শরীয়তের বিধান মতে মসজিদে বিবাহ পড়ানো মুস্তাহাব।
লোকদেরকে এ ব্যাপারে তারগিব দেওয়া উচিত।
তাহলে অনেক প্রথা ও নাজায়েজ কাজের বিলুপ্তি ঘটবে,ইনশাআল্লাহ ।
তবে এই ব্যাপারে এতো কঠোরতা করা যাবেনা,যে সাধারণ লোকেরা বুঝে যে মসজিদ ছাড়া বিবাহউ হয়না।
এমন কঠোরতা করা যাবেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৮/৫১,ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৭/১৬৬)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ مَيْمُونٍ الأَنْصَارِيُّ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَعْلِنُوا هَذَا النِّكَاحَ وَاجْعَلُوهُ فِي الْمَسَاجِدِ وَاضْرِبُوا عَلَيْهِ بِالدُّفُوفِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ حَسَنٌ فِي هَذَا الْبَابِ .
আহমদ ইবনু মানী (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বিবাহের ঘোষণা দিবে এবং তা মসজিদে সম্পন্ন করবে। আর এ উপলক্ষ্যে দফ বাজাবে।
ইবনু মাজাহ ১৮৯৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০৮৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে এই হাদীসটি হাসান গারীব।
এ হাদীসে আলোকে উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে মসজিদে বিবাহ পড়ানো মুস্তাহাব,সুন্নাত বলেছেন।
,
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
ویندب إعلانہ وتقدیم خطبۃ وکونہ في مسجد۔ (الدر المختار مع الشامي ۳؍۸ کراچي، شامي ۴؍۶۶ زکریا)
সারমর্মঃ
বিবাহের ই'লান করা,খুতবা আগে দেওয়া,মসজিদে বিবাহ পড়ানো মুস্তাহাব।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মত হলোঃ
শরীয়ত বিরোধী গর্হিত কার্যক্রম সংঘটিত না হলে প্রয়োজনে মসজিদে বিয়ের আকদ সম্পন্ন হওয়া জায়েজ রয়েছে। কিন্তু মসজিদে বিয়ের আকদ সম্পন্ন হওয়া সুন্নত বা মুস্তাহাব’ এ কথা সঠিক নয়।
,
তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
★★দারুল উলুম দেওবন্দ এর 156627 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে কিছু দূর্বল বর্ননার ভাবে ভিত্তিতে বিবাহে খেজুর ছিটানো মুস্তাহাব।
তবে আওয়াজ, শোরগোল বা পায়ের নিচে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে খেজুর না ছিটিয়ে বেটে দেওয়া উচিত।
মসজিদ এবং খাদ্যের ইহতিরাম তথা মান বজায় রাখতে হবে
এদিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
রাসুল সাঃ,ছাহাবায়ে কেরাম,তাবেয়ীন,তাবে তাবেয়ীন,কাহারো থেকে ছলাতুত তাসবিহ জামা'আতের সাথে আদায় করার প্রমান নেই।
তবে বিনা ই'লানে নফল নামাজে যেহেতু তিন জন বা তার চেয়ে কম লোকের জামা'আত মাকরুহ নয়,সেই হিসেবে স্বামীর পিছনে এই নামাজ পড়া যাবে।