاثاً، ثم يكبر الرابعة فيركع بها.

অর্থাৎ ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান রাহ. মুহাম্মাদ ইবনে আবান থেকে, তিনি আবু ইসহাক (আমর ইবনে আবদুল্লাহ সাবিয়ী) থেকে, তিনি আবুল আহওয়াছ থেকে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (ইবনে মাসউদ রা.) দুই ঈদের নামাযে ৯টি করে তকবীর দিতেন। যে তাকবীর দ্বারা নামায শুরু করতেন সেই তাকবীর দ্বারা ৯ তাকবীরের প্রথম তাকবীর দিতেন। তারপর ৩ তাকবীর দিয়ে কুরআন পড়তেন। ৫ম তাকবীর দ্বারা রুকু করতেন। তারপর সেজদা করতেন। (দ্বিতীয় রাকাতের জন্য) দাঁড়িয়ে কুরআন পড়তেন। তারপর ৩ তাকবীর দিতেন। ৪র্থ তাকবীর দ্বারা রুকু করতেন। কিতাবুল হুজ্জা আলা আহলিল মাদীনা ১/৩০৪

মুহাম্মাদ ইবনে আবানের মতো ইমাম সুফিয়ান ছাওরীও আবু ইসহাক সাবেয়ী থেকে ভিন্ন সনদে একই কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁর বর্ণনাটি এই

عن الثوري، عن أبي إسحاق، عن علقمة والأسود بن يزيد، أن ابن مسعود كان يكبر في العيدين تسعاً تسعاً : أربعاً قبل القراءة، ثم كبر فركع، وفي الثانية يقرأ، فإذا فرغ كبر أربعاً ثم ركع.

অর্থাৎ ইমাম আবদুর রায্যাক রাহ. (সুফিয়ান) ছাওরী থেকে, তিনি আবু ইসহাক থেকে, তিনি আলকামা ও আসওয়াদ ইবনে ইয়াযিদ থেকে, তাঁরা ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি (ইবনে মাসউদ রা.) দুই ঈদের নামাযে ৯টি করে তাকবীর দিতেন। কুরআন পাঠের আগে ৪টি। তারপর তাকবীর দিয়ে রুকু করতেন। দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়িয়ে কুরআন পড়তেন। কুরআন পড়া শেষ হলে ৪ তাকবীর দিতেন। তারপর রুকু করতেন। 
মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, বর্ণনা ৫৬৮৬

عن معمر، عن أبي إسحاق، عن علقمة والأسود بن يزيد قال : كان ابن مسعود جالساً وعنده حذيفة وأبو موسى الأشعري، فسألهما سعيد بن العاص عن التكبير في الصلاة يوم الفطر والأضحى، فجعل هذا يقول : سل هذا، وهذا يقول: سل هذا، فقال له حذيفة : سل هذا ـ لعبد الله بن مسعود ـ فسأله، فقال ابن مسعود : يكبر أربعاً ثم يقرأ، ثم يكبر فيركع، ثم يقوم في الثانية فيقرأ، ثم يكبر أربعاً بعد القراءة.
অর্থাৎ ইমাম আবদুর রায্যাক রাহ. মা‘মার থেকে, তিনি আবু ইসহাক (আমর ইবনে আবদুল্লাহ সাবিয়ী) থেকে, তিনি আলকামা ও আসওয়াদ থেকে বর্ণনা করেছেন, তাঁরা বলেছেন, একবার ইবনে মাসউদ রা. বসে ছিলেন। তাঁর কাছে হুযায়ফা রা. ও আবু মূসা আশআরী রা.ও ছিলেন। সায়ীদ ইবনুল আস উভয়কে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার নামাযের তাকবীর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে এঁ ওঁকে ওঁ এঁকে জিজ্ঞাসা করতে বলেন। শেষে হুযায়ফা রা. ইবনে মাসউদ রা.-এর দিকে ইশারা করে বললেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা কর। জিজ্ঞাসা করলে ইবনে মাসউদ রা. বললেন, ৪ তাকবীর দিয়ে কুরআন পড়বে। তারপর তাকবীর দিয়ে রুকু করবে। দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়িয়ে কুরআন পড়বে। তারপর ৪ তাকবীর দিবে। মুসান্নাফে আবদুর রায্যাক, বর্ণনা ৫৬৮৭
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত আমলের কোনো ভিত্তি নেই।

এসময় তাকবির বলার সময় হাত উঠানো ব্যাতিত কোনো আমল নেই।   
তবে প্রথম তাকবির বলার পর হাত বেধে ছানা পড়তে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...