ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লামা আলাউদ্দিন হাসক্বাফী রাহ বলেন,
(وَدَفْعُ الْقِيمَةِ) أَيْ الدَّرَاهِمِ (أَفْضَلُ مِنْ دَفْعِ الْعَيْنِ عَلَى الْمَذْهَبِ) الْمُفْتَى بِهِ جَوْهَرَةٌ وَبَحْرٌ عَنْ الظَّهِيرِيَّةِ وَهَذَا فِي السَّعَةِ، أَمَّا فِي الشِّدَّةِ فَدَفْعُ الْعَيْنِ أَفْضَلُ كَمَا لَا يَخْفَى
বিশুদ্ধ মতানুযায়ী সদকায়ের ফিতিরের মূল জিনিষের তুলনায় তার ক্বিমত তথা মূল্য প্রদাণই উত্তম।এটা সমৃদ্ধির সময়ের বিধান।কিন্তু অভাব-অনটনের সময়ে মূল জিনিষ দ্বারাই ফিতরা আদায় করা উত্তম।(রদ্দুল মুহতার-২/৩৬৬)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যখ্যায় লিখেন,
(قوله: أي الدراهم) اقتصر على الدراهم تبعا للزيلعي لبيان أنها الأفضل عند إرادة دفع القيمة؛ لأن العلة في أفضلية القيمة كونها أعون على دفع حاجة الفقير لاحتمال أنه يحتاج غير الحنطة مثلا من ثياب ونحوها بخلاف دفع العروض، وعلى هذا فالمراد بالدراهم ما يشمل الدنانير تأمل
মুদ্রা দ্বারাই ফিতরা আদায় করা উত্তম।মুদ্রা বা মূল্য দ্বারা ফিতরা আদায় এজন্য উত্তম যে,সেটা গরীবের প্রয়োজনকে উত্তমরূপে মিটাতে সহায়ক হয়।কেননা কারো কখনো গম ব্যতীত অন্য কিছুরও প্রয়োজন থাকতে পারে যেমন,কাউকে গম দেয়া হল,কিন্তু তার কাপড়ের প্রয়োজন, ইত্যাদি।সুতরাং তার নিকট মুদ্রা থাকলে সে তার যেকোনো প্রয়োজনকে অনায়াসেই মিটাতে পারবে।
(قوله على المذهب المفتى به) مقابله ما في المضمرات من أن دفع الحنطة أفضل في الأحوال كلها، سواء كانت أيام شدة أم لا؛ لأن في هذا موافقة السنة وعليه الفتوى منح فقد اختلف الإفتاء ط
আল্লামা হাসক্বাফী রাহ কর্তৃক মূল্যকে উত্তম বলার উল্টো ফাতাওয়া মুযমারাত কিতাবে বর্ণিত রয়েছে।বর্ণিত রয়েছে সর্বাবস্থায় গম দ্বারাই সদকায়ে ফিতির আদায় করা উত্তম।চায় সমৃদ্ধির সময়ে হোক বা অভাব-অনটনের সময়ে হোক।কেননা মূল জিনিষ দ্বারা সদকায়ে ফিতির আদায় করা সুন্নতের সাথে বেশী সামঞ্জস্যশীল।এবং এটার উপরই ফাতাওয়া।সুতরাং এ বিষয়ে পরস্পর বিরোধী ফাতাওয়া রয়েছে।(রদ্দুল মুহতার-২/৩৬৬)
যে সমস্ত জিনিষ দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাঃ ফিতরাকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন,সে সমস্ত জিনিষ দ্বারাই ফিতরা আদায় করা উত্তম।(কিতাবুল-ফাতাওয়া-৩/৩৬৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মূল্য দ্বারা ফিতরা করা উত্তম না মূল জিনিষ দ্বারা ফিতরা আদায় করা উত্তম? এ সম্পর্কে উলামায়ে কেরাম থেকে দু-রকম সিদ্ধান্ত আমরা দেখতে পাই।
সুতরাং আমরা এ সিদ্ধান্তেই পৌছতে সক্ষম হবো যে,মূল্য দ্বারা ফিতরা করলে সেটা আদায় হয়ে যাবে।হ্যা সময়-সুযোগ থাকলে মূল জিনিষ দ্বারাও দিয়ে দিতে পারবেন।উভয়টিই পারবেন।তবে বর্তমান পরিস্থিতে মূল্য দ্বারা আদায় করাই উত্তম হবে।তবে এ কথা বলা বিশুদ্ধ হবে না যে,মূল্য দ্বারা আদায় করলে ফিতরাই আদায় হবে না। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ফিতরা এবং সদকাহ এর টাকা দ্বারা শেমাই. ও মাংশ ক্রয় করে দেয়া যাবে। যাদেরকে দেওযা হবে, তারা অবশ্যই ফকির বা মিসকিন হতে হবে।