হাদীস শরীফে এসেছেঃ
1552 - حدثنا أبو بكرة، قال: ثنا أبو عاصم، قال: ثنا ابن جريج، قال: قلت لنافع: كيف كان ابن عمر رضي الله عنهما يتشهد , قال: كان يقول: «بسم الله التحيات لله والصلوات لله , والزاكيات لله , السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين» ثم يتشهد فيقول: «شهدت أن لا إله إلا الله , شهدت أن محمدا رسول الله»
(كتاب الصلاة، باب التشهد في الصلاة , كيف هو؟،ج:1، ص:261، الناشر: عالم الكتب)
সারমর্মঃ
ইবনে জুরায়েয রহঃ বলেন,আমি নাফে' রহঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম,ইবনে ওমর রাযিঃ কিভাবে তাশাহুদ পড়তেন?
তিনি বললেনঃ
بسم الله التحيات لله والصلوات لله , والزاكيات لله , السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين» ثم يتشهد فيقول: «شهدت أن لا إله إلا الله , شهدت أن محمدا رسول الله»
,
★সুতরাং বুঝা গেলো যে তাশাহুদে বা তার আগে বিসমিল্লাহ পড়া যাবে।
وفی حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح:
ولو قرأ آية في الركوع أو السجود أو القومة فعليه السهو ولو قرأ في القعود ان قرأ قبل التشهد في القعدتين فعليه السهو لترك واجب الابتداء بالتشهد أول الجلوس۔
(باب سجود السهو، ص: 461، الناشر: دار الكتب العلمية)
সারমর্মঃ
যদি কেহ রুকু/সেজদা/বৈঠকে এক আয়াত পড়ে,তার উপর সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
إذا فرغ من التشھد وقرأ الفاتحۃ فلا سھو علیہ ۔۔۔ إذا قرأ الفاتحۃ ثم التشھد کان علیہ السھو ‘‘
الفتاوی الھندیۃ: ۱/۱۲۷، : البحر الرائق : ۲/۱۷۲۔
সারমর্মঃ
যদি তাশাহুদের পূর্বে সুরা ফাতেহা পাঠ করে,তাহলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যকীয় হবে।
শরীয়তের বিধান হলো তাশাহুদের পূর্বে সুরা ফাতেহা পড়ার দ্বারা সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হয়।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৩১০)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত সতর্কতামূলক সেজদায়ে সাহু দেওয়াতে নামাজ হয়ে গিয়েছে
উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
(০২)
শরীয়তের বিধান মতে রুকুতে বা রুকু থেকে উঠার পর কোনো দোয়া করা যাবেনা।
তবে রুকুতে তাসবিহ পড়া যাবে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে রুকুতে গিয়ে বলতেন:
سبحانك اللهمّ ربنا وبحمدك اللهمّ اغفر لي
(অনুবাদ: হে আল্লাহ্! হে আমাদের রব্ব! আমি আপনার প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। হে আল্লাহ্! আমাকে ক্ষমা করে দিন।)[সহিহ বুখারী (৭৬১) ও সহিহ মুসলিমে (৪৮৪) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত]
ইমাম বুখারী (রহঃ) তাঁর সহিহ গ্রন্থে এ হাদিসের শিরোনাম দিয়েছেন এভাবে: "রুকুর দোয়া শীর্ষক পরিচ্ছেদ"।
রুকু থেকে উঠার পর তাহমিদ পাঠ করা যাবে।
আব্দুল্লাহ বিন আবি আওফা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলতেন:
اللهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ مِلْءُ السَّمَاءِ ، وَمِلْءُ الْأَرْضِ ، وَمِلْءُ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ ، اللهُمَّ طَهِّرْنِي بِالثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَالْمَاءِ الْبَارِدِ ، اللهُمَّ طَهِّرْنِي مِنَ الذُّنُوبِ وَالْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْوَسَخِ
(অনুবাদ: হে আল্লাহ্! আপনার প্রশংসা আসমান পূর্ণ করে, জমিন পূর্ণ করে, আর এর পরে যা পূর্ণ করা আপনার ইচ্ছা তা পূর্ণ করে। হে আল্লাহ্! আমাকে পবিত্র করুন বরফ দিয়ে, শিলা দিয়ে এবং ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। হে আল্লাহ্! আমাকে গুনাহ ও ভুল-ভ্রান্তি থেকে পবিত্র করুন যেভাবে সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে নির্মল করা হয়)[সহিহ মুসলিম (৪৭৬)]