আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
248 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (42 points)
১.মাজহাব মানা কি শিরক??? ২.আল্লাহর প্রতি ভালবাসা ঠিক কেমন হবে?? এর আগে এমন একটা প্রশ্ন দেখছি কিন্তু উত্তরটা বুঝিনি
আল্লাহর জন্য ভালবাসা ঠিক কেমন হবে?? একটু গভীর ভাবে বললে ভাল হয়,মানে বিস্তারিত।
কি কি লক্ষন দেখলে বুঝতে হবে যে আমি কাউকে আল্লাহর চেয়ে বেশি ভালবাসি??
তখন করণীয় কি?

আর মাজহাব নিয়েও জানতে চাই

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/402 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ করেছি যে,
মুজতাহিদ নয় এমন সবার জন্য মাযহাব মানা ফরয।বিস্তারিত জানতে দেখুন!জাস্টিস আল্লামা তাক্বী উসমানী রচিত"মাযহাব কি ও কেন?"

মাযহাব অর্থ হল,কুরআন-হাদীসের ব্যাখা জানতে কারো সাহায্য গ্রহণ করা।অর্থাৎ যারা নিজে সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীসে রাসূল এর মর্মার্থ বুঝতে পারেন না, তারা অন্যর সাহায্য নিয়ে কুরআন-হাদীস এর মর্মার্থ বুঝবেন,এবং সে অনুযায়ী আ'মল করবেন।

সুতরাং কোনো এক অালেম বা মৌলিক মূলনীতি এক এমন একদল আলেমের কুরাআন-সুন্নাহ অনুসৃত মত ও পন্থাকে অনুসরণ করার নামই হল মাযহাব।এক্ষেত্রে সকল মাস'আলায় শুধুমাত্র একজনকেই অনুসরণ করতে হবে।নতুবা একেকজনকে একেক মাস'আলা অনুসরণ মূলত প্রবৃত্তির অনুসরণ হবে,।এজন্য এমন কোনো এক আলেম বা মূলনীতি এক এমন একদল আলেমকে অনুসরণ করতে হবে যাদের প্রায় সকল বিষয়ে ইজতেহাদ রয়েছে।এই হল মাযহাব এর তাৎপর্য। সুতরাং এ দৃষ্টিকোনে নবীজী সাঃ কোনো মাযহাবের অনুসারী হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

হ্যা কুরআন হাদীসে মাযহাবের কথা রয়েছে।যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃَﺭْﺳَﻠْﻨَﺎ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻚَ ﺇِﻻَّ ﺭِﺟَﺎﻻً ﻧُّﻮﺣِﻲ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻢْ ﻓَﺎﺳْﺄَﻟُﻮﺍْ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟﺬِّﻛْﺮِ ﺇِﻥ ﻛُﻨﺘُﻢْ ﻻَ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ
আপনার পূর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে। (সূরা নাহল-৪৩)
এই জিজ্ঞাসা এবং সে অনুযায়ী আ'মল করা এর নামই মাযহাব।

হাদীসে মাযহাবের অনুমোদনঃ
রাসূলুল্লাহ সাঃ যখন মু'আয রাযি.কে ইয়ামন প্রেরণের ইচ্ছা করলেন,তখন তাকে বললেন,তুমি কিভাবে বিচার পরিচালনা করবে? যখন তোমার সামনে বিচারকার্য উপস্থিত হবে।তখন মু'আয রাযি উত্তরে বললেন,আমি কিতাবুল্লাহ দ্বারা বিচার কার্য পরিচালনা করব।রাসূলুল্লাহ আবার জিজ্ঞাসা করলেন,যদি তুমি কিতাবুল্লাহে সেই বিষয়কে খুঁজে না পাও তখন কি করবে?মু'আয রাযি বললেন,তখন সুন্নাতে রাসূল দ্বারা বিচারকার্য পরিচালনা করব।রাসূলুল্লাহ সাঃ আবার বললেন,যদি তুমি কিতাবুল্লাহ বা সুন্নাতে রাসূলে খুঁজে না পাও তবে কি করবে?মু'আয রাযি বললেন,তাহলে নিজে ইজতেহাদ করে বিচার কার্য করব,এবং এতে কোনোপ্রকার ত্রুতি থাকবে না।একথা শুনে খুশিতে রাসূলুল্লাহ সাঃ মু'আয রাযি এর  সিনায় হাত বুলিয়ে বললেন,'সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনি উনার রাসূলের দূতকে এমন জিনিষ এর তাওফিক দিয়েছেন যে বিষয়ে রাসূলুল্লাহ খুশি ও আনন্দিত। (সুনানে আবু-দাউদ- ৩৫৯২)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দেখুন!
মু'আয রাযি.কুরআন-হাদীসকে সামনে রেখে তার আলোকে ইজতেহাদ করার কথা বলছেন,আর রাসূলুল্লাহ সাঃও এ কথা শুনে খুশি হলেন।
আর বিষয়ে কুরআন-হাদীসের সরাসরি কোনো নস নেই তাতে ইজতেহাদ করার নামই হল মাযহাব।

আল্লাহর ভালবাসা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব ইতিপূর্বে দিয়েছি।আপনি যদি বিস্তারিত বুঝতে চান,তাহলে আমাকে কল দিবেন।জাযাকাল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...