সমগ্র সৃষ্টির তুলনায় মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের কথা কোরআন এভাবে উচ্চারণ করছে, আমি তো মানুষকে মর্যাদা দান করেছি, জলে ও স্থলে তাদের চলাচলের বাহন দিয়েছি, তাদের উত্তম রিজিক দিয়েছি। সৃষ্টির অনেকের ওপর আমি মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। (সূরা বনি ইসরাইল ৭০)।
সুতরাং সেই মানুষের হাড়, মাংস বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যথেচ্ছ ব্যবহার, মানব অঙ্গ বেচাকেনা, আদান-প্রদান, কাটাছেঁড়া করা আদৌ কি মানুষের মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল আচরণ?
না সেটি নয়,তাই অঙ্গ দান সম্পূর্ণ নাজায়েজ ।
বিস্তারিত জানুনঃ
ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ ফাতহুল বারীতে লিখেছেন-
ويوخذ منه ان جناية الانسان على نفسه كجناية على غيره فى الاثم لان نفسه ليست ملكا له مطلقا، بل هى لله تعالى فلا يتصرف فيها الا بما اذن فيه (فتح البارى شرح صحيح البخارى، كتاب الأيمان والنذور، باب من حلف بملة سوى ملة الاسلام-11/539، رقم الحديث-652)
অর্থাৎ আত্মহত্যা নিষিদ্ধতার হাদীস দ্বারা এ হুকুম বের হয় যে, যে ব্যক্তি নিজে নিজেকে ধ্বংস করে বা ক্ষতিগ্রস্ত করে সে ব্যক্তি গোনাহগার। যেমন অন্য ব্যক্তিকে ধ্বংস করা বা ক্ষতিগ্রস্ত করা গোনাহ। কেননা, মানুষের শরীর ও প্রাণ তার নিজের মালিকনায় নয়। বরং এটি কেবলি আল্লাহর মালিকানাধীন। মানুষকে শুধু ভোগ দখলের অধিকার দেয়া হয়েছে। তাই সে তার শরীরকে ততটুকু ব্যবহার করতে পারবে, যতটুকু করতে সে অনুমতিপ্রাপ্ত। {ফাতহুল বারী-১১/৫৩৯}
ফাতাওয়া আলমগীরীতে উল্লেখিত হয়েছে-
وشرطها كون الموصى اهلا للتمليك والموصى له اهلا للتمليك والموصى به يعد الموصى مالا قابلا للتمليك… الخ (الفتاوى الهندية- كتاب الوصايا، الباب الأول فى تفسير.. الخ-6/90, وايضا فى البحر الرائق، كتاب الوصايا-8/403، وكذا فى رد المحتار، كتاب الوصايا-6/649)
وفى البدائع الصنائع: واما الذى يرجع الى الموصى به فانواع منها ان يكون مالا او متعلقا بالمال لان الوصية ايجاب الملك او ايجاب ما يتعلق بالملك من البيع والهبة والصدقة والاعتاق، ومحل الملك هو المال فلا تصح الوصية بالميتة والدم من احد ولأحد لانها ليسا بمال ف ى حق احد ولا بجلد الميتة قبل الدباغ وكل ما ليس بمال.. الخ
وفيه ايضا- ومنها ان يكون المال متقوما فلا تصح الوصية بمال غير متقوم كالخمر الخ (بدائع الصنائع فى ترتيب الشرائع، كتاب الوصية-6/457)
অসিয়ত শুদ্ধ হবার শর্ত হল, অসিয়তকারী যে বস্তুর অসিয়ত করছে, সে উক্ত বস্তুর মালিক হতে হবে। সেই সাথে যে বস্তুর অসিয়ত করছে, সে বস্তুটি মালিকানা হবার যোগ্য হতে হবে।
আর যেহেতু মানুষের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ মাল নয়। না মানুষ তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মালিক। বরং সে কেবলি ভোগদখলকারী। তাই তা সে তার কোন অঙ্গকে না দান করতে পারে, না দান করার জন্য অসিয়ত করে যেতে পারে। না কারো কাছে তা বিক্রি করতে পারে।
অন্য কারো শরীরে ক্ষতি করা যেমন গোনাহ ও পাপ। তেমনি নিজের শরীরের ক্ষতি করাও গোনাহ ও পাপ। কারণ এ শরীর মানুষের নিজের মালিকনা নয়। বরং আল্লাহর মালিকনায়।
প্রথমত, স্বাভাবিক নামাজের মতোই তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধবেন। তারপর ছানা পাঠ করবেন।
★ তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবেন। প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দেবেন এবং তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে ফেলবেন।
★তারপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলাবেন।
★ তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু-সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করবেন।
দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেবেন। প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত উঠাবেন এবং ছেড়ে দেবেন। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন।
★ তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবেন।
★নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠবেন। দুটি খুতবা দেবেন। এ সময় ইমামের খুতবা মনোযোগসহকারে শুনতে হবে। কোনো ধরনের কথা বলা বা অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া যাবে না।