ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
হ্যা আপনার কথাই ঠিক, আরবি মাস অনুযায়ী তো মাগরিবের আজানের সাথে সাথে দিন পালটে যায়। যখন মাগরিবের আযান হয়ে যায়, তখনই ঐ দিনের রোযা শেষ। আমরা ঐ দিনের ইফতার করি তার পরের দিনের মধ্যে।
(২)
হ্যা আপনার কথাই ঠিক, রমাজানের শেষ দশকের তারাবীর নামাজ (যদি রাতটি কদরের রাত্রি হয়, সেই রাত্রের তারাবিহ নামাজ) লাইলাতুল কদরের ইবাদত/আমল হিসেবেও গন্য হবে এবং লাইলাতুল কদরের সওয়াব পাওয়া যাবে।
(৩)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
بِّسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَـٰنِ الرَّحِيمِ إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ
আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ
শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
سَلَامٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ الْفَجْرِ
এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ( সূরা কদর-১-৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দেখুন অত্র আয়াতে আল্লাহ বলছেন, শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আর ১০০০ কে ১২ দ্বারা বিভাজন করে ৮৩ বৎসর থেকে একটু বেশী হয়, এ হিসেবে বলা যায়, এ রাতের একটি ইবাদতের সওয়াব ৮৪ বৎসর ইবাদতের সমান হবে। তবে ১ টাকা দান করলে ৮৪ বছর প্রতিদিন ১টাকা দান মর্মে উক্ত শব্দে সরাসরি কোনো হাদীস আমরা খুজে পাইনি।