গীবতের গুনাহ খুবই মারাত্মক।
তাই এর থেকে হেফাজতে থাকতে হবে।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَيْلٌ لِّكُلِّ هُمَزَةٍ لُّمَزَةٍ [١٠٤:١]
প্রত্যেক পশ্চাতে ও সম্মুখে পরনিন্দাকারীর দুর্ভোগ, {সূরা হুমাজা-১}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي سَعْدٍ، وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا “، قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ الْغِيبَةُ أَشَدُّ مِنَ الزِّنَا؟ قَالَ: ” إِنَّ الرَّجُلَ لَيَزْنِي فَيَتُوبُ فَيَتُوبُ اللهُ عَلَيْهِ “وَفِي رِوَايَةِ حَمْزَةَ ” فَيَتُوبُ فَيَغْفِرُ لَهُ، وَإِنَّ صَاحِبَ الْغِيبَةِ لَا يُغْفَرُ لَهُ حَتَّى يَغْفِرَهَا لَهُ صَاحِبُهُ
হযরত আবু সাঈস এবং জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। উভয়ে বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ গীবত করা ব্যভিচার করার চেয়েও জঘন্য। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! গীবত করা ব্যভিচারের চেয়ে জঘন্য হয় কি করে? রাসূল সাঃ বললেনঃ নিশ্চয় ব্যভিচারকারী ব্যভিচার করে তওবা করে থাকে, ফলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেন।
অন্য বর্ণনায় এসেছে, কিন্তু গীবতকারীকে ক্ষমা করা হয় না, যতক্ষণ না যার গীবত করেছে সে তাকে ক্ষমা করে। {শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬৩১৫, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৫৯০}
★সমাজের অন্যায় অবিচার,যেমনঃ জিনিসের বাড়তি দাম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে বলা নাজায়েজ নয়।
এটি অন্যায়ের প্রতিবাদ।
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,
কিছু কারনে গীবত করা জায়েজ আছে,তার মধ্যে অন্যতম কারন হলোঃ*
জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।
*খারাপ কাজ বন্ধ করার জন্য সাহায্য চাইতে এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে যে তা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখে।
★সুতরাং যদি কারো অপর কেউ কোন ব্যপারে অন্যায় করে,সেক্ষেত্রে মনের দুঃখে সে যদি কারো কাছে সেটা শেয়ার করে, তাহলে দেখতে হবে যে এটি বন্ধ করা বা এর কোনো সমাধান করার শক্তি সেই ব্যাক্তির আছে কিনা?
যদি থাকে,তাহলে তাকে এটি বলা জায়েজ।
অন্যথায় জায়েজ নয়।
তবে তাকেও সেই অন্যায় কাজ থেকে বাঁচানোর জন্য বলা হলে,সেটি বলা যাবে।
যাতে করে সেও বেঁচে যায়।
,
এক্ষেত্রে অন্য কেউ সেই কথা শুনলে তার গুনাহ হবে।
তার জন্য উচিত হলো উক্ত মজলিস ত্যাগ করা।
আরো জানুনঃ